অপদস্থ হলেন প্রীতি জিনতা!
একসময়ের বলিউডের তারকা নায়িকা, উদ্যোক্তা প্রীতি জিনতা তার সাম্প্রতিক মুম্বাই সফরে দুটি আলাদা উপলক্ষে অপদস্থ হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনাগুলো তাকে ‘কিছু কথা বলতে বাধ্য করছে’।
সাম্প্রতিক একটি ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্টে প্রীতি জিনতা লিখেছেন, একজন মহিলা তার শিশু জিয়াসহ টডলারে তাদের ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু যখন এই অভিনেত্রী সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখন তার মেয়েকে সেই নারী হাত দিয়ে তুলে ফেললেন ও বড় করে মুখে চুমো খেলেন এবং ‘কি সুন্দর বাচ্চা’ বলে দৌড়ে চলে গেলেন।
‘এই মহিলা একটি অভিজাত ভবনে থাকেন এবং সেই বাগানে এই ঘটনাটি ঘটালেন যেখানে আমার শিশুরা খেলা করে। যদি আমি একজন তারকা না হতাম, তাহলে হয়তো খারাপভাবে আমি তার আচরণের প্রতিবাদ করতাম। তবে আমি আমাকে ঠান্ডা রাখলাম যেহেতু আমি কোনো দুঃখজনক ঘটনার অবতারণা করতে চাইনি’, বলেছেন প্রীতি জিনতা।
প্রীতি জিনতা তার স্বামী জিন গুডেনফ এবং জমজ মেয়ে জিয়া ও জাইকে নিয়ে সুখেই আছেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে এখন আইপিএলের দল কিংস ১১ পাঞ্জাবের সহ-মালিকের সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে যখন তিনি বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন, একজন প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত ভিক্ষুক আগ্রাসী আচরণ করলেন। কেননা প্রীতি জিনতা তাকে টাকা দান করেননি। তখন তার কাছে নগদ টাকা ছিল না।
প্রীতি জিনতা লিখেছেন, ‘তখন আমাকে একটি বিমান ধরতে হবে আমি সেজন্য তাড়াহুড়ো করে যাচ্ছিলাম এবং এই প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আমাকে থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি আমাকে এখানে টাকার জন্য জোরাজুরিই শুধু নয়, খারাপ ব্যবহারই করে যাচ্ছেন। তবে যখন আমি পেরেছি তখনই টাকা দিয়েছি। আজকে যখন সে ভিক্ষা চাইল, আমি কললাম, দুঃখিত আমার কাছে আজকে কোনো নগদ টাকা নেই। কেবল একটি ক্রেডিট কার্ড আছে। তারপরও সে জোরাজুরি করায় আমার সঙ্গে সে মেয়েটি ছিল সে তাকে নিজের পার্স থেকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিল। সে এগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিল ও বলল, এখানে যথেষ্ট টাকা নেই এবং এরপর থেকে আগ্রাসী আচরণ শুরু করল।’
তিনি একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে তার কারটিকে এই প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক অনুসরণ করছে।
এখন ৪৮ বছরের এই তারকা অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা লস অ্যাঞ্জেলসে থাকেন। তিনি এখন তাদের আইপিএলের শুরুর অনুষ্ঠানে অংশ নেবার জন্য ভারতে এসেছেন।
দিল সে, সোলজার, কাল হো না হো, কোই মিল গায়া, ভির জারা ছবিগুলোর জন্য প্রীতি জিনতা বেশ বিখ্যাত।
সবশেষে তিনি জানিয়েছেন, ‘সবার আগে তারকারা প্রত্যেকে একেক জন মানুষ।’
ওএফএস/