শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রিজার্ভ চুরির ছয় বছর

অপরাধীদের মুখোশ খুলতে আরও অপেক্ষা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। বহুল আলোচিত এ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলেও এখনো অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

কারণ হিসেবে তদন্তকারী সংস্থাটি বলছে, একই অপরাধে মার্কিন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই মামলা শেষ হওয়ার আগে দেশের মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করলে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হতে পারে। আর এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচনে আরো অপেক্ষা করতে হচ্ছে তদন্তসংশ্লিষ্টদের।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলংকায়। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঠাঁই হয় ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোয়। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফেরত আনা গেছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। পাওয়া যায়নি বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পেয়ে কাজ শুরু করে সিআইডি। পরবর্তী সময়ে আলামত ও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চুরির সঙ্গে দুই ডজন বিদেশির সম্পৃক্ততা পায় সংস্থাটি। রিজার্ভের অর্থ চুরির সঙ্গে বিদেশি অপরাধীদের পাশাপাশি দেশি অপরাধীদেরও যোগসাজশের তথ্য উঠে আসে তদন্তে। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ১২০ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রাথমিক আলামত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পান তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ওই সব কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে সংস্থাটি। তবে এ আট কর্মকর্তার মধ্যে একজন এরই মধ্যে অবসরে গেছেন। বাকি আরও কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায়।

অন্যদিকে সন্দেহভাজন বিদেশীদের স্থায়ী ঠিকানা চেয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ অপরাধীদের তথ্য সরবরাহ করলেও চীন, ফিলিপাইন ও শ্রীলংকার কাছ থেকে ওই তিন দেশের অপরাধীদের তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি চুরির প্রক্রিয়ায় পাঁচ বিদেশি প্রতিষ্ঠানেরও সম্পৃক্ততা মিলেছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যেকোনো মামলার অভিযোগপত্র দিতে হলে অভিযুক্তের যাচাইকৃত পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ করতে হয়। সে নিয়ম মেনে কয়েকটি দেশের কাছে অপরাধীদের যাচাইকৃত পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা চাওয়া হয়। কিন্তু চীন, ফিলিপাইন ও শ্রীলংকা এর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নিজ নিজ নাগরিকদের তথ্য সরবরাহ করেনি। আর বিদেশি অপরাধীদের যাচাইকৃত তথ্য ছাড়া পূর্ণাঙ্গ এবং মানসম্পন্ন অভিযোগপত্র দেয়া অসম্ভব।

রিজার্ভ থেকে চুরির অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য শুরুর দিকে ফিলিপাইন ব্যাপক সহায়তা করছিল। দেশটির বিভিন্ন সংস্থা তখন বাংলাদেশের পক্ষে ১২টি মামলা করে। তবে দেশটির সরকার পরিবর্তনের পর সেই তৎপরতায় ভাটা পড়ে। সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। যে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে তৃতীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ। প্রথমে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে বাংলাদেশের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করে নিয়োগকৃত ল ফার্ম কোজেন ও'কনর। তবে ২০২০ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ওই আদালত জানিয়ে দেয়, মামলাটি তাদের আদালতের এখতিয়ারাধীন নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হলেও বাংলাদেশেও কারও বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সরকার। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, 'রিজার্ভ চুরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল অরক্ষিত, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন দায়িত্বহীন। আর চূড়ান্ত সর্বনাশ ঘটানো হয় আন্তর্জাতিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক সুইফট সার্ভারের সঙ্গে স্থানীয় লেনদেনের নেটওয়ার্ক জুড়ে দিয়ে।'

দেশে চলমান মামলাটির তদন্ত তদারক কর্মকর্তা সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবীরের বলেন, রিজার্ভ চুরির মামলাটিতে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও হংকং এই আট দেশের নাগরীকের সম্পৃক্ততা তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে। তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে একই ঘটনায় মার্কিন আদালতে আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের মামলাটির অভিযোগপত্র দেয়া হলে আন্তর্জাতিক অনেক অপরাধীই পার পেয়ে যেতে পারেন। এ জন্য মার্কিন আদালতের মামলাটির চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এনএইচ/কেএফ/

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, প্রতিবাদ আইএসপিআরের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় (অনলাইন) শুত্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ‘উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবাদলিপিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার পরিকল্পনা নেই। এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসুত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।

সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে ওই সংবাদপত্রটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আইএসপিআরের কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই উপেক্ষা প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় থাকতে পারে না: মির্জা ফখরুল ইসলাম  

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংস্কার কোনো নতুন ধারা নয়। কেউ যদি দাবি করে যে আমরাই প্রথম সংস্কার নিয়ে আসছি, তাহলে এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি মুহূর্তেই সংস্কার হচ্ছে। সংস্কারের ধারা চলতে থাকবে। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা তো দেশ পরিচালনা করতে দিতে পারি না। সে জন্যই আমরা তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাই।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি’র (জাগপা) উদ্যোগে আয়োজিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সম্পর্কে একটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, সেটা হলো- বিএনপি নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু, ক্ষমতায় তো আমরা আগেও ছিলাম। দুই-তিনবার ছিলাম। আল্লাহ চাইলে আবার ক্ষমতায় আসবো। ক্ষমতার জন্য আমরা রাজনীতি করি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া প্রথম শুরু করেছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র বের করে এনেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা বলেছি আপনারা সংস্কার করুন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যে বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি হলো অস্থিরতা। একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে এই সমস্যা অনেক কমে যাবে। কারণ, নির্বাচিত সরকারের শক্তিটা অন্যরকম। জনগণ তার পেছনে থাকে। এই কথাটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার চাই। আমরা সংস্কার সবচেয়ে বেশি চাই। কিন্তু, দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। আজ সংকট বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে বড় সংকট সাধারণ মানুষের। সব কিছুর দাম এমনভাবে বেড়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এটার দিকে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কোনো খেয়ালই নেই।

Header Ad
Header Ad

ভিনিসিয়ুস কাণ্ডে ব্যালন কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন রোনালদো

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রতি ব্যালন ডি'অর পুরস্কারের ক্ষেত্রে তার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ডের প্রতি সংহতি জানিয়ে, রোনালদো বললেন, "এটি একেবারে অনুচিত এবং খুবই হতাশাজনক যে, ব্যালন কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত ভিনিসিয়ুসের মতো এক তারকাকে উপযুক্ত সম্মান দেয়নি।"

গতকাল (শুক্রবার) দুবাইয়ে ‘গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ও বর্তমান দুই তারকা। যেখানে ভিনিসিয়ুস বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। সেখানেই ওঠে ব্যালন ডি’অর ২০২৪ পুরস্কারের বিষয়টি। এ সময় রোনালদো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিই ব্যালন প্রাপ্য ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে আগেভাগেই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি কে পাচ্ছেন সেটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ব্যালন প্রদান অনুষ্ঠান বয়কট করে পুরো রিয়াল কর্তৃপক্ষ।

ভিনিসিয়ুসের পুরস্কার না পাওয়া প্রসঙ্গে রোনালদো বলেন, ‘আমার মতে সে–ই (ভিনিসিয়ুস) গোল্ডেন বলটি (ব্যালন) বেশি প্রাপ্য ছিল। তার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে বলে মনে করি। আমি সবার সামনেই বিষয়টি বলছি যে, তারা রদ্রিকে পুরস্কারটি দিয়েছে, সেও পাওয়ার যোগ্য ছিল ঠিক আছে, কিন্তু তাদের এটি ভিনিসিয়ুসকেই দেওয়ার উচিত ছিল। কারণ সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে, গোল করেছে ফাইনালে।’

এমনকি ব্যালনের চেয়ে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডকে বেশি স্বচ্ছ বলেও মন্তব্য করেন এই আল–নাসর তারকা, ‘আপনারা জানেন যে, এই গালা অনুষ্ঠানে সবসময়ই একই কাজ করা হয়। সে কারণে আমি গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডকে পছন্দ করি, তারা অন্তত সৎ।’ বলে রাখা ভালো, ইউরোপীয় ক্লাবে থাকাকালে লিওনেল মেসির সঙ্গে ব্যালন পাওয়ার দৌড়ে প্রায় প্রতিবারই লড়েছেন রোনালদো। এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি ব্যালনও জিতেছেন। রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮টি পেয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

গতকাল গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সেরা ফুটবলার’-এর পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে আল-নাসরে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি সৌদি ক্লাবটির জার্সিতে ৮৩ ম্যাচে ৭৪ গোল করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত আল-নাসরকে লিগ টাইটেল বা সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিতে পারেননি সিআরসেভেন। তিনি কথা বলেছেন সাবেক ক্লাব ইউনাইটেডের দৈন্যদশা নিয়েও।

এরিক টেন হাগকে বদলে রুবেন অ্যামোরিমকে প্রধান কোচ করলেও এখনও ভাগ্যবদল হয়নি ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে তাদের বর্তমান অবস্থান ১৪তম। চলতি মৌসুমে ১৮ ম্যাচে মাত্র ৬ জয় পাওয়া ইউনাইটেডকে নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমস্যা সবসময়ই কোচ হতে পারে না। এটি তারচেয়েও বেশি কিছু। যদি আপনার অ্যাকুরিয়ামে অসুস্থ মাছ থাকে, তাকে সরিয়ে আপনি সমস্যা সমাধান করতে পারেন। কিন্তু আপনি আবারও তাকে অ্যাকুরিয়ামে ফিরিয়ে আনলে, আপনি আবারও অসুস্থ হবেন।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, প্রতিবাদ আইএসপিআরের
অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় থাকতে পারে না: মির্জা ফখরুল ইসলাম  
ভিনিসিয়ুস কাণ্ডে ব্যালন কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন রোনালদো
সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস
গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন