শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আদালতে লড়ছেন রজনীকান্তের স্ত্রী লতা

আংশিক সাহায্য করা হয়েছে অভিনেতা রজনীকান্তের স্ত্রীকে, কর্নাটক হাই কোর্ট থেকে অপরাধের মামলাতে। তবে ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কর্নাটক বা সাবেক মহিশূর রাজ্য’র হাই কোর্ট বাতিল করে দিয়েছেন প্রতারণা, মিথ্যা তথ্য দান ও ভুল হবে জেনেও তথ্য দানের অভিযোগগুলো। জালিয়াতির অভিযোগ বা মামলাটির এই অংশের আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন। এই অংশে আদালতে অভিযোগ আছে, একটি বিশেষ ও ব্যক্তিগত কারণজনিত ছবির দুই প্রযোজকের (চেন্নাইভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড) নামে একটি ভুল (মিথ্যা) চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেটি ইস্যু করেছেন ব্রডকাস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্গালুরুর ঠিকানায়ও। সেটি আসলে নেই। আর তিনি কী ভেবে ২০১৪ সালে তার বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির বিপক্ষের আবেদনেও এই চিঠিগুলোর কপি দিয়েছিলেন? মানুষটি আর কেউ নন, লতা রজনীকান্ত। ভারতের মেগা স্টার রজনীকান্তের স্ত্রী।

ভালো নাম তার কবেই হারিয়ে গিয়েছে। শিবাজি রাও গায়কোয়াদ। ৭১ বছরের এই মহান অভিনেতা একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তামিল সিনেমা ভুবনের রাজা। হিন্দি ছবিরও সুপারস্টার। তার নামেই ছবি চলে। তামিলনাড়ু রাজ্য তার সোনার সন্তানকে চারবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার দিয়েছে। পেয়েছেন ফিল্মফেয়াররের তামিল সেরা অভিনেতার পুরস্কারও। তবে তিনি এখন পুরস্কারের উর্ধ্বে। ১৯৭৫ সালে নাটকের মাধ্যমে শুরু। পরস্পরের প্রতি ক্রীড়াশীল চরিত্রগুলোর জন্য তার রাজ্য ও সারা দেশের মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য ভালো অভিনেতার সম্মান লাভ করেছেন। ১৯৯৫ সালের ‘কৃষ্ণ’ তার অভিনয়ের একটি মাইলফলক। জীবনের প্রধান বাণিজ্যিক ছবিগুলোর অন্যতম। এই ছবিই তামিলনাড়ুতে তাকে ‘ঈশ্বর’র আসনে বসিয়ে দিয়েছে। ২০০৭ সালের ছবি তার ভালো নামের ও বিশ্বখ্যাত ভারতীয় রাজা শিবাজি’র জীবন অবলম্বনে বনানো ‘শিবাজি’ তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে ১শ কোটি রূপী মুনাফা করেছে।

অথচ একটি কৃষক বংশের ছেলে তিনি। ১৯৯৬ সালে একা হাতে ডিএমকেকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। এমন কত কীর্তি তার। জীবনে এক সময় বাসের কন্ট্রাক্টর ছিলেন। নির্মলা নামের একজন মেডিক্যালের ছাত্রীকে দেখে প্রেমে পড়ে যান ও ভালোবাসার শুরু হয় দুজনের। তিনিই তাকে এখনকার এম. জে. আর. গভর্নমেন্ট ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে বলেন। এরপরই অভিনয় জীবনের শিক্ষা ও ভিন্নভাবে চলা শুরু হয় রজনীকান্তের। তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার রাজধানী চেন্নাইতে পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।

তার সেই প্রেম টেকেনি। জীবনের ভাঙা গড়া এমন অনেক আছে মানুষটির। এরপর প্রকাশিত হলো লতা রাঙ্গাশাড়ির নেওয়া তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা রজনীকান্তের সাক্ষাৎকার তাদের কলেজ ম্যাগাজিনে। তিনি তখন ইতিরিজ কলেজ ফর উইম্যানের ছাত্রী। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে। তখনই মেয়েদের মধ্যে ও অভিনয়ের আলো ছড়াতে শুরু করেছে তামিলদের প্রিয় অভিনেতার।

১৯৮১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করলেন। দুটি মেয়ে আছে তাদের। একটি বিদ্যালয় আছে তার স্ত্রীর-‘দি আশ্রম’। ধানুশকে বিয়ে করেছেন তাদের বড় মেয়ে ইয়েশ্বরিয়া। ছোট মেয়ে সুন্দরিয়া গ্রাফিক ডিজাইনার, পরিচালক, প্রযোজক তামিল ছবিতে। তবে তাদের বিচ্ছেদ ২০০৭ সালের জুলাইতে। এরপর ব্যবসায়ী ও অভিনেতাকে বিয়ে করেছেন রজনীকান্তের মেয়ে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। এহেন জীবনে তামিল ছবির সেরা অভিনেতা পড়েছেন নতুন বিপদে। সে কাহিনীই।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ও স্ত্রীকে যে মামলাটি এখন হাই কোর্টে দৌড়াতে হচ্ছে মুখে চুন, কালি মেখে-সেটি করেছে তাদের চেন্নাইয়ের ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ২০১৫ সালে। টানা সাত বছর ধরে চলছে। একটি অপরাধের মামলা। উচ্চ আদালত তার বিপক্ষে নকল প্রমাণটি দেওয়ার অভিযোগের নিস্পত্তি চলমান রাখতে নিদের্শ দিয়েছেন।

বিচারক এম. নেপ্রাসন্না তার ২ আগষ্ট দেওয়া আদেশে আংশিকভাবে মিসেস রজনীকান্তের পিটিশন গ্রহণ করেছেন। তিনি ২০২১ সালের ২৭ মর্টি মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন যে, অনেকগুলো অপরাধের বিপক্ষে তার নামে চার্জ শিট দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি, সেগুলো অবগত হয়ে আদেশ প্রদান করতে।

এরও আগে ২০১৫ সালে ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড, ব্যাঙ্গালুরুর একটি মেজিস্ট্রেটের আদালতে একটি বেসরকারী অভিযোগ দায়ের করে। তারা অভিযুক্ত করেন, লতা রজনীকান্তকে যে, তিনি ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালুরুর একটি সিভিল কোর্টে একটি বানোয়াট বা মিখ্যা প্রমাণ দিয়ে একটি অস্থায়ী আদেশ লাভ করেছেন তাদের কম্পানি ও অনেকগুলো গণমাধ্যম হাউজের বিপক্ষে। তিনি এই কাজ করেছেন আর্থিক লেনদেনের বিতর্ক তৈরির পর।

তাদের দায়ের করা আদালতের মামলাটি ছিল ও মিসেস রজনীকান্তের অস্থায়ী আদেশটি লাভ করা ছিল ব্যুরো বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের। তারা তামিল ছবি ‘কোসাডিয়ান’ প্রযোজনা করেছেন। ছবিটি একটি তামিল থ্রিডি অ্যানিমেটেড, রজনীকান্তের ছোট মেয়েটি প্রযোজনা করেছেন। ভারতের প্রথম ফটোরিয়েলিসটিক মোশন ক্যাপচার ফরমেটে বানানো সিনেমা। তার বাবা চারটি চরিত্র করেছেন। ২৫ কোটি রূপীর সিনেমাটি এখন ৪২ কোটি রূপী আয় করেছে।

তবে তারা তখন অভিযোগ করেছিলেন যে, মিসেস রজনীকান্ত তার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, দিয়েছিলেন ব্যুরো ও মিডিয়া ওয়ানকে, সেটি রাখেননি। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন। তখন ক্ষতি হলেও এখন লাভে সিনেমাটি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো হামলে পড়েছিল। মামলাও হয়ে গেল।

ব্যাঙ্গালুরু সিভিল কোর্টের পর ২০১৫ সালে লতা রজনীকান্ত প্রাদেশিক বা রাজ্য আদালতে এখতিয়ারের আবেদন দায়ের করেন। এরপর অস্থায়ী আদেশও লাভ করেন। তারপর ব্যুরো একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর মেজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে আদেশ হলো, ২০১৫ সালের জুনে, তদন্ত পুলিশ করবে।

পরের বছরের জুনে কর্নাটক হাই কোর্ট তাদের সবার অভিযোগ বাতিল করে দিলেন এই রায়ে, এটি সুশীল সমাজের একটি বিশেষ বিতর্কের ফলাফল ও এখানে কোনো উপাদান ছিল না যেগুলো মিসেস রজনীকান্তের বিপক্ষে করা হয়েছে। তবে তারা থামলেন না। ফলে ২০১৮ সালে অ্যাপেক্স কোর্ট (সুপ্রীম কোর্ট) অপরাধ বিচারের ধারাবাহিকতা রাখতে আদেশ দিলেন। এরপর পুলিশ তার বিপক্ষে একটি চার্জ শিট দিলো।

তারপর কনাূটকের হাই কোর্ট জানিয়েছে, মাঝের ট্রায়াল কোর্টে অভিযোগগুলো ভারতীয় আইনের সেকশনস ১৯৬ ও ১৯৯ অনুসারে বিচারাধিকারের নিয়মে হয়নি। ১৯৬ ধারাতে আসে, ভুল হবে এমন উপাত্ত ব্যবহার ও ১৯৯ তে আসে, মিথ্যা ভাষ্য দেওয়ার ডিক্লারেশনটি, যেটি আইনে একটি উপাত্ত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। ১৯৫ সেশনের অধীনে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের এখানে একটি বাধা আছে, সেখানে বিনোদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনোদিত করার বিধান আছে। এই বিষয়টি মিসেস রজনীকান্তের পক্ষে গিয়েছে।

এরপর হাই কোর্ট আরো জানিয়েছে, এখানে এমন কোনো উপাদান নেই, অভিযোগের যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তিনি জালিয়াতি করেছেন। তারপরও আদালত সেকশন ৪৬৩’র অধীনে মামলায় জালিয়াতির অভিযোগ আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন লতা রজনীকান্তের বিপক্ষে, ভারতীয় পেনাল কোড অনুসারে, যেহেতু এটি বিচ্ছেদ্য আইপিসির ১৯৬ ও ১৯৯ সেকশনের অপরাধগুলো থেকে। একজন স্কুল প্রধান ও রজনীকান্তের ন্ত্রী এ কোন বিপদে পড়লেন?

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার