রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইলিয়াস কাঞ্চনের কমিটি পিকনিক ছাড়া কিছুই করেনি : সোহেল রানা

ফাইল ছবি

ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছুই করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি সোহেল রানা। সেই সাথে শিল্পী সমিতির পিকনিকে জায়েদ খানকে দাওয়াত না দেওয়ায় অভদ্রতা বলেছেন তিনি।

দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সোহেল রানা বলেন, ‘শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন এই দুই বছরে কিছুই করতে পারেনি। কারণ, পুরো কমিটি নিয়ে একটা মিটিংই করতে পারেনি। এক দল কখনো মিটিংয়ে আসেনি। একা তো ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। ওর জীবনের এই একটা পার্ট সেটা ভুলে যেতে চাইবে। এই সময়ে শিল্পী সমিতি একটা পিকনিক ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। আগে মিশা-জায়েদ যেভাবে কাজ করত, এ কমিটি আসার পর সেরকম কিছুই দেখিনি আমি। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলে কখনো ভালো কিছু করা সম্ভব না। ভালো কিছু করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সে দিক থেকে মিশা-জায়েদ কমিটি অনেক ভালো ছিল। মানুষ জানত একটি কমিটি আছে বিপদে পাশে পাওয়া যায়। সবসময় ঈদে দু-তিনশো মানুষের বাসায় উপহার যেত।’

জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সোহেল খান বলেন, ‘কি অপরাধে পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে জানি না। তার ভুল থাকতে পারে কিন্তু তাকে শোকজ করা হয়েছে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে কিনা বলতে পারছি না। আমার জানা মতে, কারো সদস্যপদ স্থগিত করতে হলে তিনবার শোকজ করতে হয়। তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয়ে থাকে তাহলে সবাই মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এভাবে হয়েছে কিনা আমার ঠিক জানা নেই। সঠিকভাবে হয়ে থাকলে ঠিক আছে। আর যদি সঠিক নিয়মে না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে তাকে বের করে দেওয়া ভালো হয়নি। তাদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেটাকে আরো উসকে দেওয়া হয়েছে।’

জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতির পিকনিকে দাওয়াত না দেয়া প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, ‘এটা সাধারণ একটা অভদ্রতা। জায়েদের সদস্যপদ যদি নাও থাকে পূর্বে সমিতির জন্য কয়েক বছর কাজ করেছে, সেজন্য হলেও ওরে দাওয়াত দেওয়া ছিল ভদ্রতা। জায়েদ তো বড় অন্যায়কারী কিংবা ক্রিমিনাল না যে, দাওয়াত দেওয়া যাবে না। শিল্পী না তারপরও অনেককেই তো দাওয়াত করা হয়েছে। নিজের সহকর্মীর প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সেখানে দাওয়াত না দেওয়া শোভনীয় মনে হয়নি। জায়েদকে আটকে দেওয়ার জন্যই সদস্যপদ স্থগিত করেছে। ওরাই বেশি কাজ করেছে। সবার নাম আসে না। জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক যার কারণে বার বার নাম আসে।’

 

Header Ad

‘দেশ আমাদের সবার, কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয়’- জামায়াতে ইসলামীর আমীর

ছবি: সংগৃহীত

দেশ আমাদের সবার, কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয় বলে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের। তাদের স্বার্থে যা করার দরকার সবই করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টায় কক্সবাজারে অভিযানে সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে নিহত সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করের বেতকায় গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যে ডাকাতদল এই ঘটনার সাথে জড়িত তারা এক মাস আগে জামিনে বের হয়েছে। এরপর তারা বিশাল একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এরকম আরও অনেকেই জেল থেকে জামিন পেয়েছেন। সরকারকে এগুলো দেখতে হবে।

আমির বলেন, দেশের জন্য জীবন দেওয়া সবার সৌভাগ্য হয় না। তিনি সেনাবাহিনীতে জেনে শুনেই গিয়েছিলেন। এটা জীবন মৃত্যুর খেলা এবং সেটা দেশ রক্ষার খেলা। এটা জেনেই তিনি সেখানে গিয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ। তার মা-বাবাকে এরকম একটা সন্তান দিয়ে ধন্য করেছেন। আমরা এখানে আসিনি ওনাদেরকে গর্বিত করতে, আমরা এসেছি নিজেরা গর্বিত হতে।

তিনি আরও বলেন, এরকম বাবার কপালে চুমু দেওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা মনে করি এটা আমাদের জাতীয় নাগরিক দায়িত্ব, তাদের প্রতি সম্মান দেখানো। আমি সম্মান দেখানোর জায়গা থেকে এখানে এসেছি। আপনাদের সবার প্রতি, এলাকার মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা তাদের (বাবা-মা) বুকটা ভরে রাখবেন। আপনারা তাদের খোঁজ-খবর নেবেন আমরাও যতটুকু পারি পাশে থাকবো।

শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, পালিয়ে যাওয়া কোন ভালো জিনিস না। উনি চলে যাওয়ার পরে মাঝে মধ্যে টেলিফোনের কথা শুনতে পাই। আমার মনে হয় তিনি এখান থেকে সরে গিয়েছেন, নিশ্চয়ই তিনি উপলবদ্ধি করেছেন দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে না। যেহেতু দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে না জোর করে আবার নিজেকে স্থান করা বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে না বলে আমি মনে করি। তিনি (শেখ হাসিনা) যদি অপরাধী হন, কোন অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইন আমরা হাতে তুলে নিবো না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এতে শাস্তি দিতে হবে। কে ষড়যন্ত্র করছে না করছে এটা বড় কথা নয়। জাতি কিন্তু এখন ঐক্যবদ্ধ ও মজবুত। গোটা যুব সমাজের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়িয়ে গণহত্যা করেছে। নৈতিক দিক থেকে তারা পরাজিত হয়েছেন। এখন তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে যে তারা রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখে কী না।

আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন- আমরা দুটি রোডম্যাপ চাচ্ছি। একটা সংস্কারের জন্য। সেই রোডম্যাপের নিদিষ্ট হতে হবে কী কী বিষয়ে সংস্কার হবে এবং কতদিনের ভিতরে সংস্কার হবে। সংস্কারের রোড ম্যাপ যদি সফলতা হয়, তাহলে পরবর্তী দেরি না করে নির্বাচনী রড দিতে হবে। কিন্তু প্রথমটা যদি সফল না হয় তাহল দ্বিতীয়টি ব্যর্থ হবে। আমরা কোন ব্যর্থ নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা একটা সফল নির্বাচন চাচ্ছি।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তিনি আমেরিকায় গিয়ে বলেছেন, এই আন্দোলন ছিল একেবারেই পরিকল্পিত। আমি ওনার বক্তব্যের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবো না। আমি আমার নিজস্ব মূল্যায়নটা শুধু বলবো। সবার প্রতি আমার সম্মান আছে। আমার জানামতে এই আন্দোলন ছিল ছাত্রদের রাইট ইস্যুর ব্যাপার, অধিকারের ব্যাপার। সেই অধিকারটা অন্য কিছু না।

লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের পরিবারের সাথে তিনি দীর্ঘসময় কথা বলে তার বাবা ছারওয়ার জাহান দেলোয়ার, মা শাহনাজ খান ও বড় বোন তাসনুভা সারোয়ার সূচীকে সাথে নিয়ে দোয়া করেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামাতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হোসনী মোবারক বাবুলসহ দলের অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন

সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন।

এদিন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফলে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় বলে জানায় ডিএমপি। পরদিন তাকে মোহাম্মদপুর থানার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

জানা যায়, ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউ মার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর ভাগনি জামাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।

১২ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর নতুন করে চার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সেদিনই কারাগারে পাঠানো হয়।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘বাংলা মিশন’: হাসিনাত্তোর বাংলাদেশে ‘র’-এর পরিকল্পনা

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘বাংলা মিশন’: হাসিনাত্তোর বাংলাদেশে ‘র’-এর পরিকল্পনা। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির নিউজ পোর্টাল‘দি মিরর এশিয়া’ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ বাংলাদেশে একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত একটি প্রকল্প শুরু করেছে।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বামপন্থীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের ওপর একটি নেতিবাচক বয়ান প্রতিষ্ঠা করা। এর সাথে, হেফাজত ইসলাম ও হিজবুত তাহরীরের মতো সংগঠনগুলোর উপর ভিত্তি করে একটি ভয় তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

দি মিরর এশিয়া ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ প্রতিবেদটি প্রকাশে আনে, বর্তমানেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলমান আছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘র’-এর সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ আছে এমন কিছু হেফাজত ইসলামের অংশকে বোঝানো হচ্ছে যে, ড. ইউনূস একটি মার্কিন এজেন্ট এবং সুদখোর, ফলে তিনি ভালো মুসলিম নন। একইসাথে, তাদের জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে ঐক্যবদ্ধ না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

‘দি মিরর এশিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাংলা মিশন’-এ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আন্দোলনকারীদের হিজবুত তাহরীরের সাথে সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ভয় তৈরি করা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তিনজন বামপন্থী সাবেক ছাত্রনেতার সাথে দিল্লির এক সাংবাদিক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বর্তমান অগ্রাধিকার হলো- হিজবুত তাহরীর ও শিবির প্রভাবিত সরকার বলে চিহ্নিত করে একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা। একইসাথে, আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত করা।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ‘র’-এর একটি উপ-গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলা মিশন’। এই মিশনের অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন সমন্বয়কের বক্তব্যকে বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলো হিন্দি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করে ‘র’-এর একটি সেল, ‘ভিক্টর-২’-এর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হাসিনাকে দক্ষিণ দিল্লির একটি সরকারি আবাসনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, এবং তার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) গ্রহণ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শেখ হাসিনার নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করছেন। হাসিনার মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত তার সাথে দেখা করছেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

‘দি মিরর এশিয়া’ প্রতিবেদনে বলছে, ভারতের পরবর্তী পরিকল্পনা হলো ছাত্র আন্দোলনের সম্ভাব্য বিপ্লব প্রতিহত করা এবং একটি ‘প্রতিবিপ্লব’ সংগঠিত করা। এই লক্ষ্যে সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আড়ালে একটি প্রতিবিপ্লবের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা ৫ আগস্ট ব্যর্থ হয়। এরপরে ১৫ আগস্ট একটি ক্যু পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু সেটিও সফল হয়নি।

ভারত মনে করে, বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব থাকলেও, আওয়ামী লীগই তাদের জন্য নিরাপদ রাজনৈতিক মিত্র হতে পারে। ফলে, ছাত্র আন্দোলন এবং বামপন্থী দলগুলোকে অগ্রাধিকার না দিয়ে, তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত এখনই জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আলোচনার দরজা খুলতে চাচ্ছে না, তবে তারা একটি ‘জানালা’ খুলে রাখার চিন্তা করছে। আর বিএনপির নেতৃত্বে ভারত কোনো নিরাপত্তা পাবে না বলে মনে করছে তারা।

‘দি মিরর এশিয়া’ বলছে, ভারতের সামগ্রিক পরিকল্পনা হলো- বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে নিজের আঞ্চলিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং তাদের কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখা।

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশ আমাদের সবার, কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয়’- জামায়াতে ইসলামীর আমীর
আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘বাংলা মিশন’: হাসিনাত্তোর বাংলাদেশে ‘র’-এর পরিকল্পনা
চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন
এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তির তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবলীগ নেতা নিহত
আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন রাফি ও আজিজ!
কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া শুরু : ডিএমপি কমিশনার
হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান: হাশেম সাফিদ্দিন না নাইম কাশেম?
বছরের শেষ বিরল সূর্যগ্রহণ বুধবার, দেখা যাবে যেসব দেশ থেকে
খৈয়াছড়া ঝরনায় পর্যটক প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি, ফেরত গেলেন ১২৩ বিজিপি-সেনা সদস্য
মেসির গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লো মায়ামি
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান
প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ‘টাইগার রবি’কে, হতে পারেন নিষিদ্ধ
কুষ্টিয়ায় কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে ১১২ জনের মৃত্যু
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ