এশিয়ার সেরা ১০০-তে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি সংগৃহিত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪ প্রকাশ করেছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) এশিয়ার সেরা ৮৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এ তালিকায় এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের ২৪টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্য ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই এশিয়ার সেরা ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়নি। এবারের র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এশিয়ার মধ্যে তাদের অবস্থান ১৪০তম। ২০২৩ সালে ঢাবির অবস্থান ছিল ১৫১তম। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এগারো ধাপ এগিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া তালিকার শীর্ষ ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অবস্থান যথাক্রমে ১৮৭তম ও ১৯১তম।
বুধবার (৮ নভেম্বর) এশিয়ার সেরা ৮৫৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াক কোয়ারেলি সায়মন্ডস। প্রতি বছরের নভেম্বরের শুরুতে এ তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, এশিয়ার সেরা ৮৫৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এবারও সবার সেরা হয়েছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (বেইজিং)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
এ র্যাংকিং প্রধানত ১১টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র্যাংকিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং। কিউএস প্রতি বছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র্যাংকিং প্রকাশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার বিচার করেই এ তালিকা করা হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে আরো দুটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রকাশ করে। সেখানে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্সের করা র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না।
৩১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা এ র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল যৌথভাবে ১০৫১তম। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ১৪২১তম।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে র্যাংকিং প্রকাশ করেছিল সেখানে তালিকায় শীর্ষ ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ২৪টি ও পাকিস্তানের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল।
ওই তালিকায় ৮০০-এর পর বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়। যেখানে র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
এছাড়া ওই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায় ১০০১-১২০০-এর মধ্যে। ১২০১-১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগে ২০২২ সালে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে।