করোনায় আরও ৭৪২ মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে ২ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৭৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯৪২ জন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৪ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৯২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, জাপান ও রাশিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪২৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ২০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ হাজার ৩৩৮ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৯৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৮ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৬৬২ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯১ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮১৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৩০৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯১৫ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। থ্যাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। ব্রাজিলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৮৭৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/