হাঁটতে হাঁটতে ঝগড়া, অতঃপর স্বামীর হাতে খুন
দুজনই ইটভাটার শ্রমিক। বাস নষ্ট হওয়ায় পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন কর্মস্থলে। পথে সাংসারিক নানা বিষয়ে শুরু হয় ঝগড়া। পরিণাম হত্যা!
ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী। মরদেহ ফেলে দেন পাশের বিদ্যালয়ের সেফটি ট্যাংকে। ঘটনাটি যশোরের কোতোয়ালী উপজেলার নরেন্দ্রপুরে। ওই নারীর আঙুলের ছাপ থেকে ‘ক্লুলেস’ এ হত্যার রহস্যজট ছাড়ায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আসামি গ্রেপ্তারের পর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে এমন তথ্য।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পিবিআই সদর দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
পিবিআই জানায়, যশোরের কোতয়ালী মডেল থানা এলাকার নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পায়খানার সেফটি ট্যাংকির মধ্য থেকে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার নাম ফাহিমা বেগম। সেই সূত্র ধরে তার স্বামীকে আটকের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআই যশোর জেলা ইউনিটের ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, প্রায় ২১ বছর আগে জাহাঙ্গীর মোড়লের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাহিমা বেগমের। তাদের দুটি কন্যা সন্তান আছে। তারা স্বামী-স্ত্রী যশোরসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় কাজ করতেন। গত ১৫ ডিসেম্বর তারা ইটভাটার উদ্দেশে রওনা দেন। কোনো যানবাহন না পেয়ে হাঁটতে শুরু করেন। পথে তাদের ব্যক্তিগত ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাস্তা থেকে বাঁশ তুলে নিয়ে ফাহিমা বেগমের মাথার পেছনে জোরে আঘাত করেন জাহাঙ্গীর। ফাহিমা বেগম উপুড় হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এরপরে ফাহিমা বেগমের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করেন। স্কুলের বাথরুমের ট্যাংকির ভেতর মরদেহ ফেলে চলে যান।
এনএইচ/এসএন