শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘যাপিত জীবন’ ও একজন নির্মাতার নকশা

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব

সিনেমা মূলতঃ দৃশ্যনির্ভর। এই দৃশ্যকে ফুটিতে তুলতে প্রয়োজন শব্দের। যেটি মূল দৃশ্যগুলো এক সূত্রে বেঁধে রাখে একটি গল্প দিয়ে। দৃশ্যায়ন করার সুবিধার জন্য গল্পটি লেখেন এক বা একাধিক স্টোরি রাইটার। নিটোল একটি গল্প দৃশ্যের পর দৃশ্যে ছন্দে গাঁথেন পরিচালক। কখনো পরিচালক বেছে নেন কালজয়ী জনপ্রিয় একটি উপন্যাস বা গল্পকে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে সাহিত্যিক উপন্যাস বা গল্প লেখেন। সাহিত্যিকের গল্পের ছবিটি দৃশ্যায়ন উপোযোগী করে গড়ে তুলেন চিত্রনাট্যকার। বহু মানুষের কর্মযজ্ঞকে একসূত্রে পরিচালিত করেন সিনেমাটির পরিচালক। এজন্য সিনেমাকে বলা হয় ডিরেক্টরস মিডিয়া।

বাংলা সিনেমার শুরু থেকে সাহিত্য সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হতে তারাশংকর, বনফুল, মানিক বন্দোপাধ্যয়, সমরেশ বসু, রমাপদ চৌধুরী, বিমল মিত্র বহু সাহিত্যিকের গল্প উপন্যাসকে অবলম্বন করে বহু বিখ্যাত সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো জনপ্রিয় হয়েছে এর অনেকগুলোই আখ্যা পেয়েছে কালজয়ী’র। টালিউড তথা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমাকে তাই বলা যায় সাহিত্য নির্ভর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ ছিল নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বন করে বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত হয়েছে পঁচাত্তরটি সিনেমা।

১৯৫৬ সালে নির্মাণ শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা সিনেমার। মুখ ও মুখোশ নামের সিনেমাটির পরিচালক আব্দুল জব্বার খান গল্প হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নিজের লেখা একটি নাটক ‘ডাকাত’ অবলম্বন করে। পূর্ব পাকিস্তানের পরবর্তীতে বাংলাদেশের বাংলা সিনেমার সঙ্গে সাহিত্যের সংযোগ খুব একটা ছিল না। জহির রায়হান পাকিস্তান সময়কালে নজিবর রহমান সাহিত্য রত্নের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আনোয়ারা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশ সময়ে বেশকটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতারা। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ক্লাসিক উপন্যাস লাল সালু অবলম্বনে মসিহউদ্দিন শাকেরও নিয়ামত আলি নির্মাণ করেছিলেন একই নামের সিনেমা। আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাস ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ অবলম্বন করে সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেছিলেন ‘বসুন্ধরা’ নামে সিনেমা। হুমায়ুন আহমেদের ‘শংখনীল কারাগার’ অবলম্বন করে মুস্তাফিজুর রহমান তৈরি করেছিলেন একই নামে সিনেমা। জনপ্রিয় উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমদ নিজের লেখা উপন্যাস নিয়ে নিজেই নির্মাণ করেছিলেন একাধিক সিনেমা। এরমধ্যে উল্লেখ করা যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা ‘শ্যামল ছায়া’।

সরকার বাংলা সিনেমার মান উন্নয়নে অনুদান ঘোষণা করলে সাহিত্য নির্ভর সিনেমা তৈরির দুয়ার খুলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রখ্যাত উপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘যাপিত জীবন’ অবলম্বনে সিনেমা তৈরির অনুদান অনুমোদন পান চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘হাংগর নদী গ্রেনেড’ অবলম্বনে প্রয়াত আখতারুজ্জামান নির্মাণ করেছিলেন একটি সিনেমা। সেলিনা হোসেনের ‘যাপিত জীবন’ উপন্যাসটির গল্পের সময়কাল দেশভাগ থেকে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন। বিশাল ক্যানভাসে সেলিনা হোসেন যাপিত জীবনের সে সময়ের ছবি এঁকেছেন শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে। এই সময়কেই তুলে আনতে হবে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে চলচ্চিত্রের ভাষায়। কাজটি খুব সহজ নয়। দেশ ভাগ শুধু দেশেরই ভাগ হয়নি। দেশ ভাগ হয়েছে ধর্মকে ভিত্তি করে। মুসলিম জাতীয়তাবাদকে শিখন্ডি করে পাকিস্তান নামের অদ্ভুত এক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় ভারত ভাগ করে। এই নতুন রাষ্ট্রটির দুটি অংশ। একটি অংশ পশ্চিম পাকিস্তান অপরটি পূর্ব পাকিস্তান। বিস্ময়কর হলো দুটি ভাগের ভৌগলিক দূরত্ব বারশত মাইল। এই দেশভাগ যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে হয় তাতে বাস্তুচ্যুত হয় লক্ষ লক্ষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিমা ভূস্বামী সামরিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মকে শিখণ্ডি করে যে দেশভাগ করে তার প্রতি পূর্ব অংশের সমর্থন ছিল। এই মানসিকতার উপাদান হিসেবে কাজ করেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ। এই শ্রেণিটি কলকাতায় থেকে শোষণ চালিয়েছে পূর্ব অংশে। দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মধ্যবিত্ত হিন্দু ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়। যাপিত জীবনে সেই সময়ের অনুভূতি তুলে আনাটাও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম চিন্তা চেতনা। পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল তাদের ধর্মকে নিয়ে যে মোহ কল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা ভেঙে যেতে দেরি হয়নি। পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করায় মোহ ভাঙায় অনুঘটকের কাজ করেছে। ৪৭ সালেই শাসক পক্ষের বাংলার বদলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষিত করায় মোহ ভাঙার প্রকাশ্য সূচনা করে। যার পরিণতিতে বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন। বলা যায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের সূচনা যার সমাপ্তি ঘটে একাত্তরের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যাপিত জীবন উপন্যাসটি শুধু গল্প নয় ইতিহাস ও তৎকালীন মননের ছবি।

এটি তুলে ধরতে হবে চলচ্চিত্রের ভাষায়। নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘যাপিত জীবন’ নির্মাণ পরিকল্পনা করতে গিয়ে সেই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন। এর আগে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘রাত্রির যাত্রী’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তবে শিল্পকলার ক্ষেত্রে তিনি নবাগত নন। দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ নাটক নির্দেশনা, শর্ট ফিল্ম ও টেলি নাটক নির্মাণের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে রয়েছে। তিনি ‘যাপিত জীবন’ চিত্রায়িত করার পূর্বে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে চান। বিশাল ক্যানভাসকে সেলুলয়েড বন্দি করতে, সেই সময় সেই মননকে তুলে ধরে একটি ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে খুটিনাটি বিষয়কেও নজরে রাখছেন সেটি আমাদের একটি ক্লাসিক সিনেমা দেখেবে বলে আশাবাদী করে তুলছে। ২০২৩ সালের ভাষা দিবসে সিনেমাটি দর্শকদের সামনে আনতে পারবেন বলে নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব আশাবাদী।

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব সিনেমা অন্ত প্রাণ।একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই অন্ধকার সময়ে বছর পাঁচ আগে দাবি তুললেন তিনশ সংসদীয় আসনে তিনশ সিনেপ্লেক্স চাই। সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সিনেমা হল একটি প্রধান অনুসঙ্গ। এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করে তিনি শুরু করলেন একাই সেই আন্দোলন। আজ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবার এমনকি দর্শকদেরও প্রাণের দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দাবিটির গুরত্ব বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন সব জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স ও সব উপজেলায় কালচারাল কমপ্লেক্স তৈরির। এরই মধ্যে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি আমাদের কাঁকড়া মানসিকতার। যিনি একা এই আন্দোলনটির সূচনা করে জনমত সৃষ্টি করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দাবিটি বাস্তবায়নের পথে নিয়ে এসেছেন তার সাফল্য ছিনিয়ে নিতে একটি শ্রেণি মাঠে নেমে পড়েছে। যার শ্রমে ঘামে একাগ্রতায় এই সাফল্য তাকে যদি আমরা ভুলে যাই তাহলে ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করব। মনে রাখতে হবে ইতিহাস বড় নির্মম ইতিহাস চাপিয়ে রাখলেও ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবেই।

হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নবতর প্রচেষ্টা ‘যাপিত জীবন’ এর সফলতার জন্য বাঙালিরা অপেক্ষা করে আছে। এটি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের চলমান ছবি, সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে তার নিরলস শ্রমের কৃতিত্বের স্বীকৃতির দাবি রাখে।

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত