ছিনতাইয়ের ‘হটস্পট’ রাজধানীর চার এলাকা
ছিনতাইকালে ২০ জনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বলছে, রাজধানীর তিনটি এলাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাইয়ের ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এলাকাগুলো হলো-ঢাকা উদ্যান, বসিলা, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এলাকাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে র্যাব-২।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ওই তিন এলাকা থেকে ২০ ছিনতাইকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়।
র্যাব বলছে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী-বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করে জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যহত আছে। র্যাব-২ এর সক্ষমতা দিয়ে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঢাকা উদ্যান, বসিলা, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার ছিনতাই-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হটস্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা উদ্যান ও বসিলাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য র্যাব-২ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলমান থাকলেও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনের প্রবণতা থেকেই যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে র্যাব-২ অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবর, ধানমন্ডি ও ঢাকা উদ্যান এলাকার কিছু চাদাঁবাজ, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-২ জানায়, তারা ঢাকা উদ্যান, বসিলা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারসহ মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
এ দিকে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, তারা মূলত মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধ ভাবে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
এনএইচ/এসপি/