জেন ফন্ডা ক্যান্সারের কেমোথেরাপি নিচ্ছেন
দুবারের অস্কার জয়ী হলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ৮৪ বছরের জেন ফন্ডা প্রকাশ করেছেন যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং কেমোথেরাপি নিচ্ছেন।
ইন্সস্ট্রাগ্রামে তার অনুসারীদের আরো জানিয়েছেন, তিনি নন-হজকিনস লিউকেমিয়াতে অক্রান্ত।
তিনি বর্ণনা করেছেন, ‘ক্যান্সার রোগের এই ধরণটি খুবই চিকিৎসাযোগ্য...ফলে আমি খুব সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে।’
এই হলিউডের আইকন তার পোস্টটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা সবার দৃষ্টিগোচর করতে ব্যবহার করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, তিনি তার জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে সক্রিয়তাবাদ চালু রাখবেন।
আরো লিখেছেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে এই কারণেও যে, আমার স্বাস্থ্যবীমা আছে এবং সেরা চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছি।’
‘তবে আমি অনুভব করেছি, এটি ব্যথাদায়ক। তবে আমি বিশেষ অধিকার লাভ করেছি এই ক্ষেত্রে।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমেরিকার প্রায় সব পরিবারকে ক্যান্সার রোগটিকে মোকাবেলা করতে হয়। খুব কম মানুষই গুণগত মানের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। যেটি আমি গ্রহণ করছি এবং এটি ঠিক নয়।’
নন-হজকিনস লিউকেমিয়া সাধারণত কম হয়। এই ক্যান্সারটি মানুষের শরীরের রসের মাধ্যমে তৈরি হয়। রক্তবাহী শিরা ও মানুষের মাংসগ্রন্থিগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ফন্ডা লিখেছেন যে, ‘আমাকে ছয় মাস কেমোথেরাপি নিতে হবে। তবে তার এই রোগটির কারণে আমার জলবায়ু পরিবর্তনের আন্দোলনে অংশগ্রহণে কোনো ধরণের বিরতি হবে না।’
১৯৬০ সালে হলিউডের সিনেমা ভুবনে তার যাত্রা শুরু।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবির মধ্যে আছে, যেগুলো তাকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে দিয়েছে ‘বারবারেল্লা’, ‘নাইন টু ফাইভ’ ও ‘অন গোল্ডেন পন্ড’।
তিনি সর্বশেষ সাম্প্রতিক সময়ে কাজ করেছেন নেটফ্লিক্স কমেডি সিরিজ ‘গ্রেস অ্যান্ড ফ্রাঙ্কি।’
জেন ফন্ডা তার রাজনৈতিক কর্মের জন্যও বিখ্যাত। ১৯৬০’র দশকে তিনি স্বোচ্চার ছিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিপক্ষে।
এই সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি হয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিপক্ষে একজন অভিযানকারী।
এর শুরু ২০১৬ সালে তিনি ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ স্টান্ডিং রক ডাকোটায় প্রতিরোধ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। ডাকোটায় প্রবেশ করার পাইপলাইন নির্মাণের কাজের বিপক্ষে তারা প্ল্যাকার্ড দেখিয়েছেন।
তিনি তার ক্যান্সারের পোস্টে আরো লিখেছেন, ডায়গনোসিস চিকিৎসা নেওয়ার সময় তার কাছে সমাজের গুরুত্ব আবার তুলে ধরেছে।
‘ক্যান্সার একটি শিক্ষক ও আমি টাকা দিয়ে মনোযোগের সঙ্গে সে যে শিক্ষাগুলো নিয়ে আসছে গ্রহণ করছি।’
‘এর মধ্যে আমাকে একটি জিনিশ দেখিয়েছে, সমাজের কাছে তার গুরুত্ব।’
‘যেকোনো সমাজের গভীরে ও বেড়ে চলা এই অবস্থায় আমি বলব, আমরা একা নই। ক্যান্সার আমার বয়সে, প্রায় ৮৫; অবশ্যই শিক্ষা দিচ্ছে নতুন বাস্তবতাগুলো কীভাবে আত্মীকরণ করতে হবে।’
‘আমরা মানবেতিহাসের সবচেয়ে আত্মাভিমানী সময়ের মধ্যে বাস করছি। কেননা আমরা যা করি ও যা করি না তার সবকিছুই ভবিষ্যতে থাকবে, ক্যান্সারকে আমি যাকিছু করতে পারি সেগুলো থেকে আমাকে দূরে রাখতে দেব না।’
তিনি তার পোস্ট লেখা শেষ করেছেন, নভেম্বরের মিডটার্ম নির্বাচনগুলোর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সবগুলো আসন থাকবে, তাদের এক-তৃতীয়াংশের সামান্য বেশি সিনেটে যাবেন।
‘মিডটার্মের তাঁত এখন বোনা চলছে। তাদের ফল আসা বহুদূরে আছে। ফলে আপনারা আমাকে নিয়ে সেখানেে একত্রে থাকার সময়সীমা গণনা করতে পারেন। যেখানে আমরা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের আন্দোলনগুলোতে সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে’, তিনি লিখেছেন।
ওএফএস।