ঠাঁট বাড়াতে রাতে চুরি করতো তারা!

একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মামলার পর, চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নতুন রুপে মিলছে সিঁধকাটা ভয়ংকর চোরের সন্ধান। সম্প্রতি একটি অফিস থেকে ১৬টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। পুলিশ বলছে, চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে দু’জন টিকটক ও লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে মোটামুটি জনপ্রিয়। নেশার টাকা যোগান ও নিজেদের ঠাঁট বাড়াতে রাতে চুরি করতো তারা।
এ ঘটনার সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা টিমের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তারা অনেকেই টিকটক সেলিব্রেটি। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। প্রথমিক ভাবে ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য বেশ কয়েকজন ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
এবছরের গত ৫ জানুয়ারি একটি প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়। রাতের আধারে রাজধানীর বনানীতে ঘটে এ ভয়ংকর চুরির ঘটনা। তারা চোর হলেও এদের কেউ কেউ আবার টিকটক স্টার। রাজধানীর বনানীর এইচ-ব্লক সাত নম্বর সড়কের “শিখবে সবাই সলিউশন” নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ঢোকে ২/৩ জন যুবক।
জানা যায়, এরপর বিভিন্ন রুমে রুমে চলে তাদের তল্লাশী। খুঁজতে থাকে কী কী চুরি করবে তারা। হঠাৎ এমন একটি রুমে ঢুকে পড়ে চোর, পেয়ে যায় সোনার হরিণ। একটি প্রশিক্ষন কক্ষে প্রায় ৫০টির মতো ল্যাপটপ পায় তারা। এরপর সেখান থেকে একে একে চুরি করে ১৬টি ল্যাপটপ, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ আরো বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র। অ্যাকাউন্ট কক্ষের ড্রয়ার থেকে চুরি করে প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা। পরদিন সকালে বনানী থানায় মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান টিম। গত বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার করে চোর চক্রের ৪ সদস্যকে। জব্দ করা হয় কয়েকটি ল্যাপটপ ও ক্যামেরা।
পুলিশ বলছে, যে সব বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে সেগুলোই টার্গেট করে অপরাধীরা। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা ও নিরাপত্তাকর্মী রাখার পরামর্শ পুলিশের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, এমন ধরনের অপরাধ দমনের জন্য সব সময় পুলিশ সজাগ রয়েছে। এরপর ও কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা অনেক ধরণের তথ্য পায়। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখলে হয়তো এমন অপরাধ কমে যাবে।
এমএইচ/
