ইসরায়েলে আটকে থাকার ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা জানালেন বলিউডের অভিনেত্রী নুসরাত
নুসরাত ভারুচা। ছবি সংগৃহিত
হাইফা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে ইসরায়েলে যান বলিউডের অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। এরপরই শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায়। ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে গাজায়। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আটকা পড়েন নুসরাত ভারুচা।
বোমার শব্দে ঘুম ভাঙে তার। হোটেলের বেসমেন্টে ৩৬ ঘণ্টা লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন নায়িকা। পরে দেশে ফিরে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
ভারত সরকারের তৎপরতায় গত ৮ অক্টোবর দুপুরে মুম্বাই ফেরেন নুসরাত ভারুচা। বিমানবন্দরে নামার পর বিপর্যস্ত দেখায় নুসরাতকে। পরে সবার কাছে সময় চেয়ে নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। কারণ সেই সময় কিছু বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। অবশেষে ইসরায়েলে কাটানো ‘ভয়ংকর’ সেই ৩৬ ঘণ্টার বর্ণনা দিলেন নুসরাত।
View this post on Instagram
ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছেন নুসরাত ভারুচা। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘শনিবারের সকালটি আগের দিনের বিকালবেলার মতো উৎসবমুখর ছিল না। বোমার শব্দে, সাইরেনের আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙে। ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আশ্রয় নেওয়া চেষ্টা করি। আমরা হোটেলের নীচে বেসমেন্ট অনেকক্ষণ অপেক্ষা করি। এ অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না। আসলে এমন একটা ঘটনার জন্য কখনই প্রস্তুত ছিলাম না।’
View this post on Instagram
এক ভিডিও বার্তায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নুসরাত বলেন, ‘আজ যখন সকালে নিজের বাড়িতে ঘুম থেকে উঠলাম, তখন বোমের শব্দ ছিল না। অনুভব করলাম আমরা কত ভাগ্যবতী। আমি সত্যি ভাগ্যবতী যে, ভারতের মতো দেশে জন্মেছি। আমরা এখানে নিরাপদ। আমি সত্যি ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারত সরকারকে, ভারতীয় দূতাবাসকে, ইসরায়েলি দূতাবাসকে যাদের সহায়তা এবং সাহায্যে আমি নিরাপদে নিজ দেশে ফিরতে পেরেছি। একইসঙ্গে আমার প্রার্থনা যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য, যেন দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলে যায়, শান্তি ফিরে আসে।’
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত। ‘সনু কে টিটু কি সুইটি’ হিট হওয়ার পর থেকেই ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমায় দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। গত কয়েক বছরে নুসরাত অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আছে ‘ড্রিম গার্ল’, ‘আজিব দসতানস’, ‘ছোরি’ ইত্যাদি।