বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের তালিকায় ভারতীয়দের আধিপত্য, বছরে পাচার বিপুল অর্থ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের উপস্থিতি এবং তাদের মাধ্যমে অর্থপাচার একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে আড়াই লাখ অবৈধ বিদেশি কর্মরত রয়েছে, যারা প্রতি বছর প্রায় ৩.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় নাগরিক, যারা বছরে ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার পাচার করে থাকেন।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৪৬৪ জন ভারতীয়। দ্বিতীয় অবস্থানে চীনের নাগরিক, যাদের সংখ্যা ১১ হাজার ৪০৪। তবে অবৈধ বিদেশিদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ২০২০ সালে এক জরিপে জানিয়েছিল, বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে দেশে কমপক্ষে আড়াই লাখ বিদেশি কর্মরত। এদের বেশিরভাগই ভারত, চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই তৈরি পোশাক, চামড়া শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং হোটেল খাতে কাজ করেন।

অধিকাংশ অবৈধ বিদেশি ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন খাতে কাজ শুরু করেন। তারা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই কাজ করে আয়কর ফাঁকি দেয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশে অর্থ পাঠায়। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি কর্মীরা ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অবৈধ বিদেশিদের বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য সতর্ক করেছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশে কোনো অবৈধ বিদেশিকে থাকতে দেওয়া হবে না।”

তবে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। অনেকে মনে করেন, অবৈধ বিদেশিদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হতে পারে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয়। অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টেও একটি রিট করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে। ফলে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, এবং আইটি খাতের মতো ক্ষেত্রে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রয়োজন, যা স্থানীয় জনশক্তির অভাবে বিদেশিদের মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ড. মাশরুর রিয়াজ বলেছেন, “আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি না হওয়ায় বিদেশিদের আনতে হচ্ছে। তবে তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বছরের পর বছর থেকে আয়কর ফাঁকি দেয় এবং অর্থপাচার করে। এতে দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অবৈধ বিদেশি কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের বৈধতার আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কোনো বিদেশি যাতে কাজ করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, “বিদেশি কর্মীদের কাজের নিয়মাবলী কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনশক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।” সূত্র: ডয়চে ভেলে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

Header Ad
Header Ad

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

প্রধান বিচারপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা ।। ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে বিচারকার্যকে হস্তক্ষেপমুক্ত করা যায় এবং বিচারকে সহজে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ও কমিশনের সদস্যরা মতবিনিময় করেন।

এসময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।। ছবিঃ সংগৃহীত

বিসিএসসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ছিল ৭০০ টাকা, এটিকে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। ফলে বিসিএসে আগে ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলেও এখন থেকে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বেড়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করায় বিধিমালা সংশোধন করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত গত ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

Header Ad
Header Ad

২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

জালানী তেল।। ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সোদি আরব থেকে ২১ হাজার ৯৪৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ১১ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) এবং ১০ হাজার ৭১০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল রয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএসওসি) থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৬ লাখ টন মারবান গ্রেজের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সৌদি এরাবিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৭ লাখ টন এরাবিয়ান লাইট ক্রড (এএলসি) গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে এই জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ হাজার ৭১০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং দুবাইয়ের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড থেকে এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন
ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী
শীতে দৈনিক দুই কোয়া রসুন খান দেখুন কি হয়!
লালমনিরহাটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপির লং মার্চ: আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত
ম্যানসিটির পর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিবেন না গার্দিওলা
আমাকে নেওয়ার ক্ষমতা এদেশের পুরুষদের নেই: বাঁধন
টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা দলের বিজয় র‍্যালি
মাহফিলে ভারতীয় অভিনেত্রীর সৌন্দর্য বর্ণনা, ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা
পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আইন উপদেষ্টা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কঠোর নির্দেশনা জারি
অনিয়ম সব জায়গাতেই, তবে পার্বত্য এলাকায় একটু বেশি: প্রধান উপদেষ্টা
আজকের দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল, উত্তোলন করা হয় স্বাধীন পতাকা