ব্যবসা-বিনিয়োগ সহজ করতে রপ্তানি নীতির খসড়া অনুমোদন
অগ্রাধিকারমূলক পণ্য সেবাখাত চিহ্নিত করণ, রপ্তানি শিল্পের প্রসার ও শিল্প স্থাপনে সহযোগিতা করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানিখাতে গুরুত্ত্বারোপ, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজিকরণসহ আরও অনেক বিষয় যুক্ত করে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আগামী তিন বছরের রপ্তানি নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমাদের রপ্তানি খাতে চাহিদা এবং বিশ্ব বাণিজ্যিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে তিন বছর অন্তর অন্তর নীতি পরিবর্তন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই নীতি নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডব্লিউটিএ বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে পণ্য ও সেবাখাত বহুমুখী করণে অগ্রাধিকারমূলক পণ্য সেবাখাত চিহ্নিত করণ, রপ্তানি শিল্পের প্রসার ও শিল্প স্থাপনে সহযোগিতা করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানিখাতে গুরুত্ত্বারোপ, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজীকরণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এ বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পার্টিকুলারলি গ্রাজুয়েশনের বিষযটি এখানে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ফোর্থ ইন্ড্রাষ্টিয়াল রেভ্যুলেশনের বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ এবং আরও তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ইউকে তে আমরা যে গ্রেস পাব, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে এই নীতি করা হয়েছে। আমাদের ইকোনমিক ডিপ্লোমেসিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের অ্যাম্বাসেডররা যারা যারা বাইরে আছেন বা যেসব দেশে অ্যাম্বেসি আছে তারা ডিপ্লোমেটিক কাজের পাশাপাশি অবশ্যই ইকোনমিক প্রমোশন, ক্যাম্পেইন , এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বিষযগুলোতে দৃষ্টি দেবেন। রপ্তানি নীতিমালায় এই বিষযটি রাখা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকটা বিষয় আলাদা আলাদা আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে কিভাবে আরও বেশি দেশি-বিদেশি ফান্ড বা তহবিল আকর্ষণ করা যায়, উৎপাদন ও রপ্তানিকে বৃদ্ধি করা যায় সেগুলো রপ্তানি নীতিতে বিশেষভাবে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় কিছু নতুন নতুন খাত যেমন, কৃত্রিম ফাইভার, মানুষের তৈরি ফাইবার, হালাল পণ্য ও ফ্যাশন, মেডিক্যাল এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, ফ্রিল্যান্সিং খাত এগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এক কথায় সব খাতই যেন সুবিধা পায় সেই দৃষ্টিগুলো বিশেষভাবে রাখা হয়েছে।
নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যাক্তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি বিবেচনা করা হয়েছে। আমদানি নীতি আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণের বিশেষ দিক রাখা হয়েছে। আরও অনেকগুলো বিষয় এই রপ্তানি নীতিমালায় রাখা হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এনএইচবি/আরএ