১০ মাসেই বছরের রপ্তানি লক্ষ্য অর্জন
বিশ্বে করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ভালোই টানছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে চলতি অর্থবছরের অন্যান্য মাসের মতো এপ্রিল মাসেও রেকর্ড পরিমান ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে বাংলাদেশের। একই সঙ্গে এই ১০ মাসেই রপ্তানিকারকরা সারা বছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় পুরোটাই অর্জন করেছেন। কারণ চার হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের বিপরীতে আয় করেছেন চার হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার।
সোমবার (৯ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে রপ্তানির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। বেশি অর্জন হয়েছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ। কারণ আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানির উপর ভর করেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও রপ্তানি আয়ে এই রেকর্ড ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। কারণ গত ১০ মাসে এই খাতে তিন হাজার ৫১৪ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এতে আয় হয়েছে তিন হাজার ৫৩৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার। বেশি রপ্তানি হয়েছে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কারণ গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল দুই হাজার ৬০০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।
এভাবে বেশি বেশি রপ্তানি আয়ে খুশি রপ্তানিকারকরা। তারা বলছেন, করোনার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রভাবে অনেকে কাবু হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা ভালোই সাড়া পাচ্ছি। এরফলে রপ্তানি আয়ও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এরই অংশ বিশেষ কয়েক মাস থেকে রপ্তানি আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ধারা চলতে থাকলে অর্থবছরের বাকি দুই মাসে (মে ও জুন) রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার ২০০) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এপ্রিল মাসের এই আয় চতুর্থ সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ (৪.৯০ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল গত জানুয়ারিতে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ (৪.২৯ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে এসেছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। আর এপ্রিল মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিপরীতে এসেছে ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
জেডএ/আরএ/