সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত, সর্বোচ্চ রেট ১২০ টাকা

ফাইল ছবি

দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) নজিরবিহীন দামের লাগাম টানতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ায় ডলারের দাম কিছুটা কমানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানির দেনা পরিশোধ ও নতুন এলসি খোলায় ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে ডলার বিক্রি করতে পারবে। কোনো ব্যাংকই এর চেয়ে বেশি দাম রাখবে না।

এসব খাতে বর্তমানে ব্যাংক ভেদে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে প্রতি ডলারের দাম। এ হিসাবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দাম সর্বোচ্চ স্তর থেকে ৫ টাকা কমবে; যা আমদানি ব্যয় কমাতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি পণ্যের দাম কমে গেলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপও কিছুটা কমে যাওয়ার কথা। তবে আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করবে।

এ ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী মেয়াদের ভিত্তিতে সুদ আরোপ করবে ব্যাংকগুলো। তবে নগদ ডলার বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে ডলার ড্রাফট বিক্রিতে ব্যাংকগুলো প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার বেচাকেনার সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তা ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) সদস্যভুক্ত প্রায় সব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানরা বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। ডলার সংকট নিয়ে যেসব সংশয় ও শঙ্কা ছিল সেগুলোও বেশ খানিকটা কমেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক অনুদান, রপ্তানি আয় দেশে আনার প্রবণতা বেড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের খ্যাতি ব্যবহার করে বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।

এছাড়া নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতে অনিশ্চয়তাও অনেকটা কমে গেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে দাম রাখবে। কোনো ব্যাংকই এর বেশি দামে ডলার বিক্রি করবে না। যেসব ব্যাংক এখনও ১২০ টাকার বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে তারাও দাম ১২০ টাকার মধ্যে দ্রুতই নামিয়ে আনবে।

এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে আরও স্থিতিশীলতা আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বার্তা দেওয়া হয়। বলা হয়, কোনো অনিয়ম হলে, তা সহ্য করা হবে না। এমন বার্তা পেয়েই ট্রেজারি প্রধানরা ওই বৈঠক করেন। আমদানির দেনা পরিশোধ ও নতুন এলসি খোলা ছাড়াও আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন সর্বোচ্চ ১২০ টাকার মধ্যেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রেজারি প্রধানরা। বর্তমানেও সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দরেই আন্তঃব্যাংকে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ১২০ টাকা করে আন্তঃব্যাংক থেকে ডলার কিনে তা আবার ১২০ টাকা করেই কীভাবে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করবেন? তাদের মতে, এতে ব্যাংকের লোকসান হবে।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন আইন অনুযায়ী, ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে কোনো ক্রমেই লোকসান দিতে পারবে না কোনো ব্যাংক। কারণ এর আগে কয়েকটি ব্যাংক ডলার বেচাকেনায় বড় অঙ্কের লোকসান দেওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছিল। সে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিধান করেছে। এ অবস্থায় আন্তঃব্যাংক থেকে ১২০ টাকার কমে কিনলে তা গ্রাহকের কাছে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু এখন আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম ১২০ টাকায় স্থির হয়ে আছে। আলোচ্য সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০ থেকে ২০ পয়সা বা তার বেশি কমাতে হবে।

বৈঠকে রেমিট্যান্সের ডলারও সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে কোনো ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে অফার করবে না। বর্তমানে অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলার ১২২ থেকে ১২৪ টাকা করেও কিনছে। ফলে কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলারের দাম কমাতে বাধ্য হবে। তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে কি না সেদিকে নজর রাখতেও বলা হয়।

এ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় কেনা হলে তা কীভাবে ১২০ টাকায় বিক্রি করা যাবে? এ খাতে ব্যাংকের যে পরিচালন ব্যয় হবে, তা কীভাবে মেটানো হবে? তাই, রেমিট্যান্সের ডলারের দাম কিছুটা হলেও কমাতে হবে। এছাড়া দাম কমিয়ে প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসীদের সুবিধা দিতে হবে। আগে ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রবাসীদের সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিত। এখন প্রায় সব ব্যাংকই তা তুলে দিয়েছে। শুধু সরকারি খাতের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বহাল রয়েছে।

এসব সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রপ্তানি আয়ের প্রতি ডলার ব্যাংকগুলো এখন কিনছে ১১৮ টাকা ১২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা করে। এই দামে ডলার কিনে বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাংক ভালো মুনাফা করছে। সেই মুনাফা দিয়ে অন্য খাতে ডলারের দাম সমন্বয় করা যায়।

এছাড়া, নীতিমালা অনুযায়ী, আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে মেয়াদ অনুযায়ী দাম কিছুটা বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো। সে নীতিমালা মেনে ডলার বেচাকেনা করতে বলা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ক্রলিং পেগের আওতায় ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২০ টাকা নির্ধারণের বিধি জারি করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোও ওই নীতিমালার মধ্যে থেকেই ডলার বেচাকেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Header Ad

ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ফুরালো দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পালা। এই সিনেমা নিয়ে শুরু থেকেই দর্শকদের আগ্রহের পারদ ছিল তুঙ্গে। অবশেষে প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হলেন পুষ্পা’খ্যাত আল্লু অর্জুন। বহুল প্রত্যাশিত ‘পুষ্পা ২’-এর ট্রেলারেই দেখিয়ে দিলেন জাদু। এ ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের জন্য বিহারকেই বেছে নিয়েছেন আল্লু অর্জুন।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর প্রত্যাশার পারদ আরও যেন বেড়ে গেল! ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর মারকাটারি আয়োজনের মাঝে রাশ্মিকা মান্দানা-আল্লু অর্জুনের রোমান্টিক মুহূর্তের ঝলকও দেখা গেল। আল্লু অর্জুন আগেরবারের মতোই দাপুটেরূপে ফিরেছেন। বরং এবার আরও ভয়ানক, তা বলাই বাহুল্য।

ট্রেলারে চমকে দিলেন ফাহাদ ফাসিলও। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে আবারও ঝড় তোলার আভাস দিলেন তিনি। প্রথম কিস্তিতে দুই তারকার সম্মুখ যুদ্ধের আভাস মিলেছিল। এবার তাদের যুদ্ধ দেখা যাবে পর্দায়।

এদিকে ট্রেলারটি মুক্তির পর একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে। বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘পুষ্পা-২ এর ট্রেলারটি ইউটিউবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা তেলেগু সিনেমার ট্রেলার হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এটি মহেশ বাবুর গুন্টুর কারামকে ছাড়িয়ে গেছে। গুন্টুর কারাম প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.৭০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছিল। কিন্তু ‘পুষ্পা ২’ মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটিকে অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে ৪২ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম হয়েছে এটির।

২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিবার দেখা ট্রেলার হিসেবে শীর্ষে এখন ‘পুষ্পা ২’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহেশ বাবুর ‘গুন্টার কারাম’ (৩৭.৭০ মিলিয়ন), তৃতীয় স্থানে প্রভাসের ‘সালার’ (৩২.৫৮), চতুর্থ স্থানে মহেশ বাবুর ‘সারকারু ভারি পাতা’ (২৬.৭৭ মিলিয়ন) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রভাসের ‘রাধে শাম’ (২৩.২০ মিলিয়ন)।

্উল্লেখ্য, এ বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্র ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে নিয়েছে। আর এই বিগ বাজেটের সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আল্লু অর্জুন নিয়েছেন ৩০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক। বলতে গেলে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। এবার দেখার পালা মুক্তির পর সিনেমাহলে কেমন রেকর্ড গড়ে। আগামী ৫ ডিসেম্বর সাতটি ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’।

Header Ad

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এসময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর )সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, যশোর জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, শার্শা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, এসি ল্যান্ড নুসরাত ইয়াসিন, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল নেতা সামসুজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

উপদেষ্টা সেখানে পৌঁছানোর পর আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন, বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সন্তান হত্যা বিচার চান। মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।’তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে মারা যান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!