বৃহস্পতিবারের বাজারদর
পেঁয়াজের ঝাঁজ কমলেও ডিম রসুনে চড়া
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেছে। দাম পাঁচ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে রসুনে বেড়ে ১৬০ টাকায় ঠেকেছে। বোরো ধান উঠলেও কমছে না চালের দাম। তবে করলা, পটল, ঢেড়সসহ বিভিন্ন সবজি, মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বেড়ে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
কমেনি চালের দাম
কারওয়ান বাজারের মেসার্স রামগঞ্জ রাইস এজেন্সির জসিম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নতুন ধান উঠলেও কমছে না চালের দাম। মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫, ২৮ চাল ৪৮ টাকা ও মোটা চাল ৪৪ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
বাজারে নতুন রেটের তেল প্রায় দোকানে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ইউসুফ জেনারেল স্টোরের ইউসুফ বলেন, ‘সরকারের ষোষণা করা দামে ৫ লিটার ৯৭০ টাকা, ২ লিটার ৩৯৫ ও এক লিটার ১৯৮ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আটার দাম বেড়েছে। ২ লিটার ১৯৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। তবে অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়েনি, কমেনিও।’ চাটখিল স্টোর ও আল আমিন স্টোর থেকেও বলা হয়েছে, ‘৫ লিটার রূপচাঁদা ৯৮০ টাকা, লিটার ১৯৮ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আগের দামেই ৮০ টাকা কেজি চিনি, ১০০ থেকে ১৩০ টাকা ডাল বিক্রি করা হচ্ছে।
আগের দামে মাছ, মাংস বিক্রি
রমজানের ঈদের আগের মতোই মাছ, মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। তারা বলছেন, সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়। তবে এখনো বাড়েনি কোনো মাছ, মাংসের দাম। আগের মতোই গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি। তবে বেশি নিলে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হবে। আর খাসির মাংস ৯৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বেশি নিলে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে মাছও আগের মতো বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। রুই ও কাতল মাছ ২৩০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, ইলিশ ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৭০০, কাচকি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ঈদের পর হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়লেও তা কমছে না। ডজন ১২০ টাকা জডন বিক্রি করা হচ্ছে বলে রুবেল জানান।
কমেছে পেঁয়াজের দাম
এদিকে গত সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি করা হলেও বৃহস্পতিবার কমে ৩৫ থেকেস ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর পাইকারি বাজারে পাল্লা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা কেজি থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
কমেছে সবজির দাম
বর্ষা মৌসুম না আসায় সবজির দামও কমের দিকে। করলা, পটল, ঢেড়স, ধুন্দুলসহ প্রায় সবজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জসিম জানান। তবে গাজর বেশি দামে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বটবটি ৬০ টাকা কেজি, বেগুণ ৫০ থেকে ৬০ কেজি, মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও লেবুর ডজন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ৭ থেকে ১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
জেডএ/