সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কে এই কর্ণেল টম পার্কার?

অষ্ট্রেলিয়ান পরিচালক বাজ লুওম্যান পরিচালিত ও স্যাম ব্রোমেলের সঙ্গে তার লেখা যৌথ চিত্রনাট্যে পপ সুপারস্টারের ‘এলভিস’ ছবিটি এখন সিনেমা হলে। সঙ্গীতনির্ভর ছবিটি এলভিসের অল্পদিনের জীবন অবলম্বনে বানানো। অস্টিন বাটলার মার্কিন পপ আইকনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। মোটে ৩০ বছরের অভিনেতা। এটিই তার প্রথম সিনেমা। একজন আমেরিকান অভিনেতা তিনি। এর আগে অভিনয় করেছেন ডিজনি চ্যানেল ও শিশুদের জন্য টাকার বিনিময়ে দেখা ‘চ্যানেল নিকেলোডিয়ান’-এ। শিশু তারকা হিসেবে দারুণ দক্ষ।
তবে উল্লেখযোগ্য হলো, হলিউডের মহাতারকা টম হ্যাংকস তার সঙ্গে আছেন সিনেমাটিতে। তিনি ‘কর্নেল টম পাকার’। ছবির গল্পই শুরু হয়েছে ১৯৭৯ সালে। এলভিসের সাবেক ম্যানেজার তার মৃত্যুশয্যায় ফিরে তাকালেন, কীভাবে তার ভবিষ্যতের পপ কিংয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা হলো। ২৫ মে এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে ছবিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। এরপর অষ্ট্রেলিয়াতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ২৩ জুন। পরের দিন এলভিসের দেশ আমেরিকাতে মুক্তি পেয়েছে। ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটে এর মধ্যেই আয় করেছে ৫৫ মিলিয়ন ডলার।
মিসিসিপিতে জন্ম নেওয়া এলভিসের পুরো নামটি হারিয়ে গিয়েছে তার খ্যাতির ভুবনে। পুরো নাম এলভিস অ্যারেন প্রিসলি। মোটে ৪২ বছরের জীবন তার। একজন অত্যন্ত বিখ্যাত মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা। তাকে ‘কিং অব রক অ্যান রোল’ বলা হয়। ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত, তারকাদের অন্যতম। সঙ্গীতের অন্যতম সেরা। কারো, কারো মতে সবার সেরা। রক অ্যান রোলে তো বটেই। তিনি তার স্টাইল, যৌনাবেদনময় জীবন ইত্যাদি কারণেও খ্যাতিমান।
তার জীবনের নেপথ্য নায়ক, কর্ণেল টমাস অ্যান্ড্রু পার্কার একজন ডাচ-আমেরিকান সঙ্গীত উদ্যোক্তা। এলভিসের ম্যানেজার হিসেবেই খ্যাতিমান তিনি। মারা গিয়েছেন ১৯৯৭ সালের ২১ জানুয়ারি। মোট ৮৭ বছরের দীর্ঘ জীবনের অধিকারী। তাকে ‘দি টাম্পা ডগক্যাচার’ নামেই লোকে চেনে। তিনি ‘রাজা’কে ম্যানেজ করতেন বলে এখনো সুবিদিত হয়ে আছেন। বিতর্ক আছে, রক অ্যান রোলের রাজার আয়ের ৫০ ভাগ তিনি ভাগ বসাতেন। তিনি জীবদ্দশায় এই কৌতুক করতে অভ্যস্ত ছিলেন, তিনিই সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ডগক্যাচার’। শব্দটির অথ এমন, বেয়াড়া প্রতিভাদের যারা কাজে লাগান। লোকে তাকে কর্ণেল নামে ডাকত। তার চরিত্রটিই করেছেন টম হ্যাংকস।
চরিত্রটি নিয়ে হলিউডের সুপারস্টার ও অন্যতম সেরা অভিনেতা তার সামনে ছবিটির প্রদর্শনীর সময় বলেছেন, ‘কর্ণেল টম পার্কার ছিলেন একজন কৌশলী, খাঁটি ও সাধাসিধে মানুষ। এখন এই ধরণের মানুষকে অলস বলে মনে করা হয়। তিনি এমন একজন, যারা এই ধরণের জাদুকরী আলোগুলোকে বুঝতে পারতেন, যারা শহরের প্রান্ত থেকে তাদের ধরে এনে পুরো শহরের মানুষের তাদের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করাতেন। যারা ভালো সময় কাটাতে চাইতেন, গান ভালোবাসতেন।’
পার্কারের জীবনের দীর্ঘসময় রহস্যময়তায় কেটেছে। তিনি দাবী করেছিলেন যে, তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে পরে প্রমাণিত হয়েছে, একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি চলে এসেছেন জন্মস্থান নেদারল্যান্ডস থেকে। তার আসল নাম হলো, আন্দ্রেয়াস কর্ণেলিস ফান কোক।
মার্কিন সেনাবাহিনীতে টম পার্কার নামে সেবা করেছেন। তিনি ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং এজন্য তাকে স্বল্পকালের জন্য একাকী আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। ফলে কোনোদিনও তিনি কর্ণেল পদবীটি লাভ করেননি। তাকে লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নামটি ভালোবেসে দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তিনি হয়েছেন ‘কর্ণেল টম পাকার’।
তিনি তার সঙ্গীতের ব্যবসা জীবন শুরু করেছেন সেই আমলে। দারুণভাবে। তার মেলা বা প্রদর্শনী করার জন্য কার্নিভালের সামর্থ্য ছিল। এই জীবনের শুরু ১৯৩০’র দশকের শুরুতে। তাকে পরিচিত করালো টাম্পা। এটি মেক্সিকোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি উপসাগরীয় শহর। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি প্রধান শহর। এখানে স্লাইডশোগুলো করার কর্মচারীরা কর্মহীন সেশনগুলোতে বাস করতেন।
কর্ণেল টম পার্কারের হৈ, চৈ ফেলে দেওয়া শোর মধ্যে ছিল ‘কর্ণেল টম পার্কার ও তার নাচুনে মুরগির বাচ্চাগুলো’। টাম্পা শহরের এই শোতে তিনি তার জীবন্ত মুরগির বাচ্চাগুলোকে কাঠের মিহি গুড়ার একটি বেশ গরম প্লেটে রাখতেন। সঙ্গীতের তালে, তালে সেগুলো ওখানে নাচতো-লেখা আছে টাম্পা ট্রিবিউনের প্রবন্ধে। তিনি স্বল্পকালের জন্য কান্ট্রি মিউজিক বা মার্কিন দেশের গানের তারকা জিন অস্টিনের প্রচারাভিযানকারী বা ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। এই পুরুষ তারকা গীতিকারও ছিলেন। তার ‘মাই ব্লু হ্যাভেন অ্যালবাম’টি ৫০ লাখ কপির বেশি বিক্রি হয়েছে। ১৯০০ সালে জন্মেছেন ও ১৯৭২ সালে মারা গিয়েছেন। অ্যালবামটি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামগুলোর একটি। তিনি পুরোপুরিভাবে টাম্পাতে স্থায়ী ছিলেন।
এখানে কর্ণেল টম পাকারের শোম্যান শিপের একটি ধরণও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছুটির দিনগুলোতে সান্তা ক্লজের পোশাকে বেরিয়ে পড়তেন ও শিশুদের কুকুর উপহার দিতেন। তবে এগুলোর সত্যতা জানা যায়নি। তার কাজের মধ্যে আছে একটি গৃহপালিত পশুদের কবরখানা তৈরি। তার স্ত্রীর নাম মেরি। ১৯৪৩ সালে কর্ণেল টম পার্কার আবার তার শো ব্যবসায় ফিরে এলেন। তখন তিনি নাশভিলভিত্তিক ‘গ্রান্ড ওল অপরি’র একজন এজেন্ট। এটি একটি মার্কিন সাপ্তাহিক দেশের গানের কনসার্টের স্টেজ। টেনেসির নাশভিলে আছে। ১৯২৫ সালে শুরু।
এখানেই আবার মার্কিন দেশের গানের তারকা এডি আরনল্ড (টানা ছয় দশক গান করেছেন। নাশভিলের এই তারকার ১শ ৪৭টি গান বিলবোর্ডের তালিকায় ছিল। তিনি প্রধান দুইজন তারকা তালিকা গায়কের একজন।) ও হাঙ্ক শো (১৯৫০ দশকের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মার্কিন কান্ট্রি গায়ক। তিনি ৫০ বছরের বেশি গান করেছেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ১৪০টি অ্যালবাম করেছেন ও ৮৫টির বেশি গান তার তালিকাতে এসেছে)’কে তুলে আনতে পেরেছেন।
এরপর তিনি নিজের বুকিং এজেন্সি গড়ে তুলেছেন। এখানেই ১৯৫৫ সালে গান করার জন্য এলভিস এলেন। তাদের জীবনের শুরু হলো। যখন একেবারেই অচেনা, তাকে টম পার্কার একটি গানের জন্য বুক করলেন। কী দেখলেন তিনিই জানেন, এরপর ২শ শোর জন্য এলভিস প্রিসলিকে চুক্তিবদ্ধ করালেন তিনি নিজের কম্পানিতে। তাকে নিজের সবই দিলেন। তৈরি এবং বিকশিত করলেন বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম সেরা শো বিজনেস আকর্ষণ হিসেবে।
ম্যানেজাররা সাধারণত ১০ ভাগ তার খদ্দেরের রয়ালিটি নিয়ে থাকেন। তিনি ৫০ ভাগের জন্য এলভিসের সঙ্গে সফল আলোচনা করেছেন। কারণ হলো, এর চেয়ে ভালো কাউকে এলভিস চিনতেন না ও তাকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করতেন। এলভিস প্রিসলি বলেছেন ১৯৫৭ সালে, ‘জানতাম, তার সঙ্গে আমি একটি সমান্তরাল চুক্তিতে যাচ্ছি। হলিউডের কজন বন্ধু আমাকে জানিয়েছেন। কর্ণেল টম পার্কার সেই ধরণের মানুষ যার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি।’
একটি শস্যাগার বা ভবিষ্যতে কাজে দেবে সবসময়-এমন একটি ট্যুর এলভিসের নাম তৈরির জন্য আয়োজন করলেন এরপর কর্ণেল টম পার্কার। এরপর তাকে টিভি শোগুলোর জন্য বুক করলেন। তারপর তাকে নিয়ে গেলেন সিনেমাতে। এই ছবির মাধ্যমেই এলভিস প্রিসলি একজন আন্তর্জাতিক তারকা হয়েছেন।
কর্ণেল টম পাকার এলভিস প্রিসলিকে নিয়ে একবার বলেছেন ‘যখন এলভিসকে আমি পেলাম, তখন এই শিশুটির ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মেধা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এখন তার এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আছে।’
এলভিসের প্রথম দিকের একটি কনসার্ট করেছেন তিনি ১৯৫৬ সালে। হয়েছে টাম্পার ফোর্ট হোমার হ্যান্টলি আর্মারিতে। এটি সেনাদের একটি ঐতিহাসিক ভবন। টাস্পাতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কর্ণেল টম পার্কার আরেকটি শোটি করলেন, যখন মার্কিন নামকরা বিনোদন সাংবাদিক তার ‘এড সালেভান শো’টি করবেন। এড সালেভানের শোতে নামকরা সঙ্গীতবিদরা কাজ করতেন। ক্যামেরাগুলোর কোনো বিরাম থাকতো না। তিনি তাকে তখন ভক্তদের হাত থেকে লুকিয়ে রাখলেন এবং নিয়ে গেলেন হিউমেইন সোসাইটি ভবনে।
মার্কিন জাতীয় গণমাধ্যমগুলো পার্কার ও এলভিসের জন্য মোহিত ছিল। তাদের সম্পর্ক নিয়ে এপি লিখেছে, ‘১৯৫৬ সালে তারা বছরটিকে হাউন্ড ডগের বছরে পরিণত করেছেন।’ এটি প্রিসলির একটি গান ও পার্কারের আগের চাকরি থেকে নেওয়া বাক্য।
১৯৭৭ সালে এলভিস প্রিসলি মারা গেলেন। আনুষ্ঠানিক কারণ হলো, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া। তবে নানা পরীক্ষায় তার শরীরে উচ্চমাত্রার মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এরপরও পার্কার তার আয় থেকে ৫০ ভাগ নিয়মিতভাবে গ্রহণ করেছেন।
১৯৮০ সালে তাদের জীবনের ওপর বেশি লেখা দি টাম্পা ট্রিবিউন লিখলো, ‘তাদের চুক্তির মাধ্যমে কর্ণেল টম পার্কার আনুমানিক ১শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন।’
‘দি প্রেসলি এস্টেট’ পার্কারকে তার রয়্যালিটির ভাগ থেকে সরে আসার জন্য মামলা দায়ের করলো। ১৯৮৩ সালে তারা আদালতের বাইরে এই চুক্তিতে এলেন যে, পার্কারকে তারা ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবেন। তবে এজন্য তাকে এলভিসের সুনামের অংশীদার হিসেবে রাখতে ও সেসব লাভ গ্রহণ করতে রাখতে হলো।
এভাবেই ‘দি টাম্পা ডগক্যাচার’ প্রিসলির জীবনে থেকে গেলেন। এই বিষয়ে লেখা আছে-‘এলভিস প্রিসলি কারো সঙ্গেই তুলনীয় নয়, কেউই তার সমকক্ষ নন। তিনি এমন একজন রেকডিং আর্টিস্ট বা পর্দার, অ্যালবামের গানের শিল্পী হিসেবে সাফল্য লাভ করেছেন। সেখানে নির্দিষ্টভাবে কর্ণেল টম পার্কারের অবদান আছে। এখান থেকে প্রিসলি, তার এস্টেট, পার্কার, সবকিছুই লাভবান হয়েছে এবং উপকার পেয়েছে।’

ছবি : টাম্পা শহরের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ম্যনেজার ও গুরু কর্ণেল টম পার্কারের সঙ্গে রক অ্যান রোল আইকন এলভিস প্রিসলি। ২. তারা দুজনে ১৯৬৯ সালে। ৩. টম পার্কারের চরিত্রে অভিনয় করা টম হ্যাংকসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক প্রেসিডেনশিয়ান মেডেল অব ফ্রিডম পরিয়ে দিচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ২০১৬ সালে।
ওএস।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ তৃতীয় দিনটা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে। ২৩ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজ যখন বিদায় নেন তখনো ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। তবে জাকের আলীর ৫৩ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।

এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনের শুরুতেই শাহদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল হক প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই দুই ব্যাটার।

তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে।

মুমিনুল ২৩ বলে ৭ ও দিপু ৩১ বলে ১০ রানে নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামেন। তবে এ দিন সুবিধা করতে পারেননি দিপু। দলীয় ৬৬ রানে ৭১ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি।

দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল।

৬২ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মুমিনুল। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১১৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন মুমিনুল। তার বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। ৭৬ বলে করেন ৪০ রান।

এরপর জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলীয় ১৬৬ রানে ৬৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন জাকের আলি। ৬৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

ফিফটি তুলে নেন জাকের। তবে দলীয় ২৩৪ রানে ৬৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তাইজুল। ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ফিরেছেন ৫৩ রান করে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন