লবণের দাম ২০ টাকার বেশি নিলেই ব্যবস্থা
লবণের জন্য কোরবানির চামড়া নষ্ট হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ লবণ মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কবির বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদে লবণ লাগবে ৭০ হাজার টন। বর্তমানে দেশে মজুদ রয়েছে সাড়ে তিন লাখ টন। মিলগেটে সর্বোচ্চ দাম সাড়ে ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি। পরিবহন খরচসহ সব মিলে খুচরা বাজারে ২০ টাকা বেশি হবে না। এর বেশি কেউ দাম নিলে বা কারসাজি করলে ডিসি, ইউএনওকে জানাবেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবেন। আমাদের পক্ষ থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও লবণের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এই সব তথ্য জানান। বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল কবির বলেন, চামড়ার দাম নেই বলে লবনের উপর চাপিয়ে দিলে হবে না। বর্তমানে লবণের যে দাম তা স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের দেশে ১৮ লাখ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ২৩ লাখ টন। এ পর্যন্ত লবণের কোনো সংকট নেই। লবণ চাষিদের স্বার্থে লবণ আমদানি করা হয় না। তারপরও সরকার দেড় লাখ টন আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ৯৫০ টাকা বস্তা লবণ। সর্বোচ্চ ১১০০ টাকা। তাই ১৫ টাকার বেশি নয় মিলগেইটে। খুচরা পর্যায়ে কোনো ক্রমেই ২০ টাকার বেশি কেজি হবে না।
তিনি আরও বলেন, মিলমালিকদের পক্ষ থেকে ডিসি, ইউএনওর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সেখানেও আমরা বলেছি কেউ যাতে লবণের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। কারণ দুস্কৃতকারিরা ফাঁকফোকর খোজার চেষ্টা করবে। লবণের জন্য চামড়া নষ্ট হবে তা হতে দেওয়া যাবে না। ফোন দিলেই যে কোনো মিলে সব সময় লবণ দেওয়া হবে।'
এসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘লবণ নিয়ে কেউ কারসজি করলে সেই প্রতিষ্টান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক মাস খুলতে পারবে না। ধরা পড়লে শুধু জরিমানা নয়, মামলাও করা হবে। আমরা মাঠে থাকব। এ ক্ষেত্রে জিড়ো টলারেন্স। কারণ গতবার লবণ নিয়ে খুব সংকট হয়েছিলো। শিল্পমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় দোড়ঝাপ করতে হয়েছে। তাই এবার লবণের ব্যাপারে আগে থেকেই সবাইকে সর্তক করা হচ্ছে।’
জেডএ/