বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুই স্ত্রী আত্নহত্যা করেছেন বলেও শোনা গেছে...

হিমু ও তাজিনের মৃত্যুর সময়ই উপস্থিত থাকা কে এই ব্যাক্তি?

ছবি : সংগৃহীত

২০১৮ সালের ২২ মে। দুপুর ১২ টার দিকে নিজের উত্তরার বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। দ্রুত তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেল নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন এই অভিনেত্রী। মৃত্যুর সময় জানা যায়, উত্তরার বাসায় একাই থাকতেন এই অভিনেত্রী। তবে মৃত্যুর সময় তার কাছে ছিলেন একজন মেকআপম্যান। সেই মেকআপম্যানই হাসপাতালে নিয়ে আসে তাজিন আহমেদ কে।

ঘটনার পাঁচ বছর পর, গতকাল ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার বাসায় মারা যান অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। যদিও হাসপাতালে নেয়ার পরই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন সবাই। কাকতালীয়ভাবে হিমুর বাসায় ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সেই মেকআপম্যান। বন্ধুসহ হিমুকে সেও হাসপাতালে নিয়ে যান। তার দুই স্ত্রী আত্নহত্যা করেছেন বলেও শোনা গেছে।

ওই সময় সেই বন্ধু পালিয়ে গেলেও আটক ছিলেন সেই মেকআপম্যন। সেই মেকআপম্যানের নাম মিহির। জানা যায়, তার বাড়ি সিলেটে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি মেকআপ আর্টিষ্ট হিসেবে কাজ করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুবার বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়।


হুমায়রা হিমুকে হত্যা না আত্নহত্যা করেছে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে জানা না গেলেও তার মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয় সেটা সবারই অনুমান। সেই সঙ্গে অনেকের অনুমান ঘটনা যেটাই ঘটুক তার সঙ্গে মিহিরের যুক্ততা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতা জানান, মিহিরের সঙ্গে মেয়ে অভিনয়শিল্পীদের সুসম্পর্ক বেশি। প্রবাসী দুই অভিনেত্রীর সঙ্গেও আছে দারুন সম্পর্ক। যারা দেশে আসলেই মিহিরের স্বরনাপন্ন হন।

মিহির সম্পর্কে আজ দুপুরে উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেকআপ আর্টিস্ট মিহির একসময় অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত মেকআর্টিস্ট ছিল। আমরা তখন নিয়মিত কাজ করতাম। শ্রাবন্তী তখন প্রথম সারির নায়িকা। শ্রাবন্তী যখন মিহিরকে নিতো তখন মিহিরের অনেক দাপট ছিল। শ্রাবন্তীর পরিবর্তনের সাথে সাথে, চলে যাওয়ার সাথে সাথে মিহিরের ও অবস্থান পরিবর্তন হয়। তারপর মিহিরকে তাজিন আপার সঙ্গে পাই। তাজিনের মৃত্যুর ঘটনার সময়ও মিহির ছিল। একইভাবে হুমায়ারা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায়ও মিহির ছিল।। হিমুর সমস্ত তথ্য, জীবনের যাপনের কষ্ট, সব কিছু মিহির জানে। মিহিরকে ডিবি বা পুলিশের ইন্টারোগেশনে আসা উচিত৷ তাকে জিজ্ঞাসা করলেই তথ্য পাওয়া যাবে এটা কি অপমৃত্যু, না অন্য কিছু।’

জানা যায়, বেশ কয়েকবছর হলো হিমুর বাসায় থাকতেন মিহির। হিমুর দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। গতকাল হিমুকে হাসপাতালে নেয়ারও সময়ও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মেকআপম্যানদের সংগঠন ‘মেকআপ আর্টিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়, মিহির একবার তাদের সংগঠনের ফরম পূরণ করেছিল কিন্তু পূর্ণ সদস্যপদ গ্রহণ করেনি। এমনকি পরে যোগাযোগও করেননি। তাই মিহির সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

তবে অনেক অভিনেত্রীর আস্থাভাজন মিহির। এক অভিনেত্রী দাবি করেন, ‘মিহির নিঃসঙ্গ মানুষের পাশে থাকে। শুটিং সেটে কোনো অন্যায় হলে সেটার প্রতিবাদ করে। এ কারণে অনেকের অপ্রিয় হতে পারে। তাই তার নামে নানা কথা ছড়ানো হচ্ছে।’

তবে গতকাল হিমুর মৃত্যর পর মিহিরকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবি জানান। অনেকের ধারণা, মিহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে হিমুর মৃত্য নিয়ে আসল রহস্য।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের অধিক সময় পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এখনও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা নিজেদের হারানো স্বজনদের খোঁজে ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে ছুটে যাচ্ছেন। তবে তাদের পক্ষে কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেবল কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাফার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মৃতদেহের খোঁজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১২০টি পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মরদেহের কেবল কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে, কিছু মরদেহ সম্পূর্ণ পচে গেছে। এক স্বেচ্ছাসেবী জানায়, পরিবারের সদস্যরা হারানো স্বজনদের খুঁজতে শতাধিক ফোন করেছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হলেও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে প্রচুর সময় লেগে যাচ্ছে। গত ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি, হাজার হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা থেকে চার কোটি ২০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষ সরাতে হবে, যা সম্পূর্ণ করতে ১০ বছর সময়ও লাগতে পারে। এই পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে প্রায় ৭০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। এ ছাড়া, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অবিস্ফোরিত বোমাগুলোর নিষ্ক্রিয়করণ কিংবা অপসারণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। তাই এই কাজে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা

ছবি: সংগৃহীত

ইতালির রোম থেকে ঢাকা আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটে বোমা রয়েছে এমন আতঙ্কের পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। তবে, তল্লাশি শেষে কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানে কোনো বোমা বা ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বোমা থাকার আশঙ্কা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ খবরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত জোরদার করা হয়। বিমানবাহিনী, সিভিল এভিয়েশন এবং এভসেকের দল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়।

বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে সকালে সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

পরে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানটি তল্লাশি করে। সিট, করিডোর, টয়লেট ও ক্যাফে সহ বিমানটির সকল স্থানে চেকিং চালানো হয়। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজগুলোও তল্লাশি করা হয়, তবে সেগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।

শেষে, নিরাপদে বিমানটি তৃতীয় টার্মিনালে সরিয়ে যাত্রীদেরকে স্বস্তির সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়। ফ্লাইটটিতে মোট ১৩ জন ক্রু এবং ২৫৪ জন যাত্রী ছিল।

Header Ad
Header Ad

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।

তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।

আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি