গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমার পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণ (৩৮) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোর চারটা নাগাদ রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসায় তরুণ এই চলচ্চিত্র নির্মাতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাসাটির কেয়ারটেকার গাজী নজরুল ও হিরণের প্রতিবেশী ইকরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই বাসাটির দ্বিতীয় তলায় তরুণ এই পরিচালক ভাড়া থাকতেন।
কেয়ারটেকার গাজী নজরুল বলেন, ভোরে কল দিয়ে হিরণ জানান তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছেন। এ কথা শুনে কেয়ারটেকার দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। কিন্তু রুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে ভেতরে ঢুকতে ব্যর্থ হই৷ পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে হিরণকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, খুলনা খালিশপুরের ছেলে আবু তাওহীদ হিরণ পরিচালিত ‘আদম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ইয়াশ রোহান, ঐশী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহিদুজ্জামান সেলিম। ‘আদম’ সিনেমার পর ‘রং রোড’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন হিরণ। এর বাইরে ‘দ্য পাপ্পি’ নামে আরও একটি সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন এই পরিচালক।
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি এবং লোকসভার সাবেক সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাত্রী তার দলের মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বয়স ৪৭ বছর।
বাইপাসের নিউটনের আবাসিক এলাকায় ঘরোয়াভাবে হিন্দু রীতি মেনে মন্ত্রচ্চারণ, মালা বদল, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন দিলীপ। বিয়েতে পরেছিলেন হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা। আর কনে সাজে রিঙ্কু পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসি। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন কিছু বন্ধু-বান্ধব আর গোটা কয়েক আত্মীয়-স্বজন।
বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এতদিন তো অনেক কিছুর দায়িত্ব পালন করেছি, স্বামীর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ প্রথমবার হলো। এটাই অনুশীলন করছি। দেখা যাক কী হয়! এটা তো বিয়েরই একটা অঙ্গ। এটা আমাকেই করতে হবে, অন্য কেউ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের জন্যই তো সব। তার ৮৪ বছর বয়স। আমায় কাজে বাইরে যেতে হয়। সে সময় তাকে পানি পান করানোর লোক পাওয়া যায় না। কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে যে, মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন ইনিই (রিঙ্কু) মাকে এসে দেখতো। তারপরেই ইনিই (রিঙ্কু) আমায় বলেছিলেন, আমি আবার জীবনের সংসারী হতে চাই। সাথী চাই। আমি বলেছিলাম, খুব ভালো, করে ফেলো। তখন ইনি বলেছিলেন, না আপনাকেই বিয়ে করতে চাই, আপনি রাজি আছেন কিনা? তখন আমি বলেছিলাম, একটু সময় নিতে দাও। বিষয়টা আমি হজম করি আগে। তারপর ১-২ মাস সময় লেগে গেছে বুঝতে।’
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে উপলক্ষে দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের বাড়িতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি ফুলের তোড়া এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতের লেখা একটি শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড। যাতে লেখা—‘শ্রীমতি রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আপনার বিবাহবন্ধনের কথা জেনে আনন্দিত হলাম। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় রিঙ্কু দেবী ও আপনাকে আমার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মঙ্গলময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনাদের যৌথ জীবন সুখের হোক। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।’
বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপের সঙ্গিনী। রিঙ্কু জানিয়েছেন, তার পাহাড় পছন্দ। নিরিবিলি কোনো পাহাড়ি এলাকায় দিলীপের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা দার্জিলিং হতে পারে আবার হিমাচল প্রদেশের সিমলার কথাও ভাবা হয়েছে। তবে কোথায় যাবো এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
দিলীপের বাগদান অনুষ্ঠানে একেবারে ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। পদের মধ্যে ছিল সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুখ ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, নবরত্ন তরকারি, চাটনি-পাপড়, দই-মিষ্টি।
দিলীপ ঘোষ ছোটবেলা থেকেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে প্রচারকের দায়িত্ব ছিলেন। ২০১৪ সালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় তাকে।
চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি ভারতীয় রূপার তৈরী গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে রূপার তৈরি গয়নাগুলো উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, মুন্সীপুর সরদার পাড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টার সময় রূপার গয়নাগুলো জব্দ করা হয়। স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ২১টি প্যাকেটে ছিল এসব গয়না, যার ওজন ১২ কেজি ২০০ গ্রাম। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।
এ ঘটনায় সুবেদার আবুল বাশার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। জব্দ করা রূপার গয়নাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ঘোষণার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালের জুনে বিসিসি নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। নির্বাচনে দলীয়করণ করে নৌকার পক্ষে কাজ করে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানান তারা।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৩ সালের বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং নিজেকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতে মামলা করেন ফয়জুল করীম। বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যনালের বিচারক ও সদর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন। সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন তার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির।