অধ্যাপক ড. রবীউল করিমের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোকসভা

লেখা ও ছবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক সভাপতি ও দুটি পিএইচডি করা অনন্য মেধাবী ছাত্র, অসাধারণ জ্ঞানী এবং খুব ভালো শিক্ষক ও ভদ্রলোক অধ্যাপক ড. রবীউল করিমের স্মরণে শোকসভা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে।
বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত এই শিক্ষকের মৃত্যুর পর আজ শনিবার সকাল ১০ টায় মমতাজ উদ্দিন আহমেদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচলায় শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার শুরুতে অধ্যাপক রবিউল করিমকে নিয়ে তার বিভাগের বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ।
বিভাগের অধ্যাপক ড. জামিরুল ইসলামের সঞ্চালনায়, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড সুলতান-উল-ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসাইন।
প্রয়াত কৃতি অধ্যাপকের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ভার্চুয়ালি স্মৃতিচারণ করেছেন-সমাজকর্ম বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. শাহিন হাসানসহ বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন অধ্যাপকরা এবং ছাত্র, ছাত্রীরা।
সভায় বক্তারা অধ্যাপক ড. রবীউল করিমের আদর্শ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, পঠন পদ্ধতিসহ নানান দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ‘অধ্যাপক ড. রবীউল করিম ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজকর্ম বিভাগের অমূল্য সম্পদ ছিলেন।’
তারা উল্লেখ করেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে যদি শ্রেষ্ঠ কোনো স্কলার, গবেষক ও সমাজকর্ম পেশার চিন্তাবিদ থেকে থাকেন, তাহলে ড. রবীউল করিম নিসন্দেহে সে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তার বিদায়ে দেশ একজন গুণী সমাজকর্মীকে হারিয়ে ফেলল। তার অকাল মৃত্যুতে বিভাগের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হবার নয়।’
বিভাগের সকল অধ্যাপক, ছাত্র, ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ড. রবীউল করিমের শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন।
তারা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেছেন।
৫১ বছর বয়সী অধ্যাপকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সবাই।
ওএফএস।
