স্বর্ণালংকারের লোভেই ধানমন্ডির জোড়া খুন
রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডের লোবেলিয়া অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্তীসহ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বর্ণালংকারের লোভেই গৃহকর্মী বাচ্চু মিয়া ও সুরভী আক্তার নাহিদা জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পিবিআই সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার কথাও জানায় সংস্থাটি।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে জানান, আসামী মো. বাচ্চু মিয়া দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আফরোজা বেগমের বাসায় কাজ করে আসছিল। বাচ্চু মিয়ার মধ্যে বিলাসী জীবন যাপনের জন্য ওই বাসার অর্থ সম্পদর প্রতি লোভ জন্মায়। স্বর্ণালংকার লুণ্ঠনের লোভ হওয়ায় তিনি কৌশল খুঁজতে থাকেন। সহযোগী সুরভী আক্তার নাহিদা বাসায় কাজ খুঁজতে ধানমন্ডি এলাকায় আসে। ধানমন্ডি এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় বাচ্চু মিয়ার সাথে কাজ খোঁজার সুবাদে কথাবার্তা ও ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয়।
পরে বাচ্চু মিয়া সুরভী আক্তার নাহিদাকে সঙ্গে নিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের পরিকল্পনা করে। বাচ্চু মিয়া নাহিদাকে প্রলোভন দেখায় ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগী সুরভী আক্তারকে দিয়ে আগারগাঁও মার্কেট থেকে ছুরি ক্রয় করায়। নাহিদাকে নতুন কাজের লোক সাজিয়ে ওই বাসায় নিয়ে যায় ও কাজের জন্য কথাবার্তা বলে। নাহিদা প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে ও কিছু কাজ করে। বিকাল ৪ টার দিকে আসামি বাচ্চু মিয়া বাসায় প্রবেশ করে আফরোজা বেগমের কাছে আলমারির চাবি চায়। এ সময় সুরভীও ছুরি নিয়ে তার বেডরুমে যায়। আফরোজা বেগম চাবি দিতে অস্বীকার করলে বাচ্চু মিয়া ও সুরভী আক্তার নাহিদা শরীরে, গলায় ও বিভিন্ন স্থানে একাধিক রক্তাক্ত জখম করে। তারপর বাচ্চু আফরোজা বেগমের বালিশের নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় ওই বাসার অপর কাজের মেয়ে দিতি পাশের রুম থেকে দেখে ফেলায় তাকেও নাহিদা ছুরি দিয়ে একাধিক গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে দুজনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
এমএইচ/এসএ/