ছোট মেয়েকে নিয়ে কালাচাঁদপুরে আত্মগোপনে ছিলেন ইমরান
ছোট মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা ইমরান শরিফকে রাজধানীর কালাচাঁদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে র্যাবের একটি দল তাদের উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে রাখে। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালতের রায় ছিল জাপানি মায়ের কাছে থাকবে জাপানি দুই সন্তান। কিন্তু রায় প্রতিপালনে থানা পুলিশ বাবাসহ ছোট মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আদালতের রায় উপেক্ষা করে মায়ের কাছে সন্তানকে হস্তান্তর না করে ছোট মেয়েসহ বাবা আত্মগোপনে চলে যান। এমন অভিযোগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুর এলাকায় আত্মগোপন করা বাবা ইমরান শরিফকে ছোট মেয়েসহ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায় প্রতিপালনে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। আজ আদালতে নতুন করে সন্তানদের ফিরে আবেদন করার কথা রয়েছে জাপানি মায়ের।
অন্যদিকে আদালতের রায় অমান্য করে জাপানি মা নাকানো এরিকোও দ্বিতীয়বারের মতো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে গতরাতে পালানোর চেষ্টা করেছেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর আগেও এই জাপানি মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টা করলে আদালতের রায়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়।
এর আগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশু সন্তানকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মার রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারি জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ আদেশ দেন। সেই রায় উপেক্ষা করে ছোট মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করেন ইমরান শরিফ।
রবিবার আদালতের বিচারক বলেন, শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা বাচ্চাদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কার কাছে নিশ্চিত হবে রায়ে সেটির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বলে বাদী যে দাবি করেছেন, সেটি প্রমাণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর সর্বশেষ বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতেই শিশুরা শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তায় থাকবে বলে মনে করে আদালত।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এ ছাড়া, বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাও এ রায়ে খুশি।
কেএম/এসএন
