ডাকাতি ঠেকাতে তল্লাশিচৌকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
মহাসড়কে রাতে বাসে ডাকাতির ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে এ ধরণের ডাকাতি ঠেকাতে ঢাকা রেঞ্জ ও ঢাকা জেলা পুলিশের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) একযোগে কাজ করবে। পাশাপাশি রাতের ঢাকায় আরও বেশি তল্লাশিচৌকি বসানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা ও পাশের জেলাগুলোয় রাতে ডাকাতি হচ্ছে। ডাকাতি যেন না হয়, সে জন্য ঢাকা রেঞ্জ ও ঢাকা জেলা পুলিশের সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ একযোগে কাজ করবে। রাতের ঢাকায় আরও বেশি তল্লাশিচৌকি বসানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে। পাশাপাশি ডাকাতির কবলে পড়া ভুক্তভোগীদের মামলা নেওয়ায় ক্ষেত্রে গড়িমসি করলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রবিবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তারা হলেন- দিলীপ ওরফে সোহেল, মো. আল আমিন, নাঈম, মো. বিপ্লব, সজীব, আজাদ, জহিরুল ও আল আমিন। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতিতে ব্যবহার করা চাপাতি, ছোরা, লোহার রড, চোখ বাঁধার গামছা, ডাকাতির কবলে পড়া ব্যক্তিদের ব্যবহৃত ১০টি মুঠোফোন, ২টি খেলনা পিস্তল ও ৯ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, ডাকাত দলটি পুরো রাতের জন্য বাসটি ভাড়া নিয়েছিল। তারপর ওই বাস নিয়ে প্রথমে সাভারের গেন্ডা এলাকায় যায়। সেখান থেকে ডাকাতেরা প্রথমে বাসের চালক ও তাঁর সহকারীদের জিম্মি করে নিজেরাই বাস চালিয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ঘুরতে থাকেন ও যাত্রী তোলেন। পরে যাত্রীদের কাছ থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে সকালের দিকে নানা জায়গায় নামিয়ে দেন। চক্রটি সম্প্রতি ঢাকা জেলার সাভার, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় একইভাবে ডাকাতি করেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে অধিকাংশের নামেই মামলা রয়েছে জানিয়ে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে জোড়া খুন, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে জেলে থেকে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও ডাকাতিতে জড়িয়েছেন।
এনএইচ/এএস