ভোজ্য তেল সরবরাহে অনিয়ম
৪ প্রতিষ্ঠানকে আবারও ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব
ভোজ্য তেল সরবরাহে মিল পর্যায়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড) ও বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিনিধিদের দেওয়া ব্যাখায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় আবারও তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আগামী বুধবার আবারও সংস্থাটিতে গিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) সরবরাহকারী এই ৪ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা শোনা হয়।
দেশের ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চে বাজারে তেলের সরবরাহ কেন কমিয়েছে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিল অধিদপ্তর।
এর আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে-ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ নেই। তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। এভাবেই গত ১৩ মার্চ এস আলম গ্রুপের কারখানা পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে টিকে গ্রুপের কারখানাযতে ২৮ মার্চ ( সোমবার) ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম মনিটরিং করার সময়ও দেখা যায়, কোম্পানি ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৭১ টন পাম তেল বিপণন করলেও মার্চে কমে ২১ হাজার ১১৯ টনে নেমেছে। এভাবে তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাব দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।