শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আদালতে লড়ছেন রজনীকান্তের স্ত্রী লতা

আংশিক সাহায্য করা হয়েছে অভিনেতা রজনীকান্তের স্ত্রীকে, কর্নাটক হাই কোর্ট থেকে অপরাধের মামলাতে। তবে ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কর্নাটক বা সাবেক মহিশূর রাজ্য’র হাই কোর্ট বাতিল করে দিয়েছেন প্রতারণা, মিথ্যা তথ্য দান ও ভুল হবে জেনেও তথ্য দানের অভিযোগগুলো। জালিয়াতির অভিযোগ বা মামলাটির এই অংশের আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন। এই অংশে আদালতে অভিযোগ আছে, একটি বিশেষ ও ব্যক্তিগত কারণজনিত ছবির দুই প্রযোজকের (চেন্নাইভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড) নামে একটি ভুল (মিথ্যা) চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেটি ইস্যু করেছেন ব্রডকাস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্গালুরুর ঠিকানায়ও। সেটি আসলে নেই। আর তিনি কী ভেবে ২০১৪ সালে তার বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির বিপক্ষের আবেদনেও এই চিঠিগুলোর কপি দিয়েছিলেন? মানুষটি আর কেউ নন, লতা রজনীকান্ত। ভারতের মেগা স্টার রজনীকান্তের স্ত্রী।

ভালো নাম তার কবেই হারিয়ে গিয়েছে। শিবাজি রাও গায়কোয়াদ। ৭১ বছরের এই মহান অভিনেতা একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তামিল সিনেমা ভুবনের রাজা। হিন্দি ছবিরও সুপারস্টার। তার নামেই ছবি চলে। তামিলনাড়ু রাজ্য তার সোনার সন্তানকে চারবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার দিয়েছে। পেয়েছেন ফিল্মফেয়াররের তামিল সেরা অভিনেতার পুরস্কারও। তবে তিনি এখন পুরস্কারের উর্ধ্বে। ১৯৭৫ সালে নাটকের মাধ্যমে শুরু। পরস্পরের প্রতি ক্রীড়াশীল চরিত্রগুলোর জন্য তার রাজ্য ও সারা দেশের মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য ভালো অভিনেতার সম্মান লাভ করেছেন। ১৯৯৫ সালের ‘কৃষ্ণ’ তার অভিনয়ের একটি মাইলফলক। জীবনের প্রধান বাণিজ্যিক ছবিগুলোর অন্যতম। এই ছবিই তামিলনাড়ুতে তাকে ‘ঈশ্বর’র আসনে বসিয়ে দিয়েছে। ২০০৭ সালের ছবি তার ভালো নামের ও বিশ্বখ্যাত ভারতীয় রাজা শিবাজি’র জীবন অবলম্বনে বনানো ‘শিবাজি’ তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে ১শ কোটি রূপী মুনাফা করেছে।

অথচ একটি কৃষক বংশের ছেলে তিনি। ১৯৯৬ সালে একা হাতে ডিএমকেকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। এমন কত কীর্তি তার। জীবনে এক সময় বাসের কন্ট্রাক্টর ছিলেন। নির্মলা নামের একজন মেডিক্যালের ছাত্রীকে দেখে প্রেমে পড়ে যান ও ভালোবাসার শুরু হয় দুজনের। তিনিই তাকে এখনকার এম. জে. আর. গভর্নমেন্ট ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে বলেন। এরপরই অভিনয় জীবনের শিক্ষা ও ভিন্নভাবে চলা শুরু হয় রজনীকান্তের। তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার রাজধানী চেন্নাইতে পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।

তার সেই প্রেম টেকেনি। জীবনের ভাঙা গড়া এমন অনেক আছে মানুষটির। এরপর প্রকাশিত হলো লতা রাঙ্গাশাড়ির নেওয়া তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা রজনীকান্তের সাক্ষাৎকার তাদের কলেজ ম্যাগাজিনে। তিনি তখন ইতিরিজ কলেজ ফর উইম্যানের ছাত্রী। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে। তখনই মেয়েদের মধ্যে ও অভিনয়ের আলো ছড়াতে শুরু করেছে তামিলদের প্রিয় অভিনেতার।

১৯৮১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করলেন। দুটি মেয়ে আছে তাদের। একটি বিদ্যালয় আছে তার স্ত্রীর-‘দি আশ্রম’। ধানুশকে বিয়ে করেছেন তাদের বড় মেয়ে ইয়েশ্বরিয়া। ছোট মেয়ে সুন্দরিয়া গ্রাফিক ডিজাইনার, পরিচালক, প্রযোজক তামিল ছবিতে। তবে তাদের বিচ্ছেদ ২০০৭ সালের জুলাইতে। এরপর ব্যবসায়ী ও অভিনেতাকে বিয়ে করেছেন রজনীকান্তের মেয়ে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। এহেন জীবনে তামিল ছবির সেরা অভিনেতা পড়েছেন নতুন বিপদে। সে কাহিনীই।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ও স্ত্রীকে যে মামলাটি এখন হাই কোর্টে দৌড়াতে হচ্ছে মুখে চুন, কালি মেখে-সেটি করেছে তাদের চেন্নাইয়ের ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ২০১৫ সালে। টানা সাত বছর ধরে চলছে। একটি অপরাধের মামলা। উচ্চ আদালত তার বিপক্ষে নকল প্রমাণটি দেওয়ার অভিযোগের নিস্পত্তি চলমান রাখতে নিদের্শ দিয়েছেন।

বিচারক এম. নেপ্রাসন্না তার ২ আগষ্ট দেওয়া আদেশে আংশিকভাবে মিসেস রজনীকান্তের পিটিশন গ্রহণ করেছেন। তিনি ২০২১ সালের ২৭ মর্টি মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন যে, অনেকগুলো অপরাধের বিপক্ষে তার নামে চার্জ শিট দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি, সেগুলো অবগত হয়ে আদেশ প্রদান করতে।

এরও আগে ২০১৫ সালে ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড, ব্যাঙ্গালুরুর একটি মেজিস্ট্রেটের আদালতে একটি বেসরকারী অভিযোগ দায়ের করে। তারা অভিযুক্ত করেন, লতা রজনীকান্তকে যে, তিনি ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালুরুর একটি সিভিল কোর্টে একটি বানোয়াট বা মিখ্যা প্রমাণ দিয়ে একটি অস্থায়ী আদেশ লাভ করেছেন তাদের কম্পানি ও অনেকগুলো গণমাধ্যম হাউজের বিপক্ষে। তিনি এই কাজ করেছেন আর্থিক লেনদেনের বিতর্ক তৈরির পর।

তাদের দায়ের করা আদালতের মামলাটি ছিল ও মিসেস রজনীকান্তের অস্থায়ী আদেশটি লাভ করা ছিল ব্যুরো বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের। তারা তামিল ছবি ‘কোসাডিয়ান’ প্রযোজনা করেছেন। ছবিটি একটি তামিল থ্রিডি অ্যানিমেটেড, রজনীকান্তের ছোট মেয়েটি প্রযোজনা করেছেন। ভারতের প্রথম ফটোরিয়েলিসটিক মোশন ক্যাপচার ফরমেটে বানানো সিনেমা। তার বাবা চারটি চরিত্র করেছেন। ২৫ কোটি রূপীর সিনেমাটি এখন ৪২ কোটি রূপী আয় করেছে।

তবে তারা তখন অভিযোগ করেছিলেন যে, মিসেস রজনীকান্ত তার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, দিয়েছিলেন ব্যুরো ও মিডিয়া ওয়ানকে, সেটি রাখেননি। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন। তখন ক্ষতি হলেও এখন লাভে সিনেমাটি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো হামলে পড়েছিল। মামলাও হয়ে গেল।

ব্যাঙ্গালুরু সিভিল কোর্টের পর ২০১৫ সালে লতা রজনীকান্ত প্রাদেশিক বা রাজ্য আদালতে এখতিয়ারের আবেদন দায়ের করেন। এরপর অস্থায়ী আদেশও লাভ করেন। তারপর ব্যুরো একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর মেজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে আদেশ হলো, ২০১৫ সালের জুনে, তদন্ত পুলিশ করবে।

পরের বছরের জুনে কর্নাটক হাই কোর্ট তাদের সবার অভিযোগ বাতিল করে দিলেন এই রায়ে, এটি সুশীল সমাজের একটি বিশেষ বিতর্কের ফলাফল ও এখানে কোনো উপাদান ছিল না যেগুলো মিসেস রজনীকান্তের বিপক্ষে করা হয়েছে। তবে তারা থামলেন না। ফলে ২০১৮ সালে অ্যাপেক্স কোর্ট (সুপ্রীম কোর্ট) অপরাধ বিচারের ধারাবাহিকতা রাখতে আদেশ দিলেন। এরপর পুলিশ তার বিপক্ষে একটি চার্জ শিট দিলো।

তারপর কনাূটকের হাই কোর্ট জানিয়েছে, মাঝের ট্রায়াল কোর্টে অভিযোগগুলো ভারতীয় আইনের সেকশনস ১৯৬ ও ১৯৯ অনুসারে বিচারাধিকারের নিয়মে হয়নি। ১৯৬ ধারাতে আসে, ভুল হবে এমন উপাত্ত ব্যবহার ও ১৯৯ তে আসে, মিথ্যা ভাষ্য দেওয়ার ডিক্লারেশনটি, যেটি আইনে একটি উপাত্ত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। ১৯৫ সেশনের অধীনে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের এখানে একটি বাধা আছে, সেখানে বিনোদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনোদিত করার বিধান আছে। এই বিষয়টি মিসেস রজনীকান্তের পক্ষে গিয়েছে।

এরপর হাই কোর্ট আরো জানিয়েছে, এখানে এমন কোনো উপাদান নেই, অভিযোগের যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তিনি জালিয়াতি করেছেন। তারপরও আদালত সেকশন ৪৬৩’র অধীনে মামলায় জালিয়াতির অভিযোগ আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন লতা রজনীকান্তের বিপক্ষে, ভারতীয় পেনাল কোড অনুসারে, যেহেতু এটি বিচ্ছেদ্য আইপিসির ১৯৬ ও ১৯৯ সেকশনের অপরাধগুলো থেকে। একজন স্কুল প্রধান ও রজনীকান্তের ন্ত্রী এ কোন বিপদে পড়লেন?

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা