চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পুরোপুরি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছরের মধ্যে ই-পাসপোর্টের কাজ পুরোদমে চালু করা হবে। তখন আর এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) থাকবে না। তিনি এ সময় তার মেয়াদকালেই ই-পাসপোর্টের কাজ শেষ করার প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান মহাপরিচালক যোগদান করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দুর্নীতির মাত্রা অনেক কমেছে। তবে এটিকে শূন্যপর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। বিদেশি নাগরিক যারা ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন, তাদের আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় ৩১ জানুয়ারির পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে আজ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সবার সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করার সুযোগ না পান সেটা নিয়েও সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
এর আগে উপদেষ্টা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমআরপি প্রিন্টিং সেকশন, ডাটা সেন্টার ও পার্সোনালাইজেশন সেন্টারসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।