বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বকাপ ট্রফিতে মিচেল মার্শের পা, ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা-উর্বশী

বিশ্বকাপ ট্রফিতে মিচেল মার্শের পা, ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা-উর্বশী। ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের জয়ে অতি উল্লাসিত হয়ে ট্রফিতে পা তুলে বিশ্রাম নেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ। এরপর থেকেই তোপের মুখে পড়েছেন এই অজি অলরাউন্ডার। নেটিজেন থেকে তারকা, মিচেল মার্শের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের জয়ে অতি উল্লাসিত হয়ে ট্রফিতে পা তুলে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শকে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন ও উর্বশী রাউতোলা। মার্চের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে অস্ট্রেলিয়ান ও ভারতীয় জাতির সম্মানের রীতি তুলে ধরেছেন বলিউডে অভিনেত্রী উর্বশী। পাশাপাশি ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, মিচেল মার্শ, বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি কিছুটা সম্মান তো দেখান। এমন ঠান্ডা মেজাজে ট্রফির ওপরে পা দিয়ে রেখেছেন।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বিশ্বকাপ ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্বকাপ ট্রফিটি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়েছিল। এটা আমার জন্য সম্মানের একটি মুহূর্ত ছিল। এর মূল্য, গভীরতা জানুন। বিশ্বকাপজয়ী দলের এমন আচরণে আমি হতাশ। এটি খুবই দুঃখজনক।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ভারতীয় বোলার শামিও। শামি বলেছে, ‘‘আমি কষ্ট পেয়েছি। যে শিরোপার জন্য বিশ্বের সব দল লড়াই করে, যে ট্রফি আপনি মাথার ওপর তুলে ধরেন, সেই ট্রফির ওপর পা রাখা আপনাকে আনন্দ দিতে পারে না।’’

এদিকে ভাইরাল এ ছবি নিয়ে জোর চর্চা চললেও এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি অস্ট্রেলিয়া টিম কিংবা মিচেল মার্শ।

Header Ad

ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলা দিত। আর এখন সত্যিকার ভুক্তভোগী লোকজন ঢালাওভাবে মামলা দায়ের করছে। ঢালাও মামলার মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কার, পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি, বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যে বিচারক নিয়োগ হবে, এটি আমরা একটি আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করার দাবি সমাজে বহুদিন ধরে আছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে একটি আইন তৈরি হয়েছিল। সেটি পরে আইনে রূপান্তরিত হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসে সেটিকে আর আইনে রূপান্তরিত করেনি। আমরা ওই আইনটি আরও বেশি যুগোপযোগী করার জন্য তাদের সহায়তা চেয়েছি, পরবর্তী যে নিয়োগ হবে তা যাতে আমরা আইনের ভিত্তিতে করতে পারি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে এ উপদেষ্টা বলেন, কমিশন যেভাবে অগ্রসর হচ্ছেন, তাতে আমি খুবই আশাবাদী হয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা যেমন বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন বা স্বপ্ন দেখছেন, তা যদি সত্যিই করা যেত তাহলে সম্ভবত আমাদের বিচারাঙ্গনে সমস্যা যা আছে তা আর থাকত না কখনও।

Header Ad

বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে। তাই বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে, বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন হাসনাত।

তিনি লিখেন, ‌‘রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।’

পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে হাসনাত বলেন, ‌‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একদফা (শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি) হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) সংবিধানপ্রীতি, মুজিবের ছবি সরানোর কারণে আমরা দেখলাম যে, গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা একটি দলের মাঝে এখন একটা প্রীতি দেখা যাচ্ছে। দেখলাম যে একটা বক্তব্য দেয়া হয়েছে যে, এটা (শেখ মুজিবের ছবি সরানো) ঠিক হয়নি। মোস্তাকের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে যে, মোস্তাক এই কাজ করেছিল। এই বিষয়গুলো দুঃখজনক।’

এছাড়া রাজনীতিবিদরা অগ্রজ এবং অনুজের মাঝে বিভাজন তৈরি করছে বলেও মনে করেন তিনি।

বর্তমান সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়েও অসন্তোস প্রকাশ করেন হাসনাত গণমাধ্যমকে বলেন, এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। অথচ এই সংবিধানের অধীনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেই সরকার শপথ নিচ্ছে।

এই বিষয়গুলো কোথাও না কোথাও বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে ঘাটতি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন হাসনাত।

Header Ad

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনা সভা শেষে তারা এই ঘোষণা দেন।

আলোচনা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক হিসেবে ঘোষণা করলে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ এগিয়ে আসেন।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের ভূমিকা বা পদ থাকবে না, সবাই নিজেকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত করবেন। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত সিদ্ধান্ত দাবি করেছিলাম, কিন্তু কিছু ব্যক্তি আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বিভিন্ন দিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা-এই আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, সব শিক্ষার্থী এখানে সমান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে : মঈন খান
দুই মাসে তিতাসের অভিযানে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
রোবটের আঁকা একটি ছবি বিক্রি হলো ১৫ কোটি টাকায়
কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে গেল বাংলাদেশ
আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলা সেই জাবি অধ্যাপক বরখাস্ত
পত্রিকার সঠিক প্রচার সংখ্যা প্রকাশে সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
হানিমুনের আগেই সুখবর দিলেন শিরিন শিলা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি
গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ