চুরির টাকায় ‘২০ কোটি টাকার বাড়ি এবং মাছের খামার’
প্রায় শতকোটি টাকা মূল্যের রপ্তানিযোগ্য চোরাই গার্মেন্টস পণ্যসহ সংঘবদ্ধ চোরচক্রের হোতা শাহেদ ওরফে সাঈদ ওরফে বদ্দাসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
চক্রটি গত দেড় যুগ ধরে রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য চুরি করে আসছিল। এর মধ্যে শাহেদকে ধরার পর র্যাব জানায়, সে গার্মেন্টস পণ্য চুরি করে ২০ কোটি টাকার বাড়ি ও মাছের খামার করেছেন শাহেদ।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শাহেদ চট্টগ্রামে থাকাকালে ১৯৯৬ সালে দুটি ট্রাক কিনে লোকাল ব্যাবসা শুরু করে এবং ২০০৪ সালে ট্রাক দুটি বিক্রি করে চারটি কাভার্ডভ্যান কিনে গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন শুরু করে। সে কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভার এবং হেলপারদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সহায়তায় গার্মেন্টস পণ্য চুরির কার্যক্রমের জন্য একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র তৈরি করে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সে নিজেই সশরীরে উপস্থিত থেকে চুরির কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, ২০১৮ সালের পর শাহেদ পর্দার আড়ালে থেকে চুরির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ শুরু করে এবং প্রতিটি চুরির ঘটনায় আয় করা অর্থের সর্বোচ্চ অংশ পেতো সে। শাহেদ গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে এই গার্মেন্টস পণ্য চুরির জগতে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করছে। মৌলভীবাজার শহরে সাহেদের প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে।
মৌলভীবাজারের দুর্লভপুরে প্রায় ২০ একর জমির উপরে মাছের খামারসহ বিশাল দুটি হাঁস-মুরগির খামারও রয়েছে তার। এ ছাড়াও বর্তমানে তার নিজস্ব চারটি কাভার্ডভ্যানসহ সহযোগীর আরও ১৫টি কাভার্ডভ্যান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৭-১৮টি গার্মেন্টস পণ্য চুরির মামলা রয়েছে। অধিকাংশ মামলায় সে কারাভোগ করেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে আদালতে ছয়টি মামলার বিচারকাজও চলমান রয়েছে।
কেএম/এমএমএ/