শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাঁড়াশি অভিযানেও বন্ধ হয়নি ইয়াবা কারবার

বন্দুকযুদ্ধে প্রাণহানিতেও বন্ধ হয়নি ইয়াবা পাচার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান এখনো চলছে। বরং পাচারকারীরা নিত্য-নতুন কৌশলে কাজ করছে। সম্প্রতি ইয়াবার বেশ কিছু চালান ধরা পড়েছে যেখানে পাচারকারীরা লোক ভাড়া করে তাদের ইয়াবা গিলিয়ে বা পায়ুপথ দিয়ে শরীরের ভেতরে ঢুকিয়ে ইয়াবা পাচারের কাজ করেছে।

সংশ্লিষ্ট বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৪ মে একযোগে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ৪০০ মাদক কারবারি নিহত হন।

সে সময় গ্রেপ্তার হন ২ লক্ষাধিক মাদক কারবারি। কিন্তু তারপরও বন্ধ করা যায়নি মাদক ব্যবসা। অনেক মাদক কারবারি জেল থেকে বের হয়ে আবারও নতুন করে কৌশলে মাদকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বলেও সূত্র জানায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৮ সালের মের পর থেকে থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পযর্ন্ত প্রায় শতাধিক মাদককারবারি নিহত হন।

গোয়েন্দা তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশ ইয়াবাসেবী। ইয়াবার কারবারের সঙ্গে কয়েক শ্রেণির মানুষ জড়িত। এরমধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদসহ অনেকেই আছেন!

ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছিল। সেই অভিযানে মাঠপর্যায়ের মাদক কারবারিরা ধরা পড়লেও বড় কারবারি কিংবা পৃষ্ঠপোষকেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। অভিযানকালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নতুন করে ইয়াবা কারবারিদের নাম প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে মোট ২৫৫ ইয়াবা কারবারির তালিকা নিয়ে হইচই চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই তালিকায় উঠে এসেছে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অনেকের নাম। তবে এটি এখনো ফাইনাল নয় ভেতরে ভেতরে ঘটনার তদন্ত চলছে।

বেশ কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে পেটের ভেতর ইয়াবা পাচারকালে রুবেল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইয়াবার বিষয়টি রুবেল তার স্ত্রীকে বলেন। এরপর তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রুবেলের বিষয় নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, তার পেট থেকে ইয়াবার প্যাকেটগুলো বের করার চেষ্টা চলছে। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আর কয়েকদিন পলিথিনসহ ইয়াবা পেটে থাকলে তিনি মারা যেতেন।

অসুস্থ রুবেল হোসেনের স্ত্রী সাহিদা বেগম বলেন, আট দিন আগে পেটের ভেতর করে পাচার করার জন্য ১৭ প্যাকেট ইয়াবা কুমিল্লা থেকে গিলে ফেলেন। যার মধ্যে ৪০টা করে ইয়াবা থাকে বলে তিনি জানান। পরে অসুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসেন। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুজন প্রতিবেশীর সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।

সাহিদা বেগম আরও বলেন, আমার মতো কেউ যেন বিপদে না পড়ে। ইয়াবা আমার ঘর সংসার সব শেষ করে দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ইয়াবার পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে কাজ করে। রুবেলের মতো অসংখ্য মানুষ এমন কাজ করছে তবে তারা 'চুনোপুঁটি'। সরকারি বাহিনীর দাবি, মাদক কারবারিরা ইয়াবা গিলিয়ে বা পায়ুপথ দিয়ে শরীরের ভেতরে রেখে পাচারের কাজ করে। এজন্য মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা যায় না। ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে সেবনকারী ও অন্যদের কাজে লাগিয়ে গোপনে কাজ করে। এজন্য তাদের নাম পাওয়া কষ্টকর হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, একাধিক পাচারে বাহক হিসেবে ব্যবহার হওয়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় চালান নিয়ে আসতে একেকটি ইয়াবা বড়ির জন্য অনেক টাকা করে দেওয়া হয়।

অবশ্য ইয়াবা পাচারের এমন সব বিভিন্ন কৌশল নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় ইয়াবা পাচারের ব্যক্তির যেকোনো সময় মৃত্যুও হতে পারে। কারণ, মানুষের পাকস্থলিতে খাবার হজমের জন্য যে রস থাকে, সেটি ইয়াবা বড়িকেও গলিয়ে ফেলতে পারে। তা ছাড়া পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা পচে অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সুদ্বীপ রঞ্জন বলেন, পেটের মধ্যে অতিরিক্ত ইয়াবা বা অন্যান্য মাদক জাতীয় যে কোনো জিনিস বেশি সময় ধরে থাকলে বা হজম না হলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে ৯৮ শতাংশ। এভাবে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। আর পায়ু পথ দিয়ে ক্রমাগত এগুলো বের করতে থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াবা বড়ি কয়েকটা পেটের ভেতর গলে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত।

মাদকাসক্তদের মাঝে নব্বই এর দশকে জনপ্রিয় ড্রাগ ছিল হেরোইন। আর আশির দশকে ছিল ফেনসিডিল, যা নব্বই এর দশকেও বিদ্যমান ছিল। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলাদেশে ইয়াবা নামক একটি ট্যাবলেট নেশার উপকরণ হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাবিষয়ক সাময়িকীতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের হনোরারি মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল ইসলামের একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে, বর্তমান মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশ ইয়াবাসেবী। গবেষকরা বলছেন, যার অধিকাংশই অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে। বিভিন্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যারা চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই ইয়াবাসেবী। হেরোইন ও ফেনসিডিলের চল এখনো আছে। কিন্তু তা সীমিত পর্যায়ে। ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিলের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছে। এরপরও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মাদকের চোরাচালান। সরকারি একটি পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, শুধু কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা বড়ি উদ্ধার চার বছরের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

জানা গেছে, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২০১৯ সালে কক্সবাজারে ১ কোটি ৭৭ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে যেখানে ২৪ কেজি আইস উদ্ধার হয়েছিল, গেল বছর সেখানে ১৯২ কেজি আইস উদ্ধার হয়েছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টেকনাফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১০১ মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। আশা করা হয়েছিল, এর ফলে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে মাদক চোরাচালান কমবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটাই ঘটেছে। সম্প্রতি ওই মাদক কারবারিদের বিচারের রায় ঘোষিত হওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদক ব্যবসার সর্বোচ্চ শাস্তি যেখানে মৃত্যুদণ্ড, সেখানে তাদের দেড় বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ৮৩ জনই পলাতক। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ৪ ভাইসহ ১২ জন নিকটাত্মীয়। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা তাদের এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি।

এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নতুন প্রকাশিত ২৫৫ ইয়াবা কারবারির তালিকা নিয়ে হইচই চলছে। তালিকায় উঠে এসেছে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অনেকের নাম। মন্ত্রী বলেন, তালিকায় নাম থাকলেই যে ইয়াবা কারবারি হয়ে যাবে ‍বিষয়টি এমন না। সেই জন্য দ্রুত তালিকা যাচাই-বাছাই করে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের। তা ছাড়া ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। তবে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও দমতে এগিয়ে আসতে হবে।

কেএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবারের অভাব ঘোচাতে রাশিয়ার পথে পা বাড়িয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। কিন্তু তার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি, বরং ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাশিয়া থেকে আকরামের এক সহযোদ্ধা তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে মৃত্যুর খবর জানান।

আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের দিনমজুর মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়ায় পাড়ি জমান আকরাম। প্রথমে একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করলেও বেতন কম হওয়ায় এক পর্যায়ে দালালের প্রলোভনে পড়ে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেন তিনি।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিজের ফেসবুকেও বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। তবে পরিবারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও আকরাম জানান, আর ফিরে আসার সুযোগ নেই তার।

১৩ এপ্রিল থেকে আকরামের সঙ্গে পরিবার এবং রাশিয়ায় থাকা পরিচিতজনদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল আকরামের এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন সদস্য একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

আকরামের মা মোবিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের কণ্ঠ শুনি না বহুদিন, এখন তো আর শোনার সুযোগও থাকল না।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবার সূত্রে জানতে পেরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রফিককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বোগদহ কলোনি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি বুলবুল ইসলাম।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ