সপ্তাহে অন্তত একবার ছিনতাই করতে যেত তারা: ডিএমপি
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত দুই ভারতীয় শিক্ষার্থীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ এক সংঘবদ্ধ চক্রের সন্দেহভাজন সাত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের মতে, সপ্তাহে অন্তত একবার ছিনতাই করতে যেত দলটি।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানান।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে ওই সাত সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন–মো. ফখরুল ইসলাম ফকু, মো. আলমাস, মো. সামুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে আসিক, মো. শাহিন, মো. বাবু ও মো. শফিকুল ইসলাম।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত একটি মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও নগদ তিন হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গত ২৩ জানুয়ারি ডা. সিরাজুল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল মগবাজারে অবস্থিত তাদের বর্তমান হোস্টেল থেকে দুই সপ্তাহের ছুটিতে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোর অনুমানিক ৫টা ১০ মিনিটে গ্রামীণ চেক শো-রুমের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার তাদের সামনে এসে গতিরোধ করে।
ওই প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ৪ জন লোক তাদের ঘিরে ফেলে। তাদের মধ্যে থেকে দুজন ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠির গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অপর দুজন তাদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি, নগদ ৭ হাজার ৬০০ বাংলাদেশি টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান মাহবুব আলম। এ নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলাটি গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিম ছায়াতদন্তকালে গত ২৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই সাত সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
এনএইচ/এসএ/