ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা

ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা

ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা
ছবিঃ সংগৃহীত
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সঙ্গী। তবে ফ্ল্যাগশিপ হোক বা বাজেট ফোন—যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিভাইসের পারফরম্যান্স কমতে থাকে। স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয়ই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে এটি দীর্ঘদিন ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে।
১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলা
নিয়মিত ব্যবহার না করলেও অনেকের ফোনে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। এসব অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ দখল করে রাখার পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। ফলে প্রসেসিং পাওয়ার ও ব্যাটারি খরচ হতে থাকে। ফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখতে হলে কিছুদিন পরপর ইনস্টল করা অ্যাপের তালিকা পর্যালোচনা করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে। ফোনে প্রি-ইনস্টল করা অ্যাপগুলো মুছে ফেলা যায় না, আর তাই সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে রাখতে হবে। এর ফলে সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকবে না।
২. স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা
অপ্রয়োজনীয় ফাইল, অডিও, ভিডিও ও ডকুমেন্ট জমতে জমতে ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যায়, যা ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ফাইল ম্যানেজার বা স্টোরেজ অপশন থেকে বড় ও অব্যবহৃত মিডিয়া ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর ফোন ধীরগতির হয়ে গেলে ফ্যাক্টরি রিসেট করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. ফোনের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করা
নতুন সফটওয়্যারের আপডেট সাধারণত বাগ ফিক্স, সিকিউরিটি আপগ্রেড এবং পারফরম্যান্স উন্নত করে। তাই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপগুলো সর্বদা আপডেট রাখা জরুরি।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ রাখা
অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো মোবাইলে অনুমতি ছাড়াই ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে, যা র্যাম এবং ব্যাটারি খরচ করে। বিভিন্ন স্ক্যানার ও Settings > Apps > Running apps থেকে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করলে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
৫. ফোনের স্টোরেজ পরিষ্কার রাখা
ফোনে যদি অনেক বেশি ছবি, ভিডিও বা অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমে যায়, তাহলে ফোনের গতি কমে যায়। স্টোরেজে ২০-৩০% সর্বদা খালি রাখার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে মেমরির ওপর চাপ কম থাকে। Google Files বা SD Maid-এর মতো ক্লিনার অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইলের কিছু স্টোরেজ খালি রাখা উচিত।
৬. লাইটওয়েট (Lite) অ্যাপ ব্যবহার করা
যেসব অ্যাপের লাইট ভার্সন আছে (যেমন : Facebook Lite, Messenger Lite, YouTube Go), সেগুলো ব্যবহার করুন। এগুলো কম র্যাম ও স্টোরেজ খরচ করে, ফলে ফোন দ্রুত কাজ করে।
৭. নিয়মিত ফোন রিস্টার্ট করা
অনেক দিন ফোন বন্ধ না করলে র্যাম এবং ক্যাশে মেমোরি জমে স্মার্টফোন ধীরগতির হতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে এক-দুবার ফোন রিস্টার্ট করলে ফোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৮. অপ্রয়োজনীয় অ্যানিমেশন ও ইফেক্ট বন্ধ করুন
ফোনের অ্যানিমেশন এবং ট্রানজিশন ইফেক্টগুলো দেখতে সুন্দর লাগলেও এগুলো র্যাম এবং প্রসেসরের ওপর চাপ ফেলে। Settings > Developer options > Window animation scale থেকে এগুলো কমিয়ে দিলে ফোন আরো দ্রুত কাজ করে।
৯. কম উইজেট ও সাধারণ ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন
অনেক ব্যবহারকারী মোবাইলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত উইজেট ব্যবহার করে, যা ব্যাটারি ও র্যাম খরচ করে। এ ছাড়া লাইভ ওয়ালপেপার মোবাইলের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে। হোম স্ক্রিনে শুধু দরকারি উইজেট রাখা এবং সাধারণ ওয়ালপেপার ব্যবহার করা মোবাইলের পারফরম্যান্সের ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
১০. ফোনকে অতিরিক্ত গরম হতে দেবেন না
উচ্চ তাপমাত্রা ফোনের ব্যাটারি ও প্রসেসরের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। চার্জ দেওয়ার সময় ভারী গেম বা অ্যাপ চালালে মোবাইল অনেক গরম হয়। তাই চার্জ দেওয়ার সময় ভারী গেম বা অ্যাপ থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া সরাসরি রোদে বেশিক্ষণ ফোন না রাখা উচিত।
এই ১০টি নিয়ম মেনে চললে আপনার স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে এবং ব্যাটারিও বেশি দিন টিকতে পারে!
মাহফুজ আনাম জেমস। ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের রক মিউজিকের এক জীবন্ত কিংবদন্তি মাহফুজ আনাম জেমস। তার ব্যান্ড নগর বাউল আজও একই উন্মাদনা ছড়ায়, তার কনসার্ট মানেই তরুণ-প্রবীণ সবার উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া এক সুরেলা উৎসব।
এই রক আইকন এবার পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে আগামী ১৪ জুন তিনি মাতিয়ে তুলবেন ডালাসের প্ল্যানো ইভেন্ট সেন্টার। আয়োজকরা বলছেন, এটি হবে বাংলাদেশের কোনো ব্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক কনসার্ট।
কনসার্টটির ‘চ্যাপ্টার টু: জেমস লাইভ ইন ডালাস’ নামে ইতোমধ্যে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিশাল এই ভেন্যুটিকে আটটি ধাপে ভাগ করে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে টিকিটের দাম ৪৯ ডলার থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত। ticketfuse.com-এ এখন চলছে বিশেষ আর্লি বার্ড ডিসকাউন্ট।
আয়োজকদের অন্যতম সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন,
"ডালাসে এর আগে এত বড় ভেন্যুতে কোনো বাংলাদেশি ব্যান্ড পারফর্ম করেনি। এটি শুধু একটি কনসার্ট নয়, আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত!"
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভক্তদের জন্য এটি হবে বিরল এক সুযোগ। জেমস নিজেও মুখিয়ে আছেন তার ভরাট কণ্ঠ আর গিটারের ঝড় তুলতে।
এর আগে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নগর বাউলের ১০টি কনসার্ট করার কথা থাকলেও ব্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে শেষ পর্যন্ত ২৫টি শো করতে হয়েছিল! এবারের সফরেও এমন কিছু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নগর বাউলের বর্তমান লাইনআপ:
ভোকাল: ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস
ড্রামস: আহসান এলাহি ফ্যান্টি
গিটার: সুলতান রায়হান খান
বেজ গিটার: তালুকদার সাব্বির
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নগর বাউল ভক্তদের জন্য এটি এক স্মরণীয় রাত হতে যাচ্ছে—কেউ যেন মিস না করেন!
ছবিঃ সংগৃহীত
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে এসেছিলেন লামিন ইয়ামাল। এরপর থেকে তার পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়, বয়স কি সত্যিই এত কম? এত কম বয়সে এমন নৈপুণ্য—আসলে কেমন করে সম্ভব!
আজকের রাতটা আবারও প্রমাণ করল, লামিনের ক্ষেত্রেই সম্ভব। এক গোল করানো, এরপর দুর্দান্ত এক গোল, যেখানে লিওনেল মেসির ছায়া খুঁজে নিতেও পারেন অনেকে। আর এই অসাধারণ নৈপুণ্য তাকে পৌঁছে দিল রেকর্ডবুকে।
তবে তার এই কীর্তির মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায় যখন ভাবা হয়, আজ তিনি রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন! ইফতারের ঠিক আগে দিয়েই এক অ্যাসিস্ট আর এক গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ইতিহাস গড়েছেন এই বিস্ময় বালক।
বার্সেলোনা আজ নিজেদের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল বেনফিকার। প্রথম লেগ থেকেই এক গোলের লিড ছিল কাতালানদের। আজ ম্যাচের ১১তম মিনিটে রাফিনিয়াকে দিয়ে গোল করান ইয়ামাল, বার্সেলোনা সামগ্রিক লড়াইয়ে এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
কাতালুনিয়ায় ম্যাচটা শুরু হয়েছিল শেষ বিকেলে। মাগরিবের সময় হয় ম্যাচের মাঝেই, ১৫ মিনিটের মাথায়। তাই একটু আগেই ব্রেক দেওয়া হয়, তখনই শুধু পানি খেয়ে রোজা ভাঙলেন ইয়ামাল।
রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বেনফিকা সমতা ফেরায় নিকলাস অতামেন্দির গোলে। কিন্তু বার্সেলোনাকে আবার এগিয়ে দেন সেই ইয়ামালই—এবার সরাসরি স্কোরশিটে নিজের নাম তুললেন।
বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট! ইউরোতে যেমনটা করেছিলেন ফ্রান্সের বিপক্ষে, এবারও ফল একই। পুরো রক্ষণকে পরাস্ত করে বল জড়িয়ে গেল জালে।
এই গোলের মাধ্যমেই ইতিহাস গড়লেন লামিন ইয়ামাল। তিনি এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এক ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়! মাত্র ১৭ বছর ২৪১ দিন বয়সে এই বিরল কীর্তি গড়লেন তিনি।
তবে তার কাজ এখানেই শেষ নয়। বার্সেলোনা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ঠিকই, কিন্তু ম্যাচের আরও ৪৫ মিনিট বাকি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই বাধা পেরিয়ে যাক বার্সেলোনা (সব বাধাই কেন নয়?), স্রষ্টার কাছে নিশ্চয়ই ইফতারের সময় এ প্রার্থনাই করেছিলেন লামিন ইয়ামাল!