করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সাংহাইয়ে ৩ জনের মৃত্যু
চীনের সাংহাই শহরে লকডাউনের পরও বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। লকডাউনের পর প্রথমবারের মতো সাংহাইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একইদিনে সেখানে নতুন করে ২২ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) নগর কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। সাংহাইয়ে ষাটোর্ধ্ব লোকজনের মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ টিকাকরণের আওতায় এসেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাংহাই নগর কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই তিনজনের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে এবং তাদের বাঁচানোর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মৃতদের মধ্যে ৮৯ ও ৯১ বছর বয়সী দুই নারী ও ৯১ বছরের এক পুরুষ রয়েছেন। তারা সবাই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, চীনের পূর্বাঞ্চলীয় এ বাণিজ্য নগরীতে আজ নতুন করে ২২ হাজার ২৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ৪১৭ জনের উপসর্গ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমিক্রন ও ডেল্টা ধরনে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃত কম। তবে সাংহাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
গত মার্চে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে দুইজনের করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর কিছুদিনের মধ্যে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটে প্রশাসন।
এদিকে, সাংহাইয়ের বেশ কিছু আবাসনকে ‘সেফ হোম’ করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আড়াই কোটি লোকের শহর সাংহাইয়ে পর্যায়ক্রমে সবার করোনা পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু এতেও সংক্রমণের হার কমানো যাচ্ছে না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এসএ/