অনেকেই টাকার লোভে জঙ্গিবাদে যুক্ত হচ্ছে: সিটিটিসি
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিবার (৮ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মো. কবীর আহাম্মদ, মো. ইয়াসিন ও আব্দুর রহমান ইমরান।
সিটিটিসি জানায়, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করতেন কবীর আহাম্মদ। টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে যান। শুধু কবীর নয় এমন অনেকেই টাকার লোভে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। জঙ্গিরা টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দল ভারী করছে। এসব বিষয়ে সবাই সর্তক না হলে এমন ঘটনা বন্ধ হবে না।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, ২ লিটার অ্যাসিড, গান পাউডার, লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচবক্স, একটি কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ২ বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ২টি স্প্রে ক্যান, ১টি লোহার করাত, স্কচ টেপ ও সুপার গ্লু, ট্রেনিংয়ের পোষাক ও টুপি এবং হ্যান্ডস করাত ও ব্লেড জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন ও মো. নাঈম হোসেনকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় সিটিটিসি। পরে সিটিটিসির একটি দল কবির আহাম্মদকে বান্দরবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থানাধীন বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারূদ জব্দ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১টি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান সিটিটিসির এই কর্মকর্তা।
কেএম/এসএন