সিনেমার বয়কট ঠেকাতে সরকারের কাছে আবেদন
সিনেমা বয়কট যেন বলিউডে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে উঠেছিল সমালোচনা। জ্বালাও পোড়াও প্রেক্ষাগৃহ ভাঙচুর সবই সিনেমার জেরে। পান থেকে চুন খসলেই সিনেমাকে বয়কট করার ঘোষণা করেন নানান সম্প্রদায়ের নানান দর্শক।
বর্তমানে বয়কটের কবলে পড়েছে মুক্তি প্রতীক্ষিত বলিউড বাদশা শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমাটি। দেশ জুড়ে চলছে সিনেমাটি বয়কটের রব। প্রেক্ষাগৃহে এসে দর্শক সিনেমা দেখতে না চাইলে ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থসংকট দেখা দিতে পারে।
তাই সিনেমা বয়কট ঠেকাতে সরকারের সাহায্য কামনা করে আবেদন করেছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই)। এমন খবর জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলিউড তারকাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরই এই পদক্ষেপ। বুধবার অভিনেতা সুনীল শেট্টি ও যোগীর কাছে এই সমস্যার কথা খুলে বলেছিলেন।
বলিউড-বিরোধী মনোভাব এবং আনুষঙ্গিক ঘৃণার বাতাবরণ থেকে বেরোনোর জন্য কী করণীয়, সে বিষয়ে যোগীর পরামর্শ চান সুনীল। পশ্চিমের চলচ্চিত্র কর্মীদের সংগঠনের তরফেও সেই হিংসাপ্রচারের প্রবণতা আটকানোর আর্জি সরকারের কাছে।
সরকারি সাহায্য চেয়ে এফডব্লিউআইসিইর বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক বয়কট প্রবণতা বহু প্রযোজক এবং চলচ্চিত্রকর্মীর সর্বনাশ করে চলেছে। এটা আমরা ভালোভাবে খেয়াল করেছি। বহু মানুষ, যারা ইন্ডাস্ট্রির নানা কাজে যুক্ত এবং সেখান থেকেই রুটিরুজির ব্যবস্থা করেন তাদের চলবে কী করে? শিল্পী থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান আমরা সবাইকে নিয়ে চিন্তিত।’
সেই বিবৃতিতেই লেখা, ‘রক্ত জল করা পরিশ্রম থাকে এক-একটা সিনেমার পিছনে। অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে। সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই যদি টুপ করে খসে যায়, মানুষের সামনে আর পথ খোলা থাকে না। হতাশায়, যন্ত্রণায় ডুবে যেতে হয়। কেন আমরা পরস্পরের কথা ভাবব না? কেন আমরা অন্যের জীবিকায় কোপ বসাব? শান্তি, একতা, সহমর্মিতার কি আর কোনো জায়গা নেই?’
বিবৃতিতে আরও লেখা, ‘যেকোনো ছবি মুক্তির আগেই তার পোস্টারের নিচে কিংবা ট্রেলার মুক্তির পর ভরে যাচ্ছে এই ধরনের মন্তব্য। কিন্তু কেন? আদৌ কি তারা ছবিটা দেখে মন্তব্য করছেন? এক জন হিংসা ছড়িয়ে অন্যকে প্রভাবিত করবেন কেন? বয়কটের রব তুলে এই ধ্বংসের অভিযান বন্ধ হোক। সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’
এএম/এমএমএ/