শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘যাপিত জীবন’ ও একজন নির্মাতার নকশা

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব

সিনেমা মূলতঃ দৃশ্যনির্ভর। এই দৃশ্যকে ফুটিতে তুলতে প্রয়োজন শব্দের। যেটি মূল দৃশ্যগুলো এক সূত্রে বেঁধে রাখে একটি গল্প দিয়ে। দৃশ্যায়ন করার সুবিধার জন্য গল্পটি লেখেন এক বা একাধিক স্টোরি রাইটার। নিটোল একটি গল্প দৃশ্যের পর দৃশ্যে ছন্দে গাঁথেন পরিচালক। কখনো পরিচালক বেছে নেন কালজয়ী জনপ্রিয় একটি উপন্যাস বা গল্পকে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে সাহিত্যিক উপন্যাস বা গল্প লেখেন। সাহিত্যিকের গল্পের ছবিটি দৃশ্যায়ন উপোযোগী করে গড়ে তুলেন চিত্রনাট্যকার। বহু মানুষের কর্মযজ্ঞকে একসূত্রে পরিচালিত করেন সিনেমাটির পরিচালক। এজন্য সিনেমাকে বলা হয় ডিরেক্টরস মিডিয়া।

বাংলা সিনেমার শুরু থেকে সাহিত্য সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হতে তারাশংকর, বনফুল, মানিক বন্দোপাধ্যয়, সমরেশ বসু, রমাপদ চৌধুরী, বিমল মিত্র বহু সাহিত্যিকের গল্প উপন্যাসকে অবলম্বন করে বহু বিখ্যাত সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো জনপ্রিয় হয়েছে এর অনেকগুলোই আখ্যা পেয়েছে কালজয়ী’র। টালিউড তথা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমাকে তাই বলা যায় সাহিত্য নির্ভর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ ছিল নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বন করে বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত হয়েছে পঁচাত্তরটি সিনেমা।

১৯৫৬ সালে নির্মাণ শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা সিনেমার। মুখ ও মুখোশ নামের সিনেমাটির পরিচালক আব্দুল জব্বার খান গল্প হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নিজের লেখা একটি নাটক ‘ডাকাত’ অবলম্বন করে। পূর্ব পাকিস্তানের পরবর্তীতে বাংলাদেশের বাংলা সিনেমার সঙ্গে সাহিত্যের সংযোগ খুব একটা ছিল না। জহির রায়হান পাকিস্তান সময়কালে নজিবর রহমান সাহিত্য রত্নের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আনোয়ারা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশ সময়ে বেশকটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতারা। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ক্লাসিক উপন্যাস লাল সালু অবলম্বনে মসিহউদ্দিন শাকেরও নিয়ামত আলি নির্মাণ করেছিলেন একই নামের সিনেমা। আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাস ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ অবলম্বন করে সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেছিলেন ‘বসুন্ধরা’ নামে সিনেমা। হুমায়ুন আহমেদের ‘শংখনীল কারাগার’ অবলম্বন করে মুস্তাফিজুর রহমান তৈরি করেছিলেন একই নামে সিনেমা। জনপ্রিয় উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমদ নিজের লেখা উপন্যাস নিয়ে নিজেই নির্মাণ করেছিলেন একাধিক সিনেমা। এরমধ্যে উল্লেখ করা যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা ‘শ্যামল ছায়া’।

সরকার বাংলা সিনেমার মান উন্নয়নে অনুদান ঘোষণা করলে সাহিত্য নির্ভর সিনেমা তৈরির দুয়ার খুলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রখ্যাত উপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘যাপিত জীবন’ অবলম্বনে সিনেমা তৈরির অনুদান অনুমোদন পান চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘হাংগর নদী গ্রেনেড’ অবলম্বনে প্রয়াত আখতারুজ্জামান নির্মাণ করেছিলেন একটি সিনেমা। সেলিনা হোসেনের ‘যাপিত জীবন’ উপন্যাসটির গল্পের সময়কাল দেশভাগ থেকে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন। বিশাল ক্যানভাসে সেলিনা হোসেন যাপিত জীবনের সে সময়ের ছবি এঁকেছেন শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে। এই সময়কেই তুলে আনতে হবে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে চলচ্চিত্রের ভাষায়। কাজটি খুব সহজ নয়। দেশ ভাগ শুধু দেশেরই ভাগ হয়নি। দেশ ভাগ হয়েছে ধর্মকে ভিত্তি করে। মুসলিম জাতীয়তাবাদকে শিখন্ডি করে পাকিস্তান নামের অদ্ভুত এক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় ভারত ভাগ করে। এই নতুন রাষ্ট্রটির দুটি অংশ। একটি অংশ পশ্চিম পাকিস্তান অপরটি পূর্ব পাকিস্তান। বিস্ময়কর হলো দুটি ভাগের ভৌগলিক দূরত্ব বারশত মাইল। এই দেশভাগ যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে হয় তাতে বাস্তুচ্যুত হয় লক্ষ লক্ষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিমা ভূস্বামী সামরিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মকে শিখণ্ডি করে যে দেশভাগ করে তার প্রতি পূর্ব অংশের সমর্থন ছিল। এই মানসিকতার উপাদান হিসেবে কাজ করেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ। এই শ্রেণিটি কলকাতায় থেকে শোষণ চালিয়েছে পূর্ব অংশে। দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মধ্যবিত্ত হিন্দু ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়। যাপিত জীবনে সেই সময়ের অনুভূতি তুলে আনাটাও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম চিন্তা চেতনা। পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল তাদের ধর্মকে নিয়ে যে মোহ কল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা ভেঙে যেতে দেরি হয়নি। পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করায় মোহ ভাঙায় অনুঘটকের কাজ করেছে। ৪৭ সালেই শাসক পক্ষের বাংলার বদলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষিত করায় মোহ ভাঙার প্রকাশ্য সূচনা করে। যার পরিণতিতে বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন। বলা যায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের সূচনা যার সমাপ্তি ঘটে একাত্তরের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যাপিত জীবন উপন্যাসটি শুধু গল্প নয় ইতিহাস ও তৎকালীন মননের ছবি।

এটি তুলে ধরতে হবে চলচ্চিত্রের ভাষায়। নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘যাপিত জীবন’ নির্মাণ পরিকল্পনা করতে গিয়ে সেই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন। এর আগে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ‘রাত্রির যাত্রী’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তবে শিল্পকলার ক্ষেত্রে তিনি নবাগত নন। দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ নাটক নির্দেশনা, শর্ট ফিল্ম ও টেলি নাটক নির্মাণের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে রয়েছে। তিনি ‘যাপিত জীবন’ চিত্রায়িত করার পূর্বে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে চান। বিশাল ক্যানভাসকে সেলুলয়েড বন্দি করতে, সেই সময় সেই মননকে তুলে ধরে একটি ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে খুটিনাটি বিষয়কেও নজরে রাখছেন সেটি আমাদের একটি ক্লাসিক সিনেমা দেখেবে বলে আশাবাদী করে তুলছে। ২০২৩ সালের ভাষা দিবসে সিনেমাটি দর্শকদের সামনে আনতে পারবেন বলে নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব আশাবাদী।

নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব সিনেমা অন্ত প্রাণ।একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই অন্ধকার সময়ে বছর পাঁচ আগে দাবি তুললেন তিনশ সংসদীয় আসনে তিনশ সিনেপ্লেক্স চাই। সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সিনেমা হল একটি প্রধান অনুসঙ্গ। এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করে তিনি শুরু করলেন একাই সেই আন্দোলন। আজ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবার এমনকি দর্শকদেরও প্রাণের দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দাবিটির গুরত্ব বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন সব জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স ও সব উপজেলায় কালচারাল কমপ্লেক্স তৈরির। এরই মধ্যে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি আমাদের কাঁকড়া মানসিকতার। যিনি একা এই আন্দোলনটির সূচনা করে জনমত সৃষ্টি করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দাবিটি বাস্তবায়নের পথে নিয়ে এসেছেন তার সাফল্য ছিনিয়ে নিতে একটি শ্রেণি মাঠে নেমে পড়েছে। যার শ্রমে ঘামে একাগ্রতায় এই সাফল্য তাকে যদি আমরা ভুলে যাই তাহলে ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করব। মনে রাখতে হবে ইতিহাস বড় নির্মম ইতিহাস চাপিয়ে রাখলেও ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবেই।

হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নবতর প্রচেষ্টা ‘যাপিত জীবন’ এর সফলতার জন্য বাঙালিরা অপেক্ষা করে আছে। এটি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের চলমান ছবি, সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে তার নিরলস শ্রমের কৃতিত্বের স্বীকৃতির দাবি রাখে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৬ অথবা ২৭ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দল ঘোষণার আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দল ঘোষণা নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেয়ায় জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলের সদস্যসচিব পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে আলোচনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ চারটি পদ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পদগুলোতে কারা থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আরও দুটি পদের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালায় সংগঠনটি। এরপর ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জনমত জরিপও চালালো হয়। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, লোগোসহ বিভিন্ন মতামত জানতে চাওয়া হয়। এদিকে নয়া রাজনৈতিক দলের নাম ইংরেজীতে হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন