বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্বিগুন হলো মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর

ছবি: সংগৃহীত

খুচরা যন্ত্রাংশসহ ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, কম্প্রেসর ও মোটরবাইক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অর্জিত আয়ের ওপর ২০ শতাংশ প্রদেয় আয়কর নির্ধারণ করেছে সরকার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার ও কম্প্রেসর তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কেবল এই শিল্পের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে বেশকিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-

শিল্প প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত হতে হবে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (৫) এবং (৬) অন্যান্য বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মোল্ড ও ডাইস তৈরির ক্ষমতা থাকতে হবে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব পলি ইউরিথিন ফোমিং প্ল্যান, পাউডার কোটিং প্ল্যান্ট এবং সক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এনবিআরের অনুমোদিত হতে হবে এবং বিদ্যমান ব্যবসার পুনর্গঠন বা এইরূপ ব্যবসা বিভাজন দ্বারা গঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মেশিনারি অথবা স্থাপনা হস্তান্তরের মাধ্যমে গঠিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে পারবে না।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে এনবিআর প্রদত্ত অনুমোদন প্রত্যাহার করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

বর্তমানে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ এবং যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিচ্ছে। ২০৩২ সাল পর্যন্ত এটি বলবত থাকার কথা ছিল।

Header Ad
Header Ad

একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সালমান এফ রহমান  

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সালমান এফ রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতি আর অনিয়ম হয়েছে দেশের বিভিন্ন খাতে। আওয়ামী লুটতরাজকারীদের কালো থাবা পড়েছে সবচেয়ে বেশি দেশের ব্যাংকিং খাতে। জানা গেছে, গত দেড় দশকে ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সালমান এফ রহমান। তিনি নামে-বেনামে ব্যাংকসহ ১৮৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিববার (৯ জানুয়ারি) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

পত্রিকাটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, কারসাজি এবং প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাকে ‘আর্থিক খাতের মাফিয়া’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডের কারণে ‘দরবেশ’ উপাধিটি অনেকের কাছে বিদ্রূপাত্মক।

প্রসঙ্গত, সালমান এফ রহমানকে ‘দরবেশ’ বলা হয় তার লম্বা দাড়ি ও সাদা পোশাকের কারণে।

পত্রিকাটি জানায় তাদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ‘দরবেশ’ সালমান এফ রহমান ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং পুঁজিবাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেওয়া এসব অর্থের মধ্যে ২৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি হয়ে পড়েছে। শুধু তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানই নয়, বেনামি কোম্পানি খুলে সালমান বিভিন্ন ব্যাংককে খালি করেছেন।

আর্থিক খাতের এই ‘দরবেশ’ আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সালমানের ক্ষমতার প্রভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে তিনি ২৪ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। সোনালী, আইএফআইসি, রূপালী, ন্যাশনাল ও এবি ব্যাংক থেকে তিনি আরও ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঋণের নামে এসব ব্যাংক লুটে সালমান আর্থিক খাতে বড় ধরনের ক্ষতি করেছেন, তবে হাসিনা সরকারের সংশ্লিষ্টরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ব্যাংক-বিমাসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক যোগসাজশে লুট করা হয়। সালমান শুধুমাত্র ব্যাংক লুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি দেশের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে ব্যবহার করেছেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সালমানের ব্যাপক প্রভাব ছিল। সালমান যাকে যেই পদে চেয়েছেন, সেখানেই বসিয়েছেন এবং নিজের স্বার্থে সরিয়েও দিয়েছেন।

মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লুটপাটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে এবং সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতে গুণগত পরিবর্তন হয়নি।

সালমানের প্রভাবে ধসনামা জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবর রহমান বলেন, ঋণ আদায়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রিসিভার আছেন, তিনিও টাইম টু টাইম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’

বেক্সিমকোর ঋণের বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শওকত আলী খান বলেন, ‘বেক্সিমকোর কয়েকটি ইউনিটের ঋণ রয়েছে। বড় একটি অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে বাকিগুলো ঋণ পায় না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

Header Ad
Header Ad

সোহানের তাণ্ডবে বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের টানা ছয় জয়

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে রংপুর রাইডার্স দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ২৬ রান, তখন সোহান একাই গড়েন ইতিহাস। কাইল মেয়ার্সের করা ওভারে ৩টি ছয় ও ৩টি চার হাঁকিয়ে ৩০ রান তুলে দলকে ৩ উইকেটে জয় এনে দেন। সোহানের এই ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস রংপুরকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেয়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। বরিশালের পক্ষে কাইল মেয়ার্স ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি ২৯ বলে ৭ ছক্কা ও ১ চারের মারে অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত (৪১), তামিম ইকবাল (৪০) এবং ফাহিম আশরাফ (২০) উল্লেখযোগ্য রান করেন।

রংপুরের বোলারদের মধ্যে আকিফ জাভেদ ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। তিনি ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। তবে কামরুল ইসলাম ৩ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও ছিলেন খরুচে।

১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো হলেও মাঝের ওভারে কিছুটা চাপে পড়ে। তবে সোহানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং রংপুরকে জয় এনে দেয়। শেষ ওভারে ২৬ রানের প্রয়োজনীয়তায় সোহান ব্যাট হাতে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন।

সোহানের এই ইনিংস এবং ম্যাচ পরিস্থিতির নাটকীয়তা এ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখবে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  

সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধানকারী তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

দেশের বর্তমান বাস্তবতায় মজিবুল হক দেশ ত্যাগ করতে পারেন মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক মর্মে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সালমান এফ রহমান  
সোহানের তাণ্ডবে বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের টানা ছয় জয়
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
দাবি আদায়ে রাজপথ দখল কোনো সমাধান নয়: ডিএমপি কমিশনার  
বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তা: ভুঁইফোড় সংগঠন ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্দেশনা
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে দুদকের ১০টি দল গঠন
নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের ২ মামলা
নির্বাচনে কারও পক্ষে কাজ করলে অসুবিধা হবে: সিইসি  
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানলে হলিউড তারকাদের বাড়ি পুড়ে ছাই
শরীয়তপুরের জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার
১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ছে
পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে ঢাকায় আসছেন ট্রেসি জ্যাকবসন
ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর দাবি সারজিসের? যা জানা গেল
নওগাঁ সীমান্তে উত্তেজনা, বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক শুক্রবার
ফের এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসে বিজিবির বাধায় পিছু হটল বিএসএফ
সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, বিয়ে করলেই সংসার হয় না: জয়া
বিডিআর বিদ্রোহে সব কারাবন্দির মুক্তি দাবি স্বজনদের  
ড. ইউনূস বিশ্ব বরেণ্য নোবেল বিজয়ী, তাকে বিতর্কিত করবেন না: আযম খান