প্রণোদনা না দিলে সব শিল্প ধ্বংস হয়ে যেত
করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণোদনা দিয়ে ব্যবসা সামলে নিয়েছেন উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বিশ্বে সমস্যা হলেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ব্যবসা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছেন। বিশ্বের অর্ডার চলে আসছে। তার খেয়াল রাখার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা না দিলে সব শিল্প ধ্বংস হয়ে যেত। শার্ট,প্যান্ট পরে এখানে আসতে পারতাম না।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শঙ্কায় ছিলাম, কি হয়। কিন্তু বাণিজ্য মেলায় এসে দেখি আনন্দ মেলায় পরিনত হয়েছে। কারণ করোনায় বিনোদনের সব বন্ধ হয়ে গেছে। তাই প্রায় দর্শনার্থীরা বাচ্চাদের নিয়ে এসে ঘুরতে ঘুরতে খাবারও খেয়ে নিচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মেলার জায়গা আরও লাগবে। কারণ ব্যবসা অনেক বাড়ছে। আবার করোনায় এবার কম লোক এসেছে। আগামীতে দেশ করোনামুক্ত হলে অনেক লোক আসবে। তখন জায়গা থাকবে না। করোনা না থাকলে এবারই ট্রাফিক জ্যাম্পের মতো হতো। মেলায় কোন ঝামেলা হয়নি। আমি পাহারাদার হিসেবে কাজ করেছি। বানিজ্য মন্ত্রণালয় এর আয়োজন করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শঙ্কার মধ্যেই ২৬তম বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। খুবই ভয়ে ছিলাম। শেষ সময়ে চাপে ছিলাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, সবার প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজ মেলা শেষ হচ্ছে পূর্বাচলে স্থায়ী কাঠামোতে। কোন ঝামেলা হয়নি। বর্তমানে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। তা প্রতি বছরে বাড়বে। ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলার হবে। ৪১ সালে উন্নত দেশ হবে। তখন রপ্তানি আয়ও বেড়ে ৩০০ বিলিয়ন ডলার হবে। ইপিবি জানায়, মেলায় রপ্তানি অর্ডার পাওয়া গেছে ১.৬ কোটি ডলার।
প্রথম বারের মতো বিধিনিষেধের মধ্যে রাজধানীর বাইরে পূর্বাচলে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মিনশি ও এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। করোনার কারণে মেলার আয়োজন সীমিত করা হয়। তাই ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেয়। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দৃষ্টিনন্দন স্টল ও প্যাভিলিয়ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জেডএ/