শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘যাপিত জীবন’ ও একজন নির্মাতার নকশা

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব

সিনেমা মূলতঃ দৃশ্যনির্ভর। এই দৃশ্যকে ফুটিতে তুলতে প্রয়োজন শব্দের। যেটি মূল দৃশ্যগুলো এক সূত্রে বেঁধে রাখে একটি গল্প দিয়ে। দৃশ্যায়ন করার সুবিধার জন্য গল্পটি লেখেন এক বা একাধিক স্টোরি রাইটার। নিটোল একটি গল্প দৃশ্যের পর দৃশ্যে ছন্দে গাঁথেন পরিচালক। কখনো পরিচালক বেছে নেন কালজয়ী জনপ্রিয় একটি উপন্যাস বা গল্পকে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে সাহিত্যিক উপন্যাস বা গল্প লেখেন। সাহিত্যিকের গল্পের ছবিটি দৃশ্যায়ন উপোযোগী করে গড়ে তুলেন চিত্রনাট্যকার। বহু মানুষের কর্মযজ্ঞকে একসূত্রে পরিচালিত করেন সিনেমাটির পরিচালক। এজন্য সিনেমাকে বলা হয় ডিরেক্টরস মিডিয়া।

বাংলা সিনেমার শুরু থেকে সাহিত্য সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হতে তারাশংকর, বনফুল, মানিক বন্দোপাধ্যয়, সমরেশ বসু, রমাপদ চৌধুরী, বিমল মিত্র বহু সাহিত্যিকের গল্প উপন্যাসকে অবলম্বন করে বহু বিখ্যাত সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো জনপ্রিয় হয়েছে এর অনেকগুলোই আখ্যা পেয়েছে কালজয়ী’র। টালিউড তথা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমাকে তাই বলা যায় সাহিত্য নির্ভর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ ছিল নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বন করে বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত হয়েছে পঁচাত্তরটি সিনেমা।

১৯৫৬ সালে নির্মাণ শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা সিনেমার। মুখ ও মুখোশ নামের সিনেমাটির পরিচালক আব্দুল জব্বার খান গল্প হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নিজের লেখা একটি নাটক ‘ডাকাত’ অবলম্বন করে। পূর্ব পাকিস্তানের পরবর্তীতে বাংলাদেশের বাংলা সিনেমার সঙ্গে সাহিত্যের সংযোগ খুব একটা ছিল না। জহির রায়হান পাকিস্তান সময়কালে নজিবর রহমান সাহিত্য রত্নের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আনোয়ারা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশ সময়ে বেশকটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতারা। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ক্লাসিক উপন্যাস লাল সালু অবলম্বনে মসিহউদ্দিন শাকেরও নিয়ামত আলি নির্মাণ করেছিলেন একই নামের সিনেমা। আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাস ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ অবলম্বন করে সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেছিলেন ‘বসুন্ধরা’ নামে সিনেমা। হুমায়ুন আহমেদের ‘শংখনীল কারাগার’ অবলম্বন করে মুস্তাফিজুর রহমান তৈরি করেছিলেন একই নামে সিনেমা। জনপ্রিয় উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমদ নিজের লেখা উপন্যাস নিয়ে নিজেই নির্মাণ করেছিলেন একাধিক সিনেমা। এরমধ্যে উল্লেখ করা যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা ‘শ্যামল ছায়া’।

সরকার বাংলা সিনেমার মান উন্নয়নে অনুদান ঘোষণা করলে সাহিত্য নির্ভর সিনেমা তৈরির দুয়ার খুলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রখ্যাত উপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘যাপিত জীবন’ অবলম্বনে সিনেমা তৈরির অনুদান অনুমোদন পান চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘হাংগর নদী গ্রেনেড’ অবলম্বনে প্রয়াত আখতারুজ্জামান নির্মাণ করেছিলেন একটি সিনেমা। সেলিনা হোসেনের ‘যাপিত জীবন’ উপন্যাসটির গল্পের সময়কাল দেশভাগ থেকে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন। বিশাল ক্যানভাসে সেলিনা হোসেন যাপিত জীবনের সে সময়ের ছবি এঁকেছেন শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে। এই সময়কেই তুলে আনতে হবে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে চলচ্চিত্রের ভাষায়। কাজটি খুব সহজ নয়। দেশ ভাগ শুধু দেশেরই ভাগ হয়নি। দেশ ভাগ হয়েছে ধর্মকে ভিত্তি করে। মুসলিম জাতীয়তাবাদকে শিখন্ডি করে পাকিস্তান নামের অদ্ভুত এক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় ভারত ভাগ করে। এই নতুন রাষ্ট্রটির দুটি অংশ। একটি অংশ পশ্চিম পাকিস্তান অপরটি পূর্ব পাকিস্তান। বিস্ময়কর হলো দুটি ভাগের ভৌগলিক দূরত্ব বারশত মাইল। এই দেশভাগ যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে হয় তাতে বাস্তুচ্যুত হয় লক্ষ লক্ষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিমা ভূস্বামী সামরিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মকে শিখণ্ডি করে যে দেশভাগ করে তার প্রতি পূর্ব অংশের সমর্থন ছিল। এই মানসিকতার উপাদান হিসেবে কাজ করেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ। এই শ্রেণিটি কলকাতায় থেকে শোষণ চালিয়েছে পূর্ব অংশে। দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মধ্যবিত্ত হিন্দু ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়। যাপিত জীবনে সেই সময়ের অনুভূতি তুলে আনাটাও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম চিন্তা চেতনা। পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল তাদের ধর্মকে নিয়ে যে মোহ কল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা ভেঙে যেতে দেরি হয়নি। পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করায় মোহ ভাঙায় অনুঘটকের কাজ করেছে। ৪৭ সালেই শাসক পক্ষের বাংলার বদলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষিত করায় মোহ ভাঙার প্রকাশ্য সূচনা করে। যার পরিণতিতে বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন। বলা যায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের সূচনা যার সমাপ্তি ঘটে একাত্তরের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যাপিত জীবন উপন্যাসটি শুধু গল্প নয় ইতিহাস ও তৎকালীন মননের ছবি।

এটি তুলে ধরতে হবে চলচ্চিত্রের ভাষায়। নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘যাপিত জীবন’ নির্মাণ পরিকল্পনা করতে গিয়ে সেই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন। এর আগে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘রাত্রির যাত্রী’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তবে শিল্পকলার ক্ষেত্রে তিনি নবাগত নন। দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ নাটক নির্দেশনা, শর্ট ফিল্ম ও টেলি নাটক নির্মাণের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে রয়েছে। তিনি ‘যাপিত জীবন’ চিত্রায়িত করার পূর্বে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে চান। বিশাল ক্যানভাসকে সেলুলয়েড বন্দি করতে, সেই সময় সেই মননকে তুলে ধরে একটি ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে খুটিনাটি বিষয়কেও নজরে রাখছেন সেটি আমাদের একটি ক্লাসিক সিনেমা দেখেবে বলে আশাবাদী করে তুলছে। ২০২৩ সালের ভাষা দিবসে সিনেমাটি দর্শকদের সামনে আনতে পারবেন বলে নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব আশাবাদী।

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব সিনেমা অন্ত প্রাণ।একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই অন্ধকার সময়ে বছর পাঁচ আগে দাবি তুললেন তিনশ সংসদীয় আসনে তিনশ সিনেপ্লেক্স চাই। সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সিনেমা হল একটি প্রধান অনুসঙ্গ। এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করে তিনি শুরু করলেন একাই সেই আন্দোলন। আজ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবার এমনকি দর্শকদেরও প্রাণের দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দাবিটির গুরত্ব বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন সব জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স ও সব উপজেলায় কালচারাল কমপ্লেক্স তৈরির। এরই মধ্যে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি আমাদের কাঁকড়া মানসিকতার। যিনি একা এই আন্দোলনটির সূচনা করে জনমত সৃষ্টি করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দাবিটি বাস্তবায়নের পথে নিয়ে এসেছেন তার সাফল্য ছিনিয়ে নিতে একটি শ্রেণি মাঠে নেমে পড়েছে। যার শ্রমে ঘামে একাগ্রতায় এই সাফল্য তাকে যদি আমরা ভুলে যাই তাহলে ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করব। মনে রাখতে হবে ইতিহাস বড় নির্মম ইতিহাস চাপিয়ে রাখলেও ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবেই।

হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নবতর প্রচেষ্টা ‘যাপিত জীবন’ এর সফলতার জন্য বাঙালিরা অপেক্ষা করে আছে। এটি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের চলমান ছবি, সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে তার নিরলস শ্রমের কৃতিত্বের স্বীকৃতির দাবি রাখে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি

টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার শিকার করেছে মা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় দুই শিশু সন্তানকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাদের মা সালেহা বেগম। নিহতরা হলেন মালিহা আক্তার (৬) ও আবদুল্লাহ বিন ওমর (৪)। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, আরিচপুরের জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় ঘরে ছিলেন শুধু সালেহা বেগম। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অন্য কেউ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেনি। ঘটনার পর সালেহা নিজেই তার দুই দেবরকে ডেকে আনেন এবং তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল।

পরে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলে মধ্যরাতে সালেহা স্বীকার করেন, তিনিই বঁটি দিয়ে দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তবে তিনি কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনো অস্পষ্ট।

নিহত শিশুদের বাবা আবদুল বাতেন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে তিনি ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।

সালেহার মা শিল্পি বেগম জানান, সালেহা দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। তবে কখনও অস্বাভাবিক আচরণ করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং সালেহার মানসিক অবস্থা যাচাই করতে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।

এদিকে দুই শিশুর মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিস্তারিত তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস

ছবি: সংগৃহীত

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দেশের সব বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি হতে পারে। রোববারও একই রকম আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

সোমবার সিলেট বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের অন্যান্য বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার ও বুধবারও দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বুধবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ সময়ে জনসাধারণকে সচেতন থাকতে এবং বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি