মান্না ছাড়া ১৫ বছর
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার চিত্রনায়ক মান্না। যার পারিবারিক নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার। ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক সিনেমায়।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে অকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই সুপারস্টার। আজ নায়ক মান্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে মান্না ভক্তরা আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন প্রিয় এই নায়ককে।
১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে উঠে আসেন এ নায়ক।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’ সিনেমার মাধ্যমে মান্নার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। সিনেমাটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও মান্না নায়ক হিসেবে সফলতা পান ১৯৯১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘কাশেম মালার প্রেম’ সিনেমা দিয়ে। এরপর একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।
দেশের চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতা নিয়ে সংকটে পড়েছিল, তখন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে মান্না গঠন করেন ‘কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা। প্রযোজক হিসেবেও সফল হয়েছিলেন এই নায়ক। তার প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’সহ অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা।
২০০৩ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মান্না। তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ সিনেমা বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সিনেমাটির জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান।
মান্না অভিনয় করার পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এএম/এসএন