বগুড়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে জিডি
আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা হিরো আলমের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো আলম নামে পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম আশরাফুল আলম সাঈদ।
শনিবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন এমদাদুল হক নামে এক সাংবাদিক। তিনি নন্দীগ্রামের বিজরুল গ্রামের বাসিন্দা।
জিডি সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক এমদাদুল হক নন্দীগ্রামের বিজরুল গ্রামের বাসিন্দা ও দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক আলোর পথ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বার্তা সম্পাদক। গত ২৭ জুলাই দৈনিক আলোর পথ নিউজ পোর্টালে ‘হিরো আলমকে শেষ বার সতর্ক করলেন নুসরাত’-এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটির প্রতিবেদক এমদাদুল হক। ওই সংবাদ প্রকাশের পর একই দিন বিকালে হিরো আলম সাংবাদিক এমদাদুল হককে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটি নিউজ পোর্টাল থেকে সরিয়ে ফেলতে বলেন। এ সময় হুমকিও দেওয়া হয় সাংবাদিক এমদাদুলকে। বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পোর্টাল থেকে সরিয়ে না ফেললে এমদাদুলের সমস্যা সৃষ্টি করা হবে বলে তাকে হুমকি দেন হিরো আলম।
এ বিষয়ে সাংবাদিক এমদাদুল হক বলেন, হিরো আলমকে শেষবার সতর্ক করলেন নুসরাত’ এই সংবাদ প্রকাশের পর তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন হিরো আলম। তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়াসহ প্রতিবেদনটি পোর্টাল থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আমি বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলমের সাবেক স্ত্রী নুসরাত জাহান সাথী অভিযোগ করেন যে ডিভোর্স দেওয়ার পরও তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছেন হিরো আলম। সেই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পরই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় হিরো আলম।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য হিরো আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে করা জিডি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ