রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।
ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নিজের স্ত্রীকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে খণ্ডিত মরদেহ গুম করতে প্রেসার কুকারে রান্না করার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। মূলত স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম ও নিজের অপরাধ ঢাকতেই পৈশাচিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ভারতের সাবেক সেনাসদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহকে একাধিক টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম গুরু মূর্তি।
স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে হত্যাকাণ্ডের এই কাহিনি বর্ণনা করেন ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। তার বর্ণিত দাবিগুলো যাচাই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে নিহত ওই স্ত্রীর নাম ভেঙ্কটা মাধবী। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী গত ১৬ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় বলে জানায় তার পরিবার। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর তারা তার স্বামীকে সন্দেহ করে। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, স্ত্রীকে হত্যার পর লোকটি মরদেহ বাথরুমে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে এবং প্রেসার কুকারে মরদেহের এসব অংশগুলো সিদ্ধ করে।
তারপর তিনি মরদেহের হাড়গুলোকে আলাদা করেন এবং হামানদিস্তা ব্যবহার করে সেগুলো গুঁড়ো করার পর আবারও সেদ্ধ করেন। এভাবে তিন দিন ধরে একাধিক রাউন্ড মাংস এবং হাড় রান্না করার পরে অভিযুক্ত ওই লোকটি সেগুলো প্যাক করে মিরপেট লেকে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে।
এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত গুরু মূর্তি ভারতের একজন সাবেক সৈনিক এবং বর্তমানে তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে (ডিআরডিও) নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিযুক্ত আছেন।
গুরু মূর্তি ও ভেঙ্কটা মাধবী দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে যাদের একটি ছেলে এবং অন্যটি মেয়ে। জানা গেছে, দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এছাড়া কেন এবং কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। ছবিঃ সংগৃহীত
দিল্লির একটি আদালত ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের দুটি বিতর্কিত চিত্রকর্ম জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, চিত্রকর্মগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।
সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পুলিশকে চিত্রকর্মগুলো জব্দ করার অনুমতি দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত ওই চিত্রকর্ম দুটি হিন্দু দেব-দেবীকে নগ্ন রূপে চিত্রিত করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পীর ১০০টিরও বেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে গ্যালারিটি জানায়, তারা আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষ নয় এবং বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।
আইনজীবী অমিতা সচদেবা ৪ ডিসেম্বর চিত্রকর্ম দুটি গ্যালারিতে দেখে ছবি তোলেন এবং পূর্ববর্তী অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ৯ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে গ্যালারিতে গেলে দেখতে পান চিত্রকর্ম দুটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গ্যালারি কর্মকর্তারা তখন দাবি করেন, তারা কখনোই চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন করেননি।
অমিতা সচদেবা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের আবেদন করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে জানায়, প্রদর্শনীটি ব্যক্তিগত স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল এবং এটি শুধু শিল্পীর মৌলিক কাজ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল।
মকবুল ফিদা হুসেনকে ‘ভারতের পিকাসো’ বলা হতো। তাঁর চিত্রকর্ম বহুবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০০৬ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ওই চিত্রকর্মে এক নগ্ন নারীকে ভারতের মানচিত্রের রূপে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে হুসেন দেশ ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করেন এবং ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হুসেনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেন, হুসেনের চিত্রকর্ম ভারতীয় প্রতীক ও ইতিহাসে প্রচলিত নগ্নতার ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বহু শিল্পী ও সমালোচক মনে করেন, ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অক্টোবরে বোম্বে হাইকোর্ট এফএন সাউজা ও আকবর পাদামসির শিল্পকর্ম ‘অশ্লীল’ বলে কাস্টমস বিভাগের জব্দের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। আদালত রায় দেন, প্রতিটি নগ্ন চিত্রকর্ম অশ্লীল নয়।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি।
এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।