ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়
প্রতীকি ছবি
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবনযাপন করা যায়। ওষুধ, নিয়মিত ব্যায়ামসহ নানাভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে যদি আপনি খাবার নিয়ন্ত্রণ না করেন।
যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার খাই, তখন তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। এর কাজ হলো এই গ্লুকোজকে মানুষের দেহের কোষগুলোয় পৌঁছে দেওয়া। কোষগুলো সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের শক্তি উৎপাদন করে। সেই শক্তি দিয়েই প্রতিদিনের কাজকর্ম করে মানুষ। সুতরাং যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছায় না, তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হয়।
যখন কারও ডায়াবেটিস হয়, তখন ওই মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। শরীরে গ্লুকোজ বা সুগারের পরিমাণ প্রয়োজের তুলনায় অতিরিক্ত বেড়ে গেল হার্ট এটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ড্যামেজসহ অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস এর সাধারণ কিছু লক্ষণ –
* অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা
* অতিরিক্ত পানির তৃষ্ণা লাগা
* ওজন কমে যাওয়া
* বার বার প্রস্রাব হওয়া
* চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে
* অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব হতে পারে
কিভাবে ডায়বিটিস প্রতিরোধ করবেন-
* নিয়মিত ব্যায়ম করতে হবে
* মিষ্টি এবং শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে
* পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে
* ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে
* ধূমপান পরিহার করতে হবে
ডায়াবেটিকস প্রতিরোধে খাবের গুরুত্ব সব থেকে বেশি। নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণ খাবার খেয়েই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর প্রয়োজন পর্যাপ্ত ব্যায়াম বা হাঁটা।
ডায়াবেটিস রোগী যেসব খাবার খেতে পরবেন-
বাদাম, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল, শাক-সবজি, ফলমূল (টক জাতীয় ফল), প্রোটিন জাতীয় খাবার (ডিম, মুরগির মাংস, দুধ, টক দই, পনির)। সাদা চালের পরিবর্তে লাল বা কালো চাল, ওটস, ইসুবগুল, বিভিন্ন বীজ (তিল, তিসি, চিয়া,কুমড়া)।
ডায়াবেটিস রোগী যেসব খাবার খাবেন না-
ডুবো তেলে ভাজা খাবার বা অতিরিক্ত রান্না করা খাবার, ফাস্ট ফুড, চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরী খাবার, মিষ্টি, প্রক্রিয়াজাত মাছ বা মাংস, জুস, জ্যাম, জেলী খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সেইসঙ্গে নিয়মতি ডায়াবেটিকস পরীক্ষা করাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
কেএফ/