শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত, সর্বোচ্চ রেট ১২০ টাকা

ফাইল ছবি

দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) নজিরবিহীন দামের লাগাম টানতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ায় ডলারের দাম কিছুটা কমানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানির দেনা পরিশোধ ও নতুন এলসি খোলায় ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে ডলার বিক্রি করতে পারবে। কোনো ব্যাংকই এর চেয়ে বেশি দাম রাখবে না।

এসব খাতে বর্তমানে ব্যাংক ভেদে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে প্রতি ডলারের দাম। এ হিসাবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দাম সর্বোচ্চ স্তর থেকে ৫ টাকা কমবে; যা আমদানি ব্যয় কমাতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি পণ্যের দাম কমে গেলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপও কিছুটা কমে যাওয়ার কথা। তবে আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করবে।

এ ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী মেয়াদের ভিত্তিতে সুদ আরোপ করবে ব্যাংকগুলো। তবে নগদ ডলার বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে ডলার ড্রাফট বিক্রিতে ব্যাংকগুলো প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার বেচাকেনার সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তা ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) সদস্যভুক্ত প্রায় সব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানরা বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। ডলার সংকট নিয়ে যেসব সংশয় ও শঙ্কা ছিল সেগুলোও বেশ খানিকটা কমেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক অনুদান, রপ্তানি আয় দেশে আনার প্রবণতা বেড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের খ্যাতি ব্যবহার করে বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।

এছাড়া নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতে অনিশ্চয়তাও অনেকটা কমে গেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে দাম রাখবে। কোনো ব্যাংকই এর বেশি দামে ডলার বিক্রি করবে না। যেসব ব্যাংক এখনও ১২০ টাকার বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে তারাও দাম ১২০ টাকার মধ্যে দ্রুতই নামিয়ে আনবে।

এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে আরও স্থিতিশীলতা আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বার্তা দেওয়া হয়। বলা হয়, কোনো অনিয়ম হলে, তা সহ্য করা হবে না। এমন বার্তা পেয়েই ট্রেজারি প্রধানরা ওই বৈঠক করেন। আমদানির দেনা পরিশোধ ও নতুন এলসি খোলা ছাড়াও আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন সর্বোচ্চ ১২০ টাকার মধ্যেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রেজারি প্রধানরা। বর্তমানেও সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দরেই আন্তঃব্যাংকে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ১২০ টাকা করে আন্তঃব্যাংক থেকে ডলার কিনে তা আবার ১২০ টাকা করেই কীভাবে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করবেন? তাদের মতে, এতে ব্যাংকের লোকসান হবে।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন আইন অনুযায়ী, ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে কোনো ক্রমেই লোকসান দিতে পারবে না কোনো ব্যাংক। কারণ এর আগে কয়েকটি ব্যাংক ডলার বেচাকেনায় বড় অঙ্কের লোকসান দেওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছিল। সে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিধান করেছে। এ অবস্থায় আন্তঃব্যাংক থেকে ১২০ টাকার কমে কিনলে তা গ্রাহকের কাছে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু এখন আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম ১২০ টাকায় স্থির হয়ে আছে। আলোচ্য সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০ থেকে ২০ পয়সা বা তার বেশি কমাতে হবে।

বৈঠকে রেমিট্যান্সের ডলারও সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে কোনো ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে অফার করবে না। বর্তমানে অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলার ১২২ থেকে ১২৪ টাকা করেও কিনছে। ফলে কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলারের দাম কমাতে বাধ্য হবে। তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে কি না সেদিকে নজর রাখতেও বলা হয়।

এ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় কেনা হলে তা কীভাবে ১২০ টাকায় বিক্রি করা যাবে? এ খাতে ব্যাংকের যে পরিচালন ব্যয় হবে, তা কীভাবে মেটানো হবে? তাই, রেমিট্যান্সের ডলারের দাম কিছুটা হলেও কমাতে হবে। এছাড়া দাম কমিয়ে প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসীদের সুবিধা দিতে হবে। আগে ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রবাসীদের সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিত। এখন প্রায় সব ব্যাংকই তা তুলে দিয়েছে। শুধু সরকারি খাতের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বহাল রয়েছে।

এসব সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রপ্তানি আয়ের প্রতি ডলার ব্যাংকগুলো এখন কিনছে ১১৮ টাকা ১২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা করে। এই দামে ডলার কিনে বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাংক ভালো মুনাফা করছে। সেই মুনাফা দিয়ে অন্য খাতে ডলারের দাম সমন্বয় করা যায়।

এছাড়া, নীতিমালা অনুযায়ী, আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে মেয়াদ অনুযায়ী দাম কিছুটা বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো। সে নীতিমালা মেনে ডলার বেচাকেনা করতে বলা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ক্রলিং পেগের আওতায় ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২০ টাকা নির্ধারণের বিধি জারি করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোও ওই নীতিমালার মধ্যে থেকেই ডলার বেচাকেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  

ছবি: সংগৃহীত

 

চিনিকল ইউনিটে ৬১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মওসুম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। মাড়াই মওসুম সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাড়াই মওসুম উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান লিপিকা ভদ্র।

এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেরু চিনিকলের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ফেডারেশনের নের্তৃবৃন্দসহ আখচাষী ও সূধীজন উপস্থিত থাকবেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চিনিতে মোটা অংকের লোকসান কমিয়ে আনতে পারবে ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠানটি এমনটিই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিষ্টিলারী,  জৈব সার কারখানা,বানিজ্যিক-পরীক্ষামুলক খামার ও ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছে। সরকারিভাবে চিনির মুল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিনিকারখানাটি।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিলস হাউজে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে চিনিকলটি আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়বে।  তবে এলাকায় আখ চাষ ক্রমাগত কমতে থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহি এই চিনিকলটি।

চলতি মওসুমে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪’শ ৫২ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ৬৫ দিন চলবে এবারের মাড়াই মওসুম। চিনি আহরনের হার ধরা হয়েে শতকরা ৬ দশমিক ৩৬ ভাগ। প্রতিদিন গড়ে ১১’শ ৫০ টন আখ মাড়াই করবে চিনিকলটি। মিল জোনে এবার দন্ডায়মান আখ রয়েছে ৫ হাজার ১’শ একর জমিতে।

গত ২০২৩-২৪ মওসুমে ৬৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল । মোট ৫৫ মাড়াই দিবসের লক্ষ্যমাত্রায় চিনি আহরনের গড় হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর বিপরীতে চিনিকলটি ৫৬ হাজার ৪’শ ১৪ মে.টন আখ মাড়াই করে ২ হাজার ৬’শ ৮ টন চিনি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। চিনি আহরনের হার ছিল ৪ দশমিক ৬২ ভাগ। আখের অভাবে নির্ধারিত দিবসের আগেই মাড়াই মওসুম বন্ধ হয়ে যায়।

চিনিকলের শ্রমিকরা জানান, এ বছর মিলস হাউজের ফিটিংয়ের কাজ ভালো হয়েছে। মিল ভালই চলবে। ফলে বেশি চিনি উৎপাদন সম্ভব হবে।

কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান বলেন, ‘মাড়াই মওসুম শুরু করতে চিনিকলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  এ মওসুমে চিনি কারখানায় লোকসান কমিয়ে আনতে সবাই মিলে কাজ করছে। এ ছাড়াও এ মওসুমে কোদাল দিয়ে আখ কাটার পদ্ধতি চালু করা হবে। এতে কয়েক হাজার টন আখ বেশি পাওয়া যাবে। চিনির উৎপাদনের পরিমানও বাড়বে।’

চাষীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ মওসুমে আখের মুল্য বাড়িয়েছে  সরকার। এবার প্রতিমন (৪০ কেজি) আখের মুল্য ২৫০ টাকা টাকা করা হয়েছে। তবে চিনির মুল্য বাড়লেও আশানুরূপ হারে আখের মূল্য বাড়েনি। আখের মূল্য আরো বাড়ানোর দাবি চাষীদের।

কেরু চিনিকল আখচাষী কল্যান সংস্থার সভাপতি মোঃ শরীফ উদ্দীন বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে আখচাষীদের এবার দাবী, চাষীদের মাঝে আখ বিক্রির পূজির পরিমান বাড়াতে। আখের মুল্য সরাসরি নগদে পরিশোধ করতে। শিওর ক্যাশ বা বিকাশে চাষীরা টাকা নেবে না। ঋনের সার, বীজ, কীটনাশক সঠিক সময়ে দিতে হবে এবং চাষীদের কোটায় পাওনা চিনি উত্তোলনের সময় বাড়াতে হবে। মাড়াই মওসুম আরো আগে শুরু করতে হবে। নভেম্বর প্রথমেই আখ মাড়াই শুরু করতে হবে। আখের দাম নুন্যতম প্রতিমন ৩’শ টাকা করতে হবে। চাষীদের কাছ থেকে কেটে নেয়া টাকা সম্পুর্নটাই আখচাষী কল্যান সংস্থায় জমা করতে হবে। ’

১৮০৫ সালে মি. জন ম্যাকসওয়েল নামক এক ইংরেজ তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ভারতের কানপুরে জাগমু নামকস্থানে তখনকার একমাত্র ফরেন লিকার কারখানাটি চালু করেছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন সময়ে এর নাম, স্থান, মালিকানা, উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকে। ১৮৪৭ সালে মি. রবার্ট রাসেল কেরু অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন এবং কালক্রমে তা ক্রয় করে নেন। উত্তর ভারতের ‘রোজা’তে অবস্থানকালীন ১৮৫৭ সনে সিপাহী বিপ্লবের সময় কারখানাটি ক্ষতি গ্রস্থ হয়। অতঃপর তা’ পুনঃনির্মাণপূর্বক জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী গঠন করে ‘কেরু এ্যান্ড কোম্পানী লি. হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয়। ‘রোজা’তে ব্যবসা উন্নতি লাভ করলে আসানসোল ও কাটনীতে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৮ সনে প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১০০০ টন আখ মাড়াই ও ১৮ হাজার প্রæফ লিটার স্পিরিট তৈরির লক্ষ্যে আরও একটি শাখা তদানীন্তন নদীয়া জেলার অন্তর্গত এ দর্শনায় স্থাপন করা হয়। ১৯৬৮ সনে ইংরেজরা এ দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর কেরু এ্যান্ড কোম্পানী (পাকিস্তান) লি. এর স্থলে ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব ইপিআইডিসি’র উপর ন্যস্ত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে অদ্যাবধি এটি কেরু এ্যান্ড কোম্পানী (বাংলাদেশ) লি. নামে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।  

২০২২-২৩ অর্থবছরে কেরু এন্ড কো¤পানী বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দিয়েছে সর্বোচ্চ ১৪৫ কোটি টাকা। এ বছর রাজস্বের পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ২০০ কোটি। কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ৬টি ইউনিটের মধ্যে ৫ টি ইউনিট- ডিস্টিলারী, জৈব সার কারখানা, বানিজ্যিক খামার, পরীক্ষামুলক খামার, ফার্মাসিটিক্যাল- আয়কর বাদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১২ কোটি ৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে । কেবলমাত্র চিনিকল ৬১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

আয়তন-ইতিহাস, ঐতিহ্য, ট্যাক্স ও র‍্যেমিট্যান্সে এগিয়ে থাকা বৃহত্তর নোয়াখালীকে বঞ্চিত করে কুমিল্লাকে বিভাগ করা হলে নোয়াখালীর উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আজীবন সুবিধাবঞ্চিত থেকে যাবে দাবি করে মানববন্ধন করেন হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের নামার বাজারে সম্মিলিত নিঝুমদ্বীপবাসী আয়োজনে নোয়াখালীকে বিভাগ ও হাতিয়াকে জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মনববন্ধন কালে এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের রয়েছে অনেক পুরোনো সংস্কৃতি, তাই সময়ের প্রয়োজনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়নে আমরা নোয়াখালী বিভাগ চাই। খুলনা থেকে নোয়াখালী আয়তনে বড় তবুও এটাকে বিভাগ দেওয়া হয়নি। নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা সেটাই করবো।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা নোয়াখালী বিভাগ চাই এবং হাতিয়া জেলা চাই। বাংলাদেশের যে রেমিট্যান্স যোদ্ধা তাদের বেশিরভাগ কিন্তু নোয়াখালীর। আর নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব নোয়াখালীর আছে।

জামসেদ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, হাতিয়া উপজেলা অন্যান্য জেলার থেকে অনেক বড়। নতুন নতুন চর জেগে উঠার মাধ্যমে দিন দিন আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের দিক দিয়ে হাতিয়া অবহেলিত আছে। তাই হাতিয়াকে জেলা চাই এবং নোয়াখালীকে বিভাগ চাই।

বাবলু নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-ফেনী জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, মেঘনার বুকে প্রতি বছর বিশাল ভূখণ্ডের সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নিরিখে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা আরও বেশি। তাই জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

মানবন্ধনে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে ভালো বাসুন মাদক থেকে দূরে থাকুন এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে।

খেলায় নওগাঁ পৌরসভা একাদশ বনাম নওগাঁ সদর উপজেলা একাদশ অংশ গ্রহন করেন। খেলায় নওগাঁ সদর উপজেলা একাদশ ২-০ গোলে জয়লাভ করে।

খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল। জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ এর আয়োজন করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কুতুব উদ্দিন, নওগাঁ সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস.এম. রবিন শীষ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধুলু, সাবেক ফুটবলার এনামুল হক ,আজাদ হোসেন মো. সাজ্জু, শামীনূর রহমান শামীম প্রমূখ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যুবকদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলাধুলা শুধু নিজেকে সুস্থ আর মনোবল চাঙ্গা রাখেনা, সম্প্রীতির বন্ধনকেও সুদৃঢ় করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  
নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেইসবুক পোস্টে ভারতের ‘তীব্র প্রতিবাদ’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় আ’লীগ নেতা
যমুনা রেল সেতু জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে উদ্বোধন: রেল সচিব
টাঙ্গাইলে গ্রামীণ ‘নারীদের রান্নার প্রতিযোগিতা’ 
দেড় মাসে ৫০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা ২৫ লাখ
খ্যাতনামা নির্মাতা সি বি জামান আর নেই
হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড
নদী থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাগিনীরা
জামদানি শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরলেন জয়া আহসান
ভারতের আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদার
ট্রাম্পের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন
জামালপুরে জামাই মেলা জমে উঠেছে
৩ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে উত্তরার রেস্টুরেন্টের আগুন, উদ্ধার ৭
পূর্বাচলে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠীদের ৬ দফা দাবি