শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশজুড়ে সক্রিয় প্রতারক চক্র

পাল্টে গেছে প্রতারণার কৌশল। প্রতারকরা বিভিন্নভাবে মানুষকে ঠকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। কেউ কেউ আবার একইভাবে বারবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে এ প্রতারক চক্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন কৌশলে কাজ করছে এসব চক্র।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওই সূত্রে জানা যায়, মধ্যবিত্তরা বেশিরভাগ ছোট ছোট প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ঝামেলার ভয়ে তারা আইনের আশ্রয়ও নিতে আগ্রহী নয়।

ঢাকাপ্রকাশের এক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই প্রতারকদের প্রতারণার ভিন্ন কৌশল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে কৌশল পরিবর্তন করে একের পর এক প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা।

এদিকে, প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অতিরিক্ত লোভের কারণে প্রতিনিয়তই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট এলাকার শাহীন সিনেমা হলের স্টাফ সুজন মিয়া। তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকার মাধ্যমে গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায় চাকরির জন্য যাই। সেখানে গিয়ে তিন দিনের ট্রেনিংয়ের নামে ১০ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছি। যদিও টাকা ট্রেনিং শেষে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু দেয়নি।’

যশোর জেলা থেকে পত্রিকার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে পরিবারের সঙ্গে রাগারাগি করে ঢাকায় আসেন রোকন হোসেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে নায়ক-নায়িকার বডিগার্ড বানানোর কথা বলে প্রতারক নাইট গার্ডের চাকরি দিয়েছে। এখন কোথাও যেতে পারছি না, বাধ্য হয়ে ৪ মাস ধরে এই চাকরি করছি।’

নেত্রকোনা জেলার মো. বাঁধন হোসেন সবেমাত্র এসএসসির গণ্ডি পার হয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছেন অভাবের সংসার। মনে মনে ভেবেছেন সংসারের হাল ধরবেন। সেজন্য পত্রিকা দেখে চাকরি করতে এসে ৪০ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশের কাছে গেলেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতারক চক্র তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল পদক্ষেপ নেবে এ ভয়ে সে কোথাও যায়নি।

পত্রিকাতে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই মাত্র এসএসসি পাসে মাসে ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে জামালপুরের সুমন পারভেজ ছুটে আসেন গাজীপুরের বোর্ডবাজারে একটি অফিসে। অফিস চকচক দেখে তার বেশ ভালো লাগে। ৫ দিন ট্রেনিংয়ের নামে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলে প্রতারক আজিজ নামের এক ব্যক্তি। ভালো অফিস দেখে গ্রামের বাড়ি থেকে টাকা এনে জমা দেন সুমন। ট্রেনিংয়ের নামে তাকে সাভারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে আজিজ আর ফোন ধরেন না।

এদিকে, রাজধানীর আশপাশে বাসা-বাড়ি ভাড়া নিয়েও গড়ে উঠছে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা। চকচকে অফিস, আর চটকদার বিজ্ঞাপনকে পুঁজি করে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল ও অল্পশিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের আকৃষ্ট করছে। পরে এসব ছেলে-মেয়েদের ফাঁদে ফেলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

এমন প্রতারণার শিকার হওয়া হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমি খুব গরীব ঘরের ছেলে। বাবা ভ্যান চালিয়ে আমাদের তিন ভাই-বোনকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। আমিই সবার বড়। চাকরির খোঁজ পেয়ে গ্রাম থেকে আসি ঢাকাতে। দুই দিন ট্রেনিং করার পর আমাকে বলে জামানত হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এবং সেটি তিন মাস পর ফেরত দেয়া হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর এখন আর ফেরত দিচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির বিষয়টি বাড়িতে জানালে একটা গরু বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা দেয়। আমি সেই টাকা দেওয়ার পর তাদের আচরণ পাল্টে গেছে। কোনো কাজ নেই। সারাদিন শুধু ট্রেনিং করায় আর বলে এখানে মানুষ নিয়ে আসাটাই চাকরি। বুঝতে পারলাম প্রতারণার শিকার হয়েছি।’

বিভিন্ন প্রতারণার কৌশলে কাজ করে প্রতারক চক্র

সংসারে অবদান রাখতে চেয়েছিলেন আবুল হোসেন, এজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ছুটে আসেন ঢাকার মিরপুর-১০ এলাকায়। সেখানকার একটি ‘সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডে’ থাকা-খাওয়া ট্রেনিং বাবদ অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হন তিনি। প্রতারণার শিকার হন একই এলাকার আল আমিন ও ফরহাদ নামের দুই যুবক।

গয়না পাওয়ার প্রতারণাও বেড়েছে

আমমেদ রিকশা করে শাহবাগ থেকে পল্টনে শপিং করতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক রিকশাচালক বললেন এই গয়নাটি পেয়েছি স্যার। এক ভরি হতে পারে। ৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তিনি। স্বর্ণের দোকানে নিয়ে গিয়ে দেখেন এটি সোনা নয়। জীবনে প্রথম পড়েন প্রতারণায়।

আরেক ব্যক্তি রবিন প্রতারণার শিকার হয়ে বলেন, গহনা ভেবে চেইন গিনেছি ৩ হাজার টাকা দিয়ে, পরে দেখি এটা সিটি গোল্ড।

ডলার প্রতারক চক্র

বনানীতে হাঁটছে জেরিন জারা নামের এক যুবতী। পাশে থাকা এক লোক বলেন তার কাছে ৩০ ডলার আছে। তার ইমার্জেন্সি টাকা দরকার, মাত্র ১ হাজার টাকা দিলেই হবে। অনেক টাকা লাভের আশায় তিনি ৭০০ টাকা দিয়ে সেটি ক্রয় করে।পরে ওই লোক বলেন, এটা জাল ডলার ফেরত দেন না হয় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব। পরে জেরিন রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে আসে ওই ডলার।

এসব প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসানুল হক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অনলাইনে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরির নামে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে, কিছু প্রতারককে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আগের চেয়ে প্রতারণা কিছুটা কমেছে। সাধারণ এই চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশল পরিবর্তন করে প্রতারণা করছে।’

প্রতারণার বিষয়ে র‌্যাবের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘অনেক প্রতারককে আমরা আইনের আওতায় এনেছি। প্রতারণা রোধে সব সময় র‌্যাব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রতারণা রোধে কাজ করছে র‌্যাব। প্রতারণার কোনো অভিযোগ পেলে র‌্যাব সেটি আমলে নিয়ে প্রতারণ চক্রকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে।’

এ সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রতারকরা একেক সময় একেক কৌশলে কাজ করে। ইতিমধ্যে অনেক প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তারা সাজা ভোগের পর বেরিয়ে এসে আবার নতুন করে প্রতারণার কাজে যুক্ত হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূলত তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের যে কাযর্ক্রম তা অব্যাহত আছে। আমরা বিভিন্ন সময় এদের ধরতে অভিযান চালায়। তা ছাড়া যদি কেউ এসব অভিযোগ নিয়ে আসে পুলিশ সেটা আমলে নিয়ে কাজ করে। এর বাইরে ও আমাদের ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা টিম প্রতারণা রোধে কাজ করে যাচ্ছে।’

এমকে/এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত