সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষার ফল কবে, জানাল বোর্ড

ফাইল ছবি

আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

বুধবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সময় দেওয়ার ওপর।

তপন কুমার সরকার বলেন, মূল পরীক্ষা ও তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও একই সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। ফলে ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলছে। তবে তারিখ নির্ধারিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রী সময়সূচির প্রয়োজন।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের এক সদস্য বলেন, গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাই ১২ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। মূল্যায়ন শেষে তারা তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাবেন। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা চিন্তা করেছি ৯, ১০ অথবা ১১ মে ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাব। ফল তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

Header Ad
Header Ad

ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা সেই প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের একদল এমপির দেওয়া প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথবিষয়ক অল–পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এএপিজি) গত নভেম্বরে ওই প্রতিবেদন দেয়। তাতে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখিত অনেক তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাউস অব কমন্সে একজন এমপি অভিযোগ দেওয়ার পর ওই প্রতিবেদন আর বিতরণ করা হচ্ছে না এবং সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার আওতায় একটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে রয়েছে। এটা আর বিতরণ করা হচ্ছে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন মাস পর গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়। ওই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক দমনপীড়ন চালায়, যাতে আনুমানিক এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এএপিজি) ওই প্রতিবেদনে হাসিনার উত্তরসূরি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে এএপিজির চেয়ার কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু রোসিনডেল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত, যেখানে শুধু ক্ষমতাসীনদের সমর্থকদের জন্য নয় বরং সবার জন্য সুযোগ থাকবে। অবিলম্বে এই ধারার পরিবর্তন না হলে নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে আশা করছে, তা উধাও হয়ে বিপদ তৈরি করবে।’

প্রতিবেদনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার এবং ‘উগ্রপন্থী ইসলামিস্টদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ করে বলা হয়, আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, পণ্ডিতজন, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত বেশি সংখ্যায় হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে যে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনটি মূলত নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য–প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরাইলের হামলা সফল; বললেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবিঃ সংগৃহীত

গত ১৫ মাসের ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ভয়াবহ অভিযানকে সফল বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই অভিযানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ‘আমূল পরিবর্তন’ আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গতকাল রোববার ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শেষ পূর্ণ কার্যদিবস। এ দিন সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের নিউ চার্লসটন শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, “সীমাহীন যন্ত্রণা, ধ্বংস ও প্রাণহানির পর আজ থেকে গাজায় কামান-বন্দুকের শব্দ বন্ধ হলো। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান অত্যন্ত সফল। কারণ এ অভিযানের জেরে হামাস একদিকে নিজের শীর্ষ নেতাদের হারিয়েছে, অন্যদিকে হামাসকে যারা অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে, তাদেরও প্রায় কোমরভাঙা অবস্থা।”

“হামাসের সবচেয়ে বড় সমর্থক ও সহায়তাকারী গোষ্ঠী ছিল হিজবুল্লাহ। এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহ তার শীর্ষ নেতৃত্বকে হারিয়ে প্রায় তছনছ হয়ে গেছে। গোষ্ঠীটি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে হামাসকে আর তারা সহায়তা করবে না।”

“লেবাননে আমরা বহু বছর ধরে একটি কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে চাইছি। সেই চেষ্টা আমাদের এখনও রয়েছে, কিন্তু এটিও সত্য যে লেবাননে সামরিক অভিযানে আমরা ইসরায়েলকে সহায়তা করেছি।”

“আর সেই অভিযানের ফলাফল দেখুন, আজ লেবানন হিজবুল্লাহর কব্জা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে পথ চলা শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে দেশটি। আমি লেবানেনে সাফল্য কামনা করছি।”

“সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকার, যেটি বছরের পর বছর ধরে হামাস-হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিয়ে আসছিল, তার পতন ঘটেছে। আর হামাস-হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ইরান এখন গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।”

“এ অভিযানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আমূল বদলে যাবে। আপনারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করলেই ব্যাপারটি অনুভব করতে পারবেন।”

“অবশ্য এ যুদ্ধ যদি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তো, তাহলে সত্যিই খুব বিপদ ঘটত। মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিরাম তৎপরতার কারণে সেই বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আমি নিজে গত কয়েক দশক ধরে কূটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। সেই আমিই বলছি, আমার কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে যেসব কঠিনতম চ্যালেঞ্জ এসেছে, সেগুলোর মধ্যে এই যুদ্ধ শীর্ষে রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

মাহফিলের নামে মানুষকে কষ্ট না দেয়ার পরামর্শ আজহারীর  

ছবিঃ সংগৃহীত

মাওলানা ডক্টর মিজানুর রহমান আজহারী দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক। তাঁর ওয়াজ মাহফিল মানেই লাখো মানুষের উপস্থিতি। ভক্ত ও শ্রোতারা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তাঁর বয়ান শুনতে। তবে এবার মাহফিল আয়োজনের পদ্ধতি নিয়ে নিজেই আপত্তি তুলেছেন এই ইসলামিক বক্তা।

১৯ জানুয়ারি, ড. মিজানুর রহমান আজহারী তাঁর ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আহ্বান জানান, মাহফিল আয়োজন যেন মানুষের কষ্টের কারণ না হয়। তিনি লিখেছেন: তাফসীর মাহফিলের মাইকগুলো প্যান্ডেলের ভেতরে রাখুন। শ্রোতাদের সুবিধার্থে উন্নত সাউন্ড সিস্টেম নিশ্চিত করুন। শহরের ভেতরের মাহফিলগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত মাইক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন তিনি।

ড. আজহারী আরও বলেন, "আমাদের কোনো আচরণ বা কার্যক্রম যেন কারও বিরক্তির কারণ না হয়। অসুস্থ, বৃদ্ধ, শিশু বা অমুসলিমদের কষ্ট দিয়ে ইসলামকে তুলে ধরা উচিত নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের ইসলামের সৌন্দর্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।"

ড. মিজানুর রহমান আজহারী মনে করেন, ইসলাম চিরকালই সুন্দর ও আধুনিক। ইসলামিক প্রোগ্রামগুলোকে বিতর্কমুক্ত রাখতে হবে। তিনি বলেন, "আমাদের পুঁজি হলো ভালোবাসা। এই ভালোবাসা দিয়ে আমরা বিশ্ব জয় করতে পারি।"

২০২০ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর মাহফিলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং আবারো মাহফিলের মাধ্যমে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনে ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা সেই প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের  
গাজায় ইসরাইলের হামলা সফল; বললেন বাইডেন
মাহফিলের নামে মানুষকে কষ্ট না দেয়ার পরামর্শ আজহারীর  
হাসপাতালে ভর্তি আছেন লুৎফুজ্জামান বাবর
উৎপাদনে পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র  
আজ শপথ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
তিন বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
অনুপ্রবেশকারীরা যেন বিএনপিতে ঢুকতে না পারে : তারেক রহমান
গাজীপুরে কভার্ড ভ্যানের চাপায় সাবেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক নিহত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সরানোর বিষয়ে দুদকের চিঠি
ভারতের গুজরাটে আটক বাংলাদেশি দম্পতিকে ৭ বছর পর বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় হবে নওগাঁ শহরে: উপাচার্য হাছানাত আলী
ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ঐতিহ্য গ্রেফতার
গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় রাখতে ৫ আগস্ট নির্বাচন দিন : সালাহউদ্দিন
জাতীয় কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী আর নেই
জবিতে বোরকা পরে সনদ তুলতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী
রিপন-ফাহিমের দারুণ বোলিং আর মালানের ফিফটিতে বরিশালের জয়
লাখো তরুণীর হৃদয় ভেঙে বিয়ে করলেন দর্শন রাভাল! পাত্রী কে?
সংস্কার ও নির্বাচন একসাথেই চলতে পারে : মির্জা ফখরুল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ