ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত নাজুক: মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
বর্তমান অবস্থায় ব্যাংকিংখাত অত্যন্ত নাজুক বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঋণে সুদের সীমা নির্ধারণ করায বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ সংকুচিত হয়েছে।
গত জুলাই থেকে মে মাসে বেসরকারি খাতে মাত্র ১২ শতাংশ ঋণ গেছে। অন্যদিকে, সরকারের কাছে গেছে ২৭ শতাংশের বেশি। তাই ঋণের সুদের সীমারেখা বেঁধে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক তা বিবেচনা করা দরকার, যোগ করেন মির্জ্জা আজিজুল।
রবিবার (২৪ জুলাই) সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু এটা প্রকৃত আমদানি না। পরিমাণের দিক থেকে বাড়েনি। অর্থের দিক থেকে বেড়েছে। এই আমদানি কতটুকু জেনুইন তাও বিবেচনার বিষয়। কারণ, অর্থপাচার সিংহভাগ ট্রেডের মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমদানি যেভাবে বাড়ছে, রপ্তানি কিন্তু সেভাবে বাড়ছে না্। আবার রেমিট্যান্সও বাড়ছে না। আড়াই শতাংশ দিয়ে কতটুকু কার্যকর হচ্ছে তাও দেখতে হবে। কারণ, রেমিট্যান্স বাড়লে ডলারের সংকট কিছুটা কমবে। তাই, রেমিট্যান্স আরও বাড়াতে মার্কেট ডাইভারসিফিকেশনের পরিকল্পনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে দেশে সামষ্টিক পরিবেশ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তার সমাধানে জনগণকেও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কারণ, ডলারের চাপ মেটাতে টাকার অবমূল্যায়ন করতে গিয়ে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে। তাই জনগণ যাতে উপকৃত হয় সে বিষয়টাাও দেখতে হবে সরকারকে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের উপস্থাপনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
জেডএ/