করোনায় একদিনে মৃত্যু ৮৬৯
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৮৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৬৩৪ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৩০২ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, তাইওয়ান ও রাশিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ১১১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৮২৬ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ২১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ১৭ হাজার ৪৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৯৯৪ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৭৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৮০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৪৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/