মা–বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সংগীতশিল্পী খালিদ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সংগীতশিল্পী খালিদ। ছবি: সংগৃহীত
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদের পাশে এস এম মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্বজনদের সঙ্গে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী, গীতিকার, সুরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন অংশ নেন।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে খালিদের মরদেহবাহী গাড়ি গোপালগঞ্জে পৌঁছায়।
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত ‘চাইম’ এর প্রথম অ্যালবাম (সেলফ টাইটেলড) দিয়ে যাত্রা শুরু তার। চাইমের ব্যান্ড অ্যালবামের চেয়ে খালিদ জনপ্রিয় হয়ে যান ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে। মূলত খালিদ তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের আরেক তারকা প্রিন্স মাহমুদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামগুলোতে খালিদ তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। প্রিন্স মাহমুদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে খালিদের গাওয়া ‘কিভাবে কাঁদাবে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’, ‘আকাশনীলা’, ‘কোন কারণেই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’ শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।