নভেম্বরের ২১ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯৩
শুধু নভেম্বর ২১ দিনেই ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ডেঙ্গুতে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর এ বছর তিন সপ্তাহেই অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এখনো আরও নয় দিন বাকি নভেম্বর মাস শেষ হতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মোট ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের। এর মধ্যে জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন এবং অক্টোবর মাসে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়।
মৃত্যু হওয়া ২৩৪ জনের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে বাকিদের মৃত্যু হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এ ছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যান।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাদের তিনজন ঢাকার এবং একজন বরিশাল বিভাগের।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৭ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ১৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৪১৩ জনে।
এ ছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৩৫১ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৫৮ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৯৩ জন।
সাধারণত বর্ষাকালেই দেশে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা বৃদ্ধি পায়। এতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ছাড়া, জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিল মাসে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুন মাসে ৭৩৭ জন, জুলাই মাসে ১ হাজার ৫৭১ জন, অগাস্ট মাসে ৩ হাজার ৫২১ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৯ হাজার ৯১১ জন রোগী যান হাসপাতালে।
এনএইচবি/এমএমএ/