কাঁঠালের বিরিয়ানি খেলেন শ্রদ্ধা কাপুুর
নানা পদের খাবার রেঁধে সেগুলোর ছবি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বলিউড নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুর। এবার অভিনেত্রী বিরিয়ানির ছবি পোস্ট করে খানিকটা শোরগোল তুলেছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে বিরিয়ানির ছবিতে এতো শোরগোলের কি হলো?
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এই শোরগোলের কারণ হল, সেই বিরিয়ানিতে কোনো মাংস নেই। এটি কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি!
ডায়েট ভুলে ভেজ বিরিয়ানিতে মন দিলেন শ্রদ্ধা কাপুর। হ্যাঁ, স্লিম অ্যান্ড ট্রিম শ্রদ্ধা কিন্তু আদপে ভীষণই ভোজন রসিক। তাই চিকেন কিংবা মটন নয়, ভেজ বিরিয়ানিতেই মন দিয়েছে শ্রদ্ধা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ভাইরালও হয়েছে।
কাচ্চি কিংবা চিকেন বিরিয়ানি খেয়েছেন সবাই। কিন্তু কখনও কি কাঁঠালের বিরিয়ানি খেয়েছেন? নিশ্চয়ই খাননি। মৌসুমী এই ফল দিয়ে বিরিয়ানিই তো হয় না।
কিন্তু শুনলে অবাক হবেন, শ্রদ্ধা কাপুর কাঁঠালের বিরিয়ানি খেয়েছেন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিরামিষ খাবার খান তিনি। নায়িকা বলে কথা, মুটিয়ে গেলে তো হবে না। তাই চিকেন কিংবা কাচ্চি নয়, কাঁঠালের বিরিয়ানিতে মজেছেন এই বলিউড সুন্দরী।
শ্রদ্ধা খাবারের থালার ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে মশলাযুক্ত ভাত। প্লেটে বুন্দি রায়তা এবং আচারসহ পেঁয়াজের টুকরোও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ছবির ক্যাপশানে শ্রদ্ধা লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, নিরামিষাশীদেরও বিরিয়ানি আছে…।’ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তিনি যেটা খাচ্ছেন, সেটা নাকি কাঁঠাল বিরিয়ানি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এটা কিন্তু মোটেও পোলাও নয়।’ এর আগে শ্রদ্ধা কাঁঠাল খাওয়ার ছবিও ইনস্টাস্টেরিতে পোস্ট করেছিলেন।
শুধু মৌসুমি ফল হিসেবে নয়, তরকারি হিসেবেও কাঁঠালের রয়েছে সুখ্যাতি। এছাড়া কাঁঠালের বিরিয়ানির কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। নিরামিষভোজীদের কাছে কাঁঠালের বার্গার ও বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয়। এবার এই জনপ্রিয়তায় পালে যেন আরেকটুই হাওয়া দিলেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। পোস্ট করলেন বিরিয়ানির ছবি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
যদিও ভেজ বিরিয়ানি নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ভেজ বিরিয়ানি বলে আদৌ কিছু হয় না। বিষয়টা আসলে পোলাও। তবে নিরামিষাশীদের দাবি কাঁঠাল বিরিয়ানিও মাংসের বিরিয়ানির মতোই সুস্বাদু হয়। কাঁঠাল (এঁচোড়) বিরিয়ানির জন্য লাগে কাঁঠাল (বাঙালিরা যাকে কিনা এঁচোড় বলেন) চাল, মশলা, দই, আদা, রসুন, জাফরান সহ অন্যান্য উপাদান। এটি বানাতে প্রথমে এঁচোড়কে দই ও মশালা দিয়ে ম্যারিনেট করে ভালো করে রান্না করা হয়, তারপর প্রেসার কুকারে সেটি সেদ্ধ করার পর ভাত দিয়ে আবারও একবার রান্না করা হয়।
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিন শ্রদ্ধা কাপুরও ইনস্টাগ্রামে তাঁর খাবারের থালার এক ঝলক শেয়ার করেছিলেন। সেখানে ছিল বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মহারাষ্ট্রীয় সুস্বাদু খাবার ছিল, যেগুলি সত্যিই জিভে জল আনার মতো ছিল। সেখানে ছিল পুরী, ভাজি, বরণ ভাত, কচোরি, ক্ষীর এবং গাভার। শ্রদ্ধা খুব যত্ন সহকারে প্রতিটি খাবারের আইটেম তাঁদের নাম সহ জানিয়েছিলেন।