কক্সবাজারের নবী হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল এলাকার নবী হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ করেছেন, নবী একজন চিহ্নিত ভুমিদস্যু, গরু চোরাকারাবি, ইয়াবা সম্রাট। তার অত্যাচারে সবাই অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা এলাকায় যত গরুম মহিষ চুরি হয় সবই তার নেতৃত্বে হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে গ্রেপ্তার করেনা পুলিশ।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে কামাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে জানান, চকরিয়াস্থ রামপুরা বাজারে মৌলভী আমির হোসেনের দোকানে চুরি করতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা ও অস্ত্রসহ ধরা পড়ে এই নবী। অস্ত্র আইনে দীর্ঘদিন জেল খেটে বেরিয়ে আবারও একই কাজে লিপ্ত হয়। সে আন্ত:জেলা চোর চক্রের গডফাদার। টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুলকে নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায় নেমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়। পরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হয়। আর নবীকে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু কালো টাকার জোরে উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে নবী বহাল তবিয়তে রয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম কক্সবাজার এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে ইয়াবা ব্যবসা আবারো শুরু করে। পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী থানায় ধরা পড়া ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম উঠে আসে। নবীর বিরুদ্ধে মহেষখালী, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নবী চকরিয়া উপজেলার অগনিত নিরীহ লোকজনের ঘরবাড়ি দখল করেছে। রামপুর মৌজার সুন্দরবন চিংড়ি জোন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। এছাড়া একাধিক মৎস্য খামার দখল করে রেখেছে। এই নবীর কারণে এলাকার ব্যবসায়ী, সাধারন মুনষ অতিষ্ট। তার এ অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
এনএইচ/