রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দলের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচি কোনো জাঁকজমকপূর্ণ রাজনৈতিক স্টান্ট নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সংস্কার-রোডম্যাপ, যা বাস্তবায়নে দলের সদিচ্ছা রয়েছে। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। আমরা যা যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা যখন ৩১ দফা দিয়েছি, তখন দলের মহাসচিব কারাগারে ছিলেন, চেয়ারপারসন ছিলেন বন্দি। সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আমরা এই রূপরেখা দিয়েছি। তাই এটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করবো।”
তিনি স্বীকার করেন, সবকিছু একসাথে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে এটিকে তিনি একটি "চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া" হিসেবে অভিহিত করেন। “যা পারবো করবো, যা এখন সম্ভব নয়, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম করবে” বলেও জানান তিনি।
রাজনৈতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “আমরা যে সংগ্রামের জন্য রাজপথে নেমেছিলাম, তার জন্য বহু প্রাণ গেছে। যুদ্ধ ছাড়া শিশু হত্যা হয় না। তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করছি—যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।”
তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। শুধু সমর্থকদের মধ্যেই নয়, যারা বিএনপির আদর্শে বিশ্বাস করে না, তাদের মধ্যেও ৩১ দফার গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান জানান।
শেষে তিনি বলেন, “সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের পাশে যেতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে। ভোট আনতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। এই প্রতিজ্ঞা আজ সবাইকে নিতে হবে—জনগণের পাশে থাকবো, জনগণকেই আপন করে নেবো।”